ঢাকা ০১:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
টিভি-নিউজ পোর্টালে হজ অ্যাপ ‘লাব্বাইক’ বিষয়ক ভিডিও প্রচারের অনুরোধ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সাবেক স্ত্রী মিমের ৩০ দিনের ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে’ যাচ্ছে ইউক্রেন ইসরাইলকে বয়কট, নরওয়েজিয়ান কনফেডারেশনের প্রশংসায় হামাস হজের আনুষ্ঠানিক কর্মপরিকল্পনা চালু করল সৌদি ভারত-পাকিস্তান ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ, প্রতি ঘণ্টায় ব্যয় ১ বিলিয়ন ডলার! ‘বুনইয়ানুম মারসুস’ এর সাফল্য উদযাপনে ‘ইউমে তাশাক্কুর’ পালন করছে পাকিস্তান ভারতে ইউটিউব চ্যানেল ব্লক, আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা ইলিয়াসের আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করছে চীন ও পাকিস্তান আ.লীগের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে জনকল্যাণে ব্যয় করা উচিত: নুর

জবিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি:
  • Update Time : ০৪:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩৬৬ Time View

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংগঠন ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট’স ইউনিয়নের আয়োজনে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে “এসো বনোফুলেরা, হাতে হাত মিলিয়ে শেকড়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নবদিগন্তের গান গায়” শীর্ষক স্লোগান নিয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ,একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাওলী মাহবুব।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করি। আমি চায় তারা যেন সার্বিকভাবে এগিয়ে যায়। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। দেশের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চল থেকে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। তারা অনেক সংগ্রাম করে। চাকরি ক্ষেত্রগুলোতে তাদের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি সাগর ত্রিপুরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক রানিং আদিবাসী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দেশে ৫৪টিরও বেশি আদিবাসী গোষ্ঠী আছে। দূর দূরান্ত থেকে আমরা পড়তে আসি। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা মাঝে মাঝে আন্দোলন করে থাকি। আমাদের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য রাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে আমরা যেন স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারি এটাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলার পাশাপাশি আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতির গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

জবিতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি:
Update Time : ০৪:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ছাত্র সংগঠন ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্ট’স ইউনিয়নের আয়োজনে নবীন বরণ ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৯ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে “এসো বনোফুলেরা, হাতে হাত মিলিয়ে শেকড়ের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নবদিগন্তের গান গায়” শীর্ষক স্লোগান নিয়ে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ,একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাওলী মাহবুব।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মাসুদ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আদিবাসী শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করি। আমি চায় তারা যেন সার্বিকভাবে এগিয়ে যায়। ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান। দেশের বিভিন্ন দুর্গম অঞ্চল থেকে আদিবাসী শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসে। তারা অনেক সংগ্রাম করে। চাকরি ক্ষেত্রগুলোতে তাদের জায়গা নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি সাগর ত্রিপুরা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় শতাধিক রানিং আদিবাসী শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। দেশে ৫৪টিরও বেশি আদিবাসী গোষ্ঠী আছে। দূর দূরান্ত থেকে আমরা পড়তে আসি। নতুন পরিবেশে মানিয়ে নেওয়া আমাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার জন্য আমরা মাঝে মাঝে আন্দোলন করে থাকি। আমাদের আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য রাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনীয় সুবিধাদি নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশে আমরা যেন স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে পারি এটাই আমাদের সকল শিক্ষার্থীর প্রত্যাশা।

আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে বাংলার পাশাপাশি আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতির গান, কবিতা ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়।