আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে ইবিতে আলোচনা সভা
- Update Time : ০৯:৩৫:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৯ Time View
আন্তর্জাতিক ৩৪ তম ও জাতীয় ২৭ তম প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৫ উপলক্ষে ‘প্রতিবন্ধিতা অন্তভুক্তিমূলক সমাজ গড়ি, সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করি’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির ১১৬ নং রুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষার্থী আহনাফুজ্জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টিএসসিসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলন, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ছাত্র ইউনিয়ন, বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও প্রেস ক্লাবের প্রতিনিধিরা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তারিফ মাহমুদ বলেন, ছোট থেকেই আমি রেসপন্স করতে পারতাম না। এর জন্য আমার বাবা-মা অনেক লাঞ্চনা স্বীকার হয়েছে। লোকজন বলাবলি করতো বড় কিছু করতে পারবে না। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় হয়ে কিছু করে দেখিয়ে দেব। সমাজের বোঝা নয়, সম্পদ হয়ে বাঁচবো।
স্বাভাবিক শিক্ষার্থীরা যা পারতো না আমি করে দিতাম, ১ থেকে ৫ রোলের মধ্যে থাকতো। আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম পারিপার্শিক অবস্থা সাথে মানিয়ে নিতে পারবো। আশেপাশের মানুষ অনেক কিছু বলবে আমাকে সহ্য করে নিতে হবে। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে বাচতে হবে।
শিক্ষার্থীরা অনুভুতি জানানোর সময় দাবি জানান, ‘প্রতিবন্ধী কোটাকে কাগজে কলমের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হোক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসে শুরু থেকেই যেন হল সুবিধা পেতে পারি। আমাদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার জন্য প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেন।
ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা প্রশাসনকে ১৫ দফা দাবির একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলে, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় কেমন সার্ভিস দেয় এবং আমরা কেমন দিতে পারি তা জানার চেষ্টা করেছি। আমরা ১৪ টা সুপারিশ করছি। অক্টোবর মাস থেকে কার্যক্রম অব্যাহত। প্রতিবন্ধীরা প্রতি ঘণ্টায় ১০মিনিট বেশি সময় পাবে বলে সুপারিশ করা হয়েছে।
হতদরিদ্র শিক্ষার্থীদের সেশন ফি ফ্রি-তে দেওয়ারর চিন্তা ভাবনা রয়েছে। এছাড়া শুরু থেকেই আবাসিকতা দেওয়া হবে। মাসিক ভাতা প্রদান করে এমন সংশ্লিষ্ট ঝিনাইদহ কুষ্টিয়ার কিছু সংস্থার সঙ্গে কো-অপারেট করা হবে।’
তিনি উপস্থিত প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘মানুষ কখনো সম্পূর্ণ ফিট থাকে না। কোনো না কোনো দিক থেকে অপূর্ণতা রয়ে যায়। এই প্রতিকূলতা অতিক্রম করার জন্য তোমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। তোমাদের নিয়ে একটা নিবন্ধিত স্বীকৃত সংগঠন করা হবে।’



































































































































