জবির সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক হতে বড় বাধা সিজি
- Update Time : ১২:২১:০২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৩২ Time View
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ ও হতাশা তৈরি হয়েছে। অর্নাস ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে ন্যূনতম ৩.৭৫ সিজিপিএ শর্ত থাকায় শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি প্রথম ব্যাচ থেকে এপর্যন্ত কেউ। এতে নিজেদের বিভাগেই শিক্ষক হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থীরা।
বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পূর্বে শিক্ষক নিয়োগে অর্নাস বা মাস্টার্স যেকোনো একটিতে ৩.৭৫ সিজিপিএ থাকলেই আবেদন করা যেত। তবে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নীতিমালা সংশোধন করে অর্নাস ও মাস্টার্স উভয় পর্যায়ে কমপক্ষে ৩.৭৫ সিজিপিএ বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু বিভাগের প্রতিষ্ঠার পর এখন পর্যন্ত ১২টি ব্যাচ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করলেও কোনো শিক্ষার্থী সম্মিলিতভাবে এই মানদণ্ড পূরণ করতে পারেননি।ফলে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করার সুযোগ থেকেই বাদ পড়ছেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নিজের বিভাগের গ্র্যাজুয়েটরা আবেদন করতে না পারায় বিভাগে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক নিয়োগের প্রবণতা বাড়ছে। এতে বিভাগের একাডেমিক ধারাবাহিকতা ও গবেষণাভিত্তিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন তারা।
বিভাগের এক সাবেক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা যখন ভর্তি হয়েছিলাম, তখন বিভাগটি নতুন ছিল। পর্যাপ্ত শিক্ষক ছিলেন না, কোর্স কাঠামোও ছিল সীমিত। সেই বাস্তবতার মধ্যেই আমাদের পড়াশোনা শেষ করতে হয়েছে। এখন সেই বাস্তবতা উপেক্ষা করে এমন সিজিপিএ শর্ত আরোপ করা হলে আমরা কীভাবে শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করব?”
বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অধিকাংশ বিভাগে উচ্চ সিজিপিএ অর্জন করা অত্যন্ত কঠিন হলেও শিক্ষক নিয়োগে অর্নাস ও মাস্টার্সে ন্যূনতম ৩.৭৫ সিজিপিএ শর্ত নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিশেষ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে অনেক শিক্ষার্থীর সিজিপিএ ৩.৪৯-এ আটকে থাকায় তারা শিক্ষক নিয়োগে আবেদন করার সুযোগ হারাচ্ছেন।এই অযৌক্তিক মানদণ্ডের কারণে সামাজিক বিজ্ঞান তথা সাংবাদিকতা বিভাগের মেধাবী গ্র্যাজুয়েটরা ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়ছেন। শিক্ষক নিয়োগে ন্যূনতম সিজিপিএ ৩.৫০ নির্ধারণ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান বলেন, একজন শিক্ষার্থী তার নিজের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি যতটা টান অনুভব করেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি সেটা অনুভব করেন না, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে নিজের বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকতার সুযোগ পেলে যেমন দায়িত্বশীলতাবোধ কাজ করে, একইসাথে ঐ শিক্ষাঙ্গনের নিজস্ব আঙ্গিকে শিক্ষাদান করার সুযোগ হয়।নিজের শিক্ষাজীবনের নানা অপ্রাপ্তি আর প্রাতিষ্ঠানিক সীমাবদ্ধতাগুলো সহজেই খুজে বের করে সে অনুযায়ী পরবর্তী প্রজন্মকে শিক্ষাদানের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে এখনো জবির শিক্ষার্থীরা প্রধান্য পায় না, যা খুবই দুঃখজনক।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ড মো রেজাউল করিম বলেন, “আমরা বিষয়টি আমলে নিয়েছি। এটা নিয়ে কাজ করছি।”































































































































































































