ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০১:২৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ৯৫ Time View

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলার আসামী এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিক।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ১৭ জুলাই পরস্পর যোগসাজসে বেআইনি জনতাবদ্ধে সাধারণ ও মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে গুরুতর জখম, চুরি, ভাংচুর, ক্ষতিসাধন, অগ্নিসংযোগ ও নিরীহ ছাত্রকে হত্যার অপরাধে ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৭৯/৪৩৫/৪২৭/৩০২/৩৪ ধারায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়। এতে আসামি করা হয় অজ্ঞতানামা উচ্ছৃঙ্খল দুই থেকে তিন হাজার আন্দোলনকারী ছাত্রনামধারী দূর্বৃত্তসহ বিএনপি, জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতাকর্মী।

মামলার বিবরণের মাঝে একখানে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন সহপাঠিরা তাকে ধরাধরি করে জরুরী চিকিৎসার জন্য বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ।

Please Share This Post in Your Social Media

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় দুই পুলিশ সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০১:২৭:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের দুই সদস্যকে পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলার আসামী এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার রিক্যুইজিশনের ভিত্তিতে হস্তান্তর করা হয়। সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) আবু বকর সিদ্দিক।

উল্লেখ্য, গত ১৬ জুলাই দুপুরে কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। এ ঘটনায় গত ১৮ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালতে আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে পুলিশ কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, শিক্ষকসহ ১৬ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

এর আগে গত ১৭ জুলাই পরস্পর যোগসাজসে বেআইনি জনতাবদ্ধে সাধারণ ও মারাত্মক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সরকারি কাজে বাধার সৃষ্টি করে গুরুতর জখম, চুরি, ভাংচুর, ক্ষতিসাধন, অগ্নিসংযোগ ও নিরীহ ছাত্রকে হত্যার অপরাধে ১৪৩/১৮৬/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩৭৯/৪৩৫/৪২৭/৩০২/৩৪ ধারায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় একটি মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয় ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়। এতে আসামি করা হয় অজ্ঞতানামা উচ্ছৃঙ্খল দুই থেকে তিন হাজার আন্দোলনকারী ছাত্রনামধারী দূর্বৃত্তসহ বিএনপি, জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতাকর্মী।

মামলার বিবরণের মাঝে একখানে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন দিক থেকে আন্দোলনকারীদের ছোড়া গোলাগুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের এক পর্যায়ে একজন শিক্ষার্থী রাস্তায় পড়ে যেতে দেখা যায়। তখন সহপাঠিরা তাকে ধরাধরি করে জরুরী চিকিৎসার জন্য বিকেল ৩টা ৫ মিনিটে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত ছাত্রের নাম আবু সাঈদ।