ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
তাবাসসুমের নেতৃত্বে আওয়ামী প্রেতাত্মারা এখনো সক্রিয় ভারতীয় বিভিন্ন সংস্থার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা ইসরাইলি সব পণ্য বয়কট করছে যুক্তরাজ্যের বৃহৎ সুপারমার্কেট ফিলিস্তিনের পক্ষ নেয়ায় ইংলিশ কিংবদন্তি লিনেকারকে ছাঁটাই করল বিবিসি কুবিতে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী দিলেন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা নির্বাচন পেছাতে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে : মির্জা ফখরুল আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ফ্রান্সের মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে ভুল বুঝানোর চেষ্টা করছে সরকারের উপদেষ্টা : ইশরাক সরকার গায়ের জোরে ইশরাককে মেয়র হতে দিচ্ছে না : রিজভী

গ্যাঁড়াকলে টেন্ডার প্রক্রিয়া, দীর্ঘায়িত জনদুর্ভোগ

মোঃ ইব্রাহিম শেখ,চট্রগ্রাম ব্যুরো
  • Update Time : ০৬:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩
  • / ২১২ Time View

কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট সেতু এলাকায় ফেরি চলাচলের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দুই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের কারণে বিপত্তিতে সওজ। এ নিয়ে ৬ মাসে ছয়বার টেন্ডার আহ্বান করেও গ্যাঁড়াকলে রয়েছে সড়ক বিভাগ।

সওজ সূত্র জানায়, গত ২ আগস্ট ৬ষ্ঠবারের মতো টেন্ডার জমা নেওয়া হয়। চারটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ফরম দাখিল করে। তিন বছরের জন্য ফেরি চলাচল ও রক্ষণাবেক্ষণের (জ্বালানি সরবরাহসহ) জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে সওজ। ষষ্ঠবারের টেন্ডারে মেসার্স মাহফুজ এন্ড ব্রাদার্সকে শীর্ষ দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করে সওজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হয় যৌথভাবে আমরিন এন্ড ব্রাদার্স এবং মাওয়া এন্টারপ্রাইজ।

কিন্তু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথম দরদাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। প্রতিষ্ঠানটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।

অভিযোগে দাবি করা হয়, সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মাহফুজ এন্ড ব্রাদার্সের টেন্ডার ফরমে ভ্যাট ও আয়করের হিসাবে গরমিল রয়েছে। হিসাবের গরমিল ও কাটাছেঁড়া করার অভিযোগের কারণে শীর্ষ দরদাতার টেন্ডার ফরম বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা গতকাল বলেন, ‘৬ষ্ঠবারের টেন্ডার ফরম মূল্যায়নশেষে আমরা সুপারিশের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। এক ঠিকাদার শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের সুপারিশ গ্রহণও করতে পারেন, আবার মনঃপূত না হলে টেন্ডার বাতিলও করতে পারেন।’

সূত্র জানায়, ফেরি চলাচলের ইজারা পেতে স্থানীয় দুটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট শুরু থেকে লড়াই করে আসছে। দুই গ্রুপের বিরোধের কারণে বেকায়দায় রয়েছে সওজ। গত ১ আগস্ট থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কালুরঘাট রেল সেতু। যানবাহন পারাপারে বিকল্প হিসেবে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। নিজস্ব জনবল দিয়ে ফেরি চলাচল করে আসছে সওজ। নিজস্ব জনবল দিয়ে ফেরি চালাতে চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলায় চরম দুর্ভোগ পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

গ্যাঁড়াকলে টেন্ডার প্রক্রিয়া, দীর্ঘায়িত জনদুর্ভোগ

মোঃ ইব্রাহিম শেখ,চট্রগ্রাম ব্যুরো
Update Time : ০৬:৪২:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অগাস্ট ২০২৩

কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট সেতু এলাকায় ফেরি চলাচলের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে গোলক ধাঁধায় পড়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দুই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের কারণে বিপত্তিতে সওজ। এ নিয়ে ৬ মাসে ছয়বার টেন্ডার আহ্বান করেও গ্যাঁড়াকলে রয়েছে সড়ক বিভাগ।

সওজ সূত্র জানায়, গত ২ আগস্ট ৬ষ্ঠবারের মতো টেন্ডার জমা নেওয়া হয়। চারটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টেন্ডার ফরম দাখিল করে। তিন বছরের জন্য ফেরি চলাচল ও রক্ষণাবেক্ষণের (জ্বালানি সরবরাহসহ) জন্য টেন্ডার আহ্বান করা হয়। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করে সওজ। ষষ্ঠবারের টেন্ডারে মেসার্স মাহফুজ এন্ড ব্রাদার্সকে শীর্ষ দরদাতা হিসেবে ঘোষণা করে সওজ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হয় যৌথভাবে আমরিন এন্ড ব্রাদার্স এবং মাওয়া এন্টারপ্রাইজ।

কিন্তু দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রথম দরদাতা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে। প্রতিষ্ঠানটি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, সওজ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে।

অভিযোগে দাবি করা হয়, সর্বোচ্চ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মাহফুজ এন্ড ব্রাদার্সের টেন্ডার ফরমে ভ্যাট ও আয়করের হিসাবে গরমিল রয়েছে। হিসাবের গরমিল ও কাটাছেঁড়া করার অভিযোগের কারণে শীর্ষ দরদাতার টেন্ডার ফরম বাতিলের দাবি করা হয়েছে। সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা গতকাল বলেন, ‘৬ষ্ঠবারের টেন্ডার ফরম মূল্যায়নশেষে আমরা সুপারিশের জন্য পাঠিয়ে দিয়েছি। এক ঠিকাদার শীর্ষ কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। এখন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাদের সুপারিশ গ্রহণও করতে পারেন, আবার মনঃপূত না হলে টেন্ডার বাতিলও করতে পারেন।’

সূত্র জানায়, ফেরি চলাচলের ইজারা পেতে স্থানীয় দুটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট শুরু থেকে লড়াই করে আসছে। দুই গ্রুপের বিরোধের কারণে বেকায়দায় রয়েছে সওজ। গত ১ আগস্ট থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে কালুরঘাট রেল সেতু। যানবাহন পারাপারে বিকল্প হিসেবে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। নিজস্ব জনবল দিয়ে ফেরি চলাচল করে আসছে সওজ। নিজস্ব জনবল দিয়ে ফেরি চালাতে চরম অব্যবস্থাপনা ও বিশৃঙ্খলায় চরম দুর্ভোগ পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।