আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপি নির্বাচনে আসতে ভয় পায় : কাদের

- Update Time : ০৫:২২:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৩
- / ২০৮ Time View
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন নির্বাচনে আসতে ভয় পায়। নির্বাচন যাতে না হয় তারা এখন সে ষড়যন্ত্র করছে। কিন্তু চোরাগোপ্তা হামলার জন্যও কর্মী পাচ্ছে না।
আজ রবিবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে কাদের এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘তারা (বিএনপি) এখন অবরোধ ডাকছে, হরতাল ডাকছে। লন্ডনে বসে দেশের ক্ষতি করার জন্য নির্দেশ দিচ্ছে। ভাড়া করা টোকাই দিয়ে চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে।’
ব্রিফিংয়ে বিএনপির কিছু নেতার নির্বাচন করা প্রসঙ্গে কাদের বলেন, অনেকেই বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক জীবনকে আর ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না। স্বাভাবিক রাজনীতির ধারায় তারা ফিরে আসতে চায়। শুধু শাহজাহান ওমরই নয়, যারা এসেছে তাদের মধ্যে অনেক বড় বড় নেতা আছে। বিএনপির রাজনীতিকে তারা প্রত্যাখ্যান করে রাজনীতির সুস্থ ধারায় ফিরে আসতে শুরু করেছে। যারা এসেছেন তারা বিএনপির রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করে সুস্থ ধারার রাজনীতিতে এসেছে। তাদেরকে অভিনন্দন। বিশ্বাস করি আরো অনেক নেতা বিএনপি থেকে বেরিয়ে সুস্থ রাজনীতিতে আসবে।’
ব্রিফিংয়ে তারেক রহমানের উদ্দেশে কাদের বলেন, ‘আমি তারেক রহমানকে বলব এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি যদি করতে চান সৎ সাহস থাকলে আসুন রাজপথে মোকাবিলা করি।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি তারেক রহমানকে বলব, এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি করতে চাইলে, সৎ সাহস থাকলে মাঠে আসুন। আমার একটা রাজনৈতিক দল, আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ কিন্তু শত্রু কখনও ভাবিনি। ষড়যন্ত্র করিনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে যাইনি, জিয়াউর রহমানকে হত্যা করতে যাইনি, আমরা হত্যার রাজনীতি করি না। ষড়যন্ত্রের রাজনীতি আমরা বিশ্বাস করি না। সৎ সাহস থাকলে কেন আসেন না? লন্ডনে বসে বাংলাদেশে আন্দোলন করবেন, এ ভুলের রাজনীতির কারণে আপনারা কিছুদিন পর দলের নেতাকর্মীদের হারাবেন।’
তিনি বলেন, স্বাভাবিক রাজনীতি থেকে বিচ্যুত হয়ে বিএনপি সন্ত্রাসের পথে হাঁটছে। এ পর্যন্ত ২শর বেশি গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তাদের গণবিরোধী রাজনীতি সমর্থন না দিলে জনগণকে শত্রু ভাবে। তাদের নৃশংসতা নির্মম। নির্বাচন এলে একটি গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে। জনসমর্থনহীন গোষ্ঠী নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বহিষ্কারের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কি দলের পক্ষ থেকে বলেছি যে যারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন তাদের দল থেকে বহিষ্কার করব? এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগে এখনও হয়নি।’
সর্বমোট ২৮টি নিবন্ধিত দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি না এলে নির্বাচন অশুদ্ধ হয়ে যাবে, একতরফা হয়ে যাবে, এটা কেন? এই ২৮টি দল কি বিভিন্ন তরফের না? তারা কি সবাই আওয়ামী লীগ করে? স্বতন্ত্র প্রার্থীর সবাই কি আওয়ামী লীগ করে? এদের মধ্যে বিএনপির যে ভুয়া আন্দলন, সেই আন্দোলন দেখে অনেকেই বিভ্রান্ত হচ্ছেন।’
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, আজকে সরকারি কর্মচারি কর্মকর্তাদের ‘ট্রান্সফার’ এগুলো কিন্তু আওয়ামী লীগ করছে না, প্রধানমন্ত্রীও করছেন না। এগুলোর সবই নির্বাচন কমিশন করছে। আওয়ামী লীগের এখানে কোনো অভিযোগ বা আপত্তির কিছু নেই।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাপা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।