তারেক রহমানের পরিকল্পনার বিষয়ে নজর রাখবে জামায়াত: ডা. শফিকুর
- Update Time : ০৮:৫৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৬ Time View
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, ‘তার একজন রাজনৈতিক সহকর্মী দীর্ঘ ১৭ বছর পর সরাসরি রাজনীতির মাঠে ফিরছেন, এটিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।’
একইসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ঐক্যের ব্যাপারে তারেক রহমান কী ভূমিকা রাখেন, অথবা কী পরিকল্পনা আছে তার এবং বাস্তবায়ন কিভাবে করবেন—এসব বিষয়ে জামায়াত নজর রাখবে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারও বিবিসিকে বলেছেন, ‘তিনিও ইতিবাচক হিসেবে দেখেন তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘটনাটিকে।’
তবে তিনিও মনে করেন, ‘তারেক রহমান কিভাবে ভূমিকা রাখেন, তার ওপর নির্ভর করে জাতীয় রাজনীতিতে তার অবস্থান তৈরি হবে।’
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে প্রিয় জন্মভূমিতে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেন, আমার একটি পরিকল্পনা আছে, দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন হবে। ইনশাআল্লাহ আমরা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব।
‘প্রিয় ভাই বোনেরা, মার্টিন লুথার কিংয়ের একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আমি বলতে চাই, আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই, জাতীয়তাবদী দলের একজন সদস্য হিসেবে বলতে চাই, আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান, ফর দ্যা পিপল অফ মাই কান্ট্রি। এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য যদি সেই প্ল্যান,সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে হয়- এই জনসমুদ্রে যত মানুষ উপস্থিত আছেন, পুরো বাংলাদেশে গণতন্ত্রের শক্তি যত মানুষ আছেন প্রত্যেকের সহযোগিতা আমার লাগবে। আপনারা যদি আমাদের পাশে থাকেন, আপনারা যদি আমাদের সহযোগিতা করেন- ইনশাআল্লাহ আমরা ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।’
এসময় তিনি নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে হাত তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৭১ সালের মতো ২০২৪ সালে এ দেশের ছাত্র-জনতাসহ সর্বশ্রেণির মানুষ দেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করেছিল। আজ বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ফিরে পেতে চায়, তাদের কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে আমাদের নেতাকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি দূর থেকে প্রায় দেড় যুগ আমাদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। গণতন্ত্র উত্তরণের কঠিন পথগুলো পার করেছি তার নেতৃত্বে।
সকাল থেকেই রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে আসা লাখো মানুষের উপস্থিতিতে ৩০০ ফিট এলাকা এক জনসমুদ্রে পরিণত হয়। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। মঞ্চে ওঠার পর তারেক রহমান হাত নেড়ে জনতাকে অভিবাদন জানান।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ‘বিজি ২০২’ ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ পেরিয়ে মাটি ছুঁয়ে দেশের মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নেন তারেক রহমান।
তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।
বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে কড়া নিরাপত্তায় বুলেটপ্রুফ বাসে করে, রাস্তার দুপাশে দাঁড়ানো লাখ লাখ নেতাকর্মীর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এবং জনতার উত্তাল তরঙ্গ পেরিয়ে ৩০০ ফিট সড়ক সংলগ্ন বিশাল গণঅভ্যর্থনার মঞ্চে উপস্থিত হন তারেক রহমান।
































































































































































































