ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলার রূপরেখা অঙ্কন করবে: ইসি সানাউল্লাহ আরেক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন জয় আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান পাচারের অর্থ ফেরত আনার সক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই : রেজা কিবরিয়া দাম কমিয়ে বৈধ আমদানি বাড়াতে মোবাইল ফোনে শুল্ক কমছে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ : চরমোনাই পীর ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্বে হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

রাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০১:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ Time View

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে তিন বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে আগামী ১০ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের ছাত্রত্ব বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার। সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট তাঁদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাইছি শিক্ষার্থীদের নামগুলো গোপন থাকুক। কারণ, তাঁদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ যোগ্যতার ফল না থাকা, শিক্ষার্থীদের হুমকিসহ নানা অভিযোগে গত অক্টোবরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের পর চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হলো।

অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে গত আগস্টের শুরুর দিকে এক ছাত্রীকে ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনা জানাজানির পর ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।

অন্যদিকে ১১ মে সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহকে বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অনৈতিক অবস্থায় আটক করা হয়। এ ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া নিল সিন্ডিকেট।

Please Share This Post in Your Social Media

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষক বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

রাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০১:৪৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে বরখাস্ত, দুই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের ৫৪৪তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারকে তিন বছরের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তাঁকে আগামী ১০ বছর পরীক্ষাসংক্রান্ত সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার ও ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে নেওয়া ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের ছাত্রত্ব বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার ও দুই শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার। সিন্ডিকেট সভার তারিখ থেকেই এসব সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সিন্ডিকেট তাঁদের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাইছি শিক্ষার্থীদের নামগুলো গোপন থাকুক। কারণ, তাঁদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীও রয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সহযোগী অধ্যাপক অনীক কৃষ্ণ কর্মকারের বিরুদ্ধে নিয়োগ যোগ্যতার ফল না থাকা, শিক্ষার্থীদের হুমকিসহ নানা অভিযোগে গত অক্টোবরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেন। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কারের পর চূড়ান্ত শাস্তি দেওয়া হলো।

অধ্যাপক প্রভাস কুমার কর্মকারের বিরুদ্ধে গত আগস্টের শুরুর দিকে এক ছাত্রীকে ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে। পরে এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ১৩ আগস্ট ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনা জানাজানির পর ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।

অন্যদিকে ১১ মে সহযোগী অধ্যাপক হেদায়েত উল্লাহকে বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কক্ষে অনৈতিক অবস্থায় আটক করা হয়। এ ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চতর কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুযায়ী এ শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া নিল সিন্ডিকেট।