ঢাকা ০৯:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক কারামুক্ত শহিদুল আলম, গেলেন তুরস্কে

অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, ৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ৪

শরিফুল হক পাভেল
  • Update Time : ০৪:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৩২৬ Time View

রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে অভিযোগ দায়েরের চার ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এসময় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণকারীরা হলেন- মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মো. রাজু ও মো. আলামিন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দের বাবার কাছে তার মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে।

ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলেন আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, তাকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে নগদ সার্ভিসের তিনটি নম্বর দিয়ে ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের দেওয়া নম্বরে নগদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে অপহৃতের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম সোমবার অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে।

তাকে উদ্ধারের পর গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি চাকু, একটি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গুলশান বিভাগের ডিসি জানান, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

রিমনের বাবা রঞ্জিত চন্দ্র দে ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, আমি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করার পর মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে তারা উদ্ধার করেছে।

পুলিশের আন্তরিকতা ও তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। এজন্য খিলক্ষেত থানা পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।

Please Share This Post in Your Social Media

অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি, ৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার ৪

শরিফুল হক পাভেল
Update Time : ০৪:২৯:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৩

রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকা থেকে অপহৃত এক যুবককে অভিযোগ দায়েরের চার ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার করেছে পুলিশ।

এসময় চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপহরণকারীরা হলেন- মো. ইকবাল হোসেন হাওলাদার, মো. জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, মো. রাজু ও মো. আলামিন।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ।

তিনি বলেন, সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকালে অপহৃত রিমন চন্দ্র দের বাবার কাছে তার মোবাইল নম্বর থেকে ফোন আসে।

ছেলের ফোন রিসিভ করার পর অপর পাশ থেকে এক ব্যক্তি বলেন আপনার ছেলে আমাদের কাছে জিম্মি, তাকে সুস্থ শরীরে ফেরত পেতে চাইলে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।

কিছুক্ষণ পর অপহরণকারীরা আবার ফোন করে নগদ সার্ভিসের তিনটি নম্বর দিয়ে ৫ লাখ টাকা দিতে বলে। উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগীর বাবা তাদের দেওয়া নম্বরে নগদে ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। এ বিষয়ে অপহৃতের বাবা খিলক্ষেত থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

ডিসি শহিদুল্লাহ আরও বলেন, অভিযোগ পেয়ে খিলক্ষেত থানা পুলিশের দুটি টিমকে নিয়োজিত করা হয়। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলামের নেতৃত্বে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেরিনা আক্তারসহ খিলক্ষেত থানার একটি টিম সোমবার অপহৃত রিমনকে উদ্ধার করে।

তাকে উদ্ধারের পর গাজীপুরের বাসন থানার সালনা বাজার ও ঢাকার খিলক্ষেতের নিকুঞ্জ-২ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, ৫টি মোবাইল ফোন, একটি চাকু, একটি গামছা, রশি ও নগদ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গুলশান বিভাগের ডিসি জানান, গ্রেফতাররা একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র। তারা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাই ও অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করতো। গ্রেফতার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

রিমনের বাবা রঞ্জিত চন্দ্র দে ছেলেকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পরেন। তিনি বলেন, আমি খিলক্ষেত থানায় অভিযোগ করার পর মাত্র ৪ থেকে ৫ ঘণ্টার মধ্যে ছেলেকে তারা উদ্ধার করেছে।

পুলিশের আন্তরিকতা ও তাদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের জন্য ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি। এজন্য খিলক্ষেত থানা পুলিশের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ।