ঢাকা ০৬:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
লোহাগাড়ায় অস্ত্র ও লুন্ঠিত মালামালসহ ডাকাত দম্পতি আটক শাহজাহান চৌধুরীর সাথে স্বাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর জুলি ভারবার্গ রংপুরে ৫টি আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোষণা টাঙ্গাইল শহরের প্রবেশ দ্বারে ময়লার ভাগার, দূর্গন্ধে অতিষ্ঠ পথচারীরা জামায়াত রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে মহিলারা সবচাইতে ভালো থাকবে পুলিশের চেকপোস্টে পিস্তল-গুলি ফেলে পালাল সন্ত্রাসী রিফিউজি জীবন চাই না, নিজভূমিতে ফিরতে চাই উখিয়ায় ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযান: আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেফতার নিজ দলের লোকই বিএনপির কাছে নিরাপদ নয় – ফজলুল করিম বেরোবি শিক্ষক মাহামুদুল হকের মুক্তির দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৬৭ Time View

ছবিঃ সংগৃহীত

সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের একদফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি না মানতে অনড় অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নীলক্ষেত মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ড. কুদ্দুস সিকদার বলেন, সিজিপিএ শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলছি।

তবে কর্তৃপক্ষ তাদের যে নীতিমালা রয়েছে সেটির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারপরও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমাদের জানা আছে। এ দাবিগুলো- আমাদের কলেজের অধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কলেজ প্রশাসনের যেসব দায়বদ্ধতার জায়গা রয়েছে সে বিষয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

তবে, সাত কলেজের ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি যৌক্তিক দাবি মনে করে তিনি বলেন, ৮ মাস বা ৯ মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশের যে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা সামনে এনেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তা যৌক্তিক।

প্রধানমন্ত্রী সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিয়েছেন কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করার জন্য, সেশনজট দূর করার জন্য। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কোনো বিষয়ের ফল প্রকাশ করতে ৭/৮/৯ মাস সময় নেয় সেটি কাম্য নয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা একমত। ফল প্রকাশে দীর্ঘসময়ের প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য একক পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। অথচ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষক ও নিরীক্ষক থাকতে হয়, যাতে শিক্ষার্থী পুরোপুরি ন্যায়বিচার পান।

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো একক পরীক্ষক রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত ফল প্রকাশ করা যায়। তারপরও যদি ফল প্রকাশ এত দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়।এ সময় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাস্তায় আন্দোলনে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৬:২৮:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে মানোন্নয়ন পরীক্ষা নিয়ে পরবর্তী বর্ষে প্রমোশনের একদফা দাবিতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে আন্দোলন করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা।

তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি না মানতে অনড় অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা কলেজ শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ড. মো. আব্দুল কুদ্দুস সিকদার।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নীলক্ষেত মোড়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

ড. কুদ্দুস সিকদার বলেন, সিজিপিএ শর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনড় অবস্থানে রয়েছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কথা বলছি।

তবে কর্তৃপক্ষ তাদের যে নীতিমালা রয়েছে সেটির ব্যাপারে অনড় অবস্থানে রয়েছে। তারপরও আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমাদের জানা আছে। এ দাবিগুলো- আমাদের কলেজের অধ্যক্ষরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। কলেজ প্রশাসনের যেসব দায়বদ্ধতার জায়গা রয়েছে সে বিষয় আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

তবে, সাত কলেজের ফল প্রকাশে দীর্ঘসূত্রিতার বিষয়টি যৌক্তিক দাবি মনে করে তিনি বলেন, ৮ মাস বা ৯ মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশের যে বিষয়টি শিক্ষার্থীরা সামনে এনেছেন আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি তা যৌক্তিক।

প্রধানমন্ত্রী সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিয়েছেন কোয়ালিটি এডুকেশন নিশ্চিত করার জন্য, সেশনজট দূর করার জন্য। সেখানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি কোনো বিষয়ের ফল প্রকাশ করতে ৭/৮/৯ মাস সময় নেয় সেটি কাম্য নয়। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা একমত। ফল প্রকাশে দীর্ঘসময়ের প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, দ্রুত ফল প্রকাশ করার জন্য একক পরীক্ষকের মাধ্যমে খাতা মূল্যায়ন করা হয়। অথচ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরীক্ষক ও নিরীক্ষক থাকতে হয়, যাতে শিক্ষার্থী পুরোপুরি ন্যায়বিচার পান।

কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো একক পরীক্ষক রাখা হয়েছে যাতে দ্রুত ফল প্রকাশ করা যায়। তারপরও যদি ফল প্রকাশ এত দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের অনেক সময় চলে যায়।এ সময় অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।