ঢাকা ০৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, শিক্ষকের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৪১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২২৬ Time View

মাদ্রাসা পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামে এক গৃহ শিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক এস এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম যশোর জেলার মণিরামপুর থানার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের ছেলে। ২০১৫ সালে তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই এলাকায় একটি বাড়িতে গৃহ শিক্ষক হিসেবে থেকে এলাকার শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গৃহ শিক্ষক হিসেবে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার মাকে জানালে জাহাঙ্গীরকে সতর্ক করা হয়। ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসা গেলে ছুটির পর জাহাঙ্গীর তাকে বিয়ের কথা বলে ‘ফুসলিয়ে’ মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে ভুক্তভোগীর মা থানায় গিয়ে অপহরণের মামলা করেন। পরে একই বছর ১৮ জুন পুলিশ গাজীপুর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে এবং জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, জামিনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মামলা চলাকালে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায় ঘোষণার খবরে বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী।ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উত্তর তিলাই গ্রামে লজিং থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলম কুরআন শিক্ষা দিয়ে আসছিল। সেখানকার এক কিশোরীকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল অপহরণের পর ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ৫ এপ্রিল কিশোরীর মা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একটি ধারায় যাবজ্জীবন ও অপর ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পৃথক ধারায় তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ, শিক্ষকের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৪১:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৩

মাদ্রাসা পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে (১৩) অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামে এক গৃহ শিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল কুড়িগ্রামের বিচারক এস এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাহাঙ্গীর আলম যশোর জেলার মণিরামপুর থানার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল গণি সরদারের ছেলে। ২০১৫ সালে তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই এলাকায় একটি বাড়িতে গৃহ শিক্ষক হিসেবে থেকে এলাকার শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলা করেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গৃহ শিক্ষক হিসেবে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার সময় ওই শিক্ষার্থীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার মাকে জানালে জাহাঙ্গীরকে সতর্ক করা হয়। ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসা গেলে ছুটির পর জাহাঙ্গীর তাকে বিয়ের কথা বলে ‘ফুসলিয়ে’ মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। খোঁজাখুঁজির পর পাওয়া না গেলে ভুক্তভোগীর মা থানায় গিয়ে অপহরণের মামলা করেন। পরে একই বছর ১৮ জুন পুলিশ গাজীপুর থেকে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে এবং জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, জামিনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মামলা চলাকালে নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায় ঘোষণার খবরে বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী।ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক জানান, কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর উত্তর তিলাই গ্রামে লজিং থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলম কুরআন শিক্ষা দিয়ে আসছিল। সেখানকার এক কিশোরীকে বিভিন্নভাবে প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল অপহরণের পর ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ৫ এপ্রিল কিশোরীর মা মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত একটি ধারায় যাবজ্জীবন ও অপর ধারায় ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পৃথক ধারায় তাকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।