ঢাকা ০১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
পচা মাংস বিক্রির অভিযোগে ইবিতে রেস্তোরাঁ বন্ধ করল প্রশাসন আকাশ কলি দাসকে ‘পাখি-বন্ধু’ পদকে ভূষিত করলো অ্যাপস সিসিক হোল্ডিং ট্যাক্স নিয়ে ক্ষোভ: আপত্তি ফরম নিয়েছেন সাড়ে ২২ হাজার জন নারীদের পরিবর্তনের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে তৈরি করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী হাতিরঝিলে ম্যারাথনের আয়োজন করছে পুলিশ বিএনপির ভারতীয় পণ্য বর্জন কর্মসূচি সফল হয়নি : ওবায়দুল কাদের সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজিতে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম: সাঈদ খোকন রাজধানীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের নির্দেশ লালমনিরহাটে বিমাতার বিরুদ্ধে অবশেষে আদালতে হত্যা মামলা করলেন ছেলে! উচ্চ শিক্ষায় গবেষণার কোনো বিকল্প নেই- জবি উপাচার্য

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সিপিবি(এম)’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

নওরোজ ডেস্ক রিপোর্ট
  • Update Time : ০৪:০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১২৮ Time View

আজ ২১ আগস্ট সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)—সিপিবি(এম) এর উদ্যোগে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সামছুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মোস্তফা আল খালিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড জাহিদ আনসারী, প্রচার সম্পাদক কমরেড তারেক ইসলাম বিডি, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক কমরেড আলাউদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্য কমরেড সামাদ বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান উদ্বেগ—উৎকন্ঠা ও আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে জনমনে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পরে সর্ব সম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল।

বিএনপি সরকারের সময় মাগুরা উপনির্বাচনের ভোট ডাকাতির পরে জনগণ কোন দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সেসময় গণ আন্দোলনের চাপে বিএনপি সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার পর চিরদিন ক্ষমতায় থাকার মানসে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সে ধারাটি বাতিল করেছে।

কমরেড সামাদ আরও বলেন, এখন আওয়ামীলীগ বলছেন তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে নেই। এই যুক্তি অচল সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের জনগণ চাইলে অবশ্যই এটা পরিবর্তন করা যাবে।

আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের ও ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে। এই সরকারের অধীনে যত স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়, এই সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

Please Share This Post in Your Social Media

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সিপিবি(এম)’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

Update Time : ০৪:০৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

আজ ২১ আগস্ট সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)—সিপিবি(এম) এর উদ্যোগে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি(মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড ডাঃ এম এ সামাদ এর সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড সামছুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড তালেবুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মোস্তফা আল খালিদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড জাহিদ আনসারী, প্রচার সম্পাদক কমরেড তারেক ইসলাম বিডি, ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক কমরেড আলাউদ্দিন ও কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্য কমরেড সামাদ বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজমান উদ্বেগ—উৎকন্ঠা ও আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে জনমনে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পতনের পরে সর্ব সম্মতিক্রমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসেছিল।

বিএনপি সরকারের সময় মাগুরা উপনির্বাচনের ভোট ডাকাতির পরে জনগণ কোন দলীয় সরকারের অধীনে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। সেসময় গণ আন্দোলনের চাপে বিএনপি সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান যুক্ত করতে বাধ্য হয়েছিল। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসার পর চিরদিন ক্ষমতায় থাকার মানসে সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সে ধারাটি বাতিল করেছে।

কমরেড সামাদ আরও বলেন, এখন আওয়ামীলীগ বলছেন তত্বাবধায়ক সরকারের বিধান সংবিধানে নেই। এই যুক্তি অচল সংবিধান কোন ধর্মগ্রন্থ নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। দেশের জনগণ চাইলে অবশ্যই এটা পরিবর্তন করা যাবে।

আওয়ামীলীগ সরকারের অধীনে ২০১৪ সালের ও ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে। এই সরকারের অধীনে যত স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়, এই সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হবে এটা জনগণ বিশ্বাস করে না। অবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দল নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানাই।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।