ঢাকা ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আদালতপাড়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, ২ আসামি কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৯:১৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৬৪ Time View

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলো— ফজলুল হক ও রুবেল।

এর আগে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আমানউল্লাহ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে স্বামীর সঙ্গে এ মামলার বাদীর (ভুক্তভোগী নারী) যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার অনুমতি ছাড়া ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্বামী। এক মাস আগে স্বামীর খোঁজ নেওয়ার জন্য ওই নারী ঢাকায় আসেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মন্দির গলিতে হেলালের বাড়ির পঞ্চম তলায় স্বামীর ভাড়া করা বাসায় ওঠেন তিনি। ২০/২৫ দিন একসঙ্গে থাকার পর তাকে মারধর করেন স্বামী। পরে গৃহবধূ তখন মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করতে যান। জিডির খবর পেয়ে তার স্বামী বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বগুড়া চলে যান। নিরুপায় হয়ে বাদী তখন তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায় চলে যান।

গত ২১ জানুয়ারি গৃহবধূ আবারও ঢাকায় আসেন। ২৮ গত জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ঢাকার সিএমএম কোর্ট চত্বরে যান। সেখানে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন আইনজীবী খোঁজ করার সময় আসামি মো. ফজলুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ফজলুল তখন তার পরিচিত একজন ভালো আইনজীবী আছে বলে জানায় এবং তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলে। বাদী আসামির কথায় বিশ্বাস করেন। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ২৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় ওই গৃহবূকে ঢাকার সিজেএম কোর্টের মূল গেট-সংলগ্ন পানির পাম্পে নিজে রুমে নিয়ে যায় ফজলুল।

গৃহবধূকে রুমের ভেতরে বসিয়ে রেখে আইনজীবীকে ডেকে নিয়ে আসার কথা বলে বাইরে যায় ফজলুল। কিছু সময় পর সে চারটি ওয়ানটাইম চায়ের কাপসহ আসামি রুবেল ও অজ্ঞাতনামা আরও এক আসামিকে নিয়ে রুমে ফিরে আসে। এরপর ফজলুল ওই নারীকে ওয়ানটাইম কাপে করে চা খেতে দেয়। চা পান করার পর গৃহবধূর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব আসে। তখন আসামিরা তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

পরে গৃহবধূ কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।

Please Share This Post in Your Social Media

আদালতপাড়ায় গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, ২ আসামি কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৯:১৯:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলো— ফজলুল হক ও রুবেল।

এর আগে আসামিদের পক্ষে আইনজীবী আমানউল্লাহ জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোতোয়ালি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১০ ডিসেম্বর থেকে স্বামীর সঙ্গে এ মামলার বাদীর (ভুক্তভোগী নারী) যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। খবর নিয়ে তিনি জানতে পারেন, তার অনুমতি ছাড়া ঢাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন স্বামী। এক মাস আগে স্বামীর খোঁজ নেওয়ার জন্য ওই নারী ঢাকায় আসেন। রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার মন্দির গলিতে হেলালের বাড়ির পঞ্চম তলায় স্বামীর ভাড়া করা বাসায় ওঠেন তিনি। ২০/২৫ দিন একসঙ্গে থাকার পর তাকে মারধর করেন স্বামী। পরে গৃহবধূ তখন মোহাম্মদপুর থানায় জিডি করতে যান। জিডির খবর পেয়ে তার স্বামী বাসা ছেড়ে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ বগুড়া চলে যান। নিরুপায় হয়ে বাদী তখন তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের কচুয়ায় চলে যান।

গত ২১ জানুয়ারি গৃহবধূ আবারও ঢাকায় আসেন। ২৮ গত জানুয়ারি দুপুর ২টার দিকে ঢাকার সিএমএম কোর্ট চত্বরে যান। সেখানে গিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য একজন আইনজীবী খোঁজ করার সময় আসামি মো. ফজলুলের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। ফজলুল তখন তার পরিচিত একজন ভালো আইনজীবী আছে বলে জানায় এবং তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলে। বাদী আসামির কথায় বিশ্বাস করেন। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ২৮ জানুয়ারি দুপুর আড়াইটায় ওই গৃহবূকে ঢাকার সিজেএম কোর্টের মূল গেট-সংলগ্ন পানির পাম্পে নিজে রুমে নিয়ে যায় ফজলুল।

গৃহবধূকে রুমের ভেতরে বসিয়ে রেখে আইনজীবীকে ডেকে নিয়ে আসার কথা বলে বাইরে যায় ফজলুল। কিছু সময় পর সে চারটি ওয়ানটাইম চায়ের কাপসহ আসামি রুবেল ও অজ্ঞাতনামা আরও এক আসামিকে নিয়ে রুমে ফিরে আসে। এরপর ফজলুল ওই নারীকে ওয়ানটাইম কাপে করে চা খেতে দেয়। চা পান করার পর গৃহবধূর তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব আসে। তখন আসামিরা তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

পরে গৃহবধূ কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর আসামিদের গ্রেফতার করে পুলিশ।