আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধই সবচেয়ে বড় সংস্কার: হাসনাত

- Update Time : ০৪:৩২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
- / ৩২ Time View

আজ শনিবার সকালে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসমাবেশে বক্তব্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে কোনো ‘যদি’, ‘কিন্তু’, ‘অথবা’ নেই। অবিলম্বে স্বৈরাচারী দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। সেটাই হবে দেশে সবচেয়ে বড় সংস্কার।
শনিবার (৩ মে) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।
হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগ মারা গেছে বাংলাদেশে, আর জানাজা হয়েছে দিল্লিতে। আবরার ফাহাদ ও শহীদ আলিফের রক্তের ওপর পা দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। একাত্তর পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব বাকশালের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। দলটির লুটপাটের কারণে চুয়াত্তরের দুর্ভিক্ষে ১৫ লাখ মানুষ মারা গেছে। তারা কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী সংগঠন।
শেখ হাসিনার ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানান এনসিপির এই নেতা।
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমার ভাই আবরার, আবু সাঈদের রক্তের ওপর পাড়া দিয়ে এই আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ আসবে না। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হবে সবচেয়ে বড় সংস্কার। এখানে যদি, কিন্তু, আচ্ছা, দেখি নেই। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতেই হবে।’
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, হাসিনার ফাঁসি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তরুণ প্রজন্ম আন্দোলন চালিয়ে যাবে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ মারা গেছে এবং দিল্লিতে তাদের জানাজা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন হাসনাত। তিনি বলেন, ‘হাসিনা ও আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতি বাংলাদেশের মানুষ ৫ আগস্ট রেড কার্ড দেখিয়ে দিয়েছে। সেদিনই আমরা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি।’
হাসনাত আরও বলেন, ‘( গণ-অভ্যুত্থানের) আট মাস পরে এসে অনেক রাজনৈতিক দল, রাজনীতিবিদ বারবার মনে করিয়ে দেয়, আওয়ামী লীগ নাকি রাজনৈতিক দল। দলটির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নাকি তাঁদের নাই। অধ্যাপক ইউনূস কয়েক দিন আগে বলেছেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে কি না, এ সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের। অধ্যাপক ইউনূস ভুলে যাবেন না আমরা আপনাকে ক্ষমতায় বসিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক দল নয়। স্বাধীনতার পর বাকশাল কায়েম করে শেখ মুজিবুর গণতন্ত্রকে হত্যা করেন। সে সময়ে জাসদের ৩০ হাজার নেতা–কর্মীকে হত্যা করেছিল এই দল। এই আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের সংগঠন। তাদের নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে আমরা সংস্কার দেখতে চাই।’
হেফাজতের নেতা–কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে যে হত্যাকাণ্ড হয়েছে, আজকে এখান থেকে আপনারা শহীদদের তালিকা জাতির সামনে প্রকাশ করুন।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় সংস্কারগুলোকে পাশ কাটিয়ে প্রয়োজনীয় যেসব সংস্কার রয়েছে, সেগুলোর মাধ্যমে যদি নারীদের অধিকার নিশ্চিত হয়, নারীদের সম্মান নিশ্চিত হয়, সেগুলো করুন।’
উল্লেখ্য, নারী অধিকার সংস্কার বিষয়ক কমিশনের প্রস্তাব বাতিল, শাপলা ট্র্যাজেডিসহ আওয়ামী শাসনামলে সব গণহত্যার বিচারসহ চার দফা দাবিতে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করছে হেফাজতে ইসলাম।