শীতে সর্দি-কাশি থেকে সুরক্ষা দেবে যেসব খাবার
- Update Time : ১০:১৮:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ২২ Time View
ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। শীত শুরুর সাথে সাথেই অনেকের সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও মাথা যন্ত্রণা, গলা ব্যাথা, কাশি ও বুকে কফ জমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকরা বলছেন, শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোই সর্দি-কাশি এড়ানোর প্রথম শর্ত। আর তা সম্ভব হয় সঠিক খাবার খেলে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু খাবার আছে যা শীতকালীন সময়ে খাদ্যতালিকায় রাখলে শরীর গরম থাকে, ভাইরাসের সংক্রমণও অনেকাংশে কমে যায়। এসব খাবার শরীরের ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি পূরণ করে। সেই সঙ্গে তৈরি প্রাকৃতিকভাবে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু খাবারের নাম-
আদা : আদায় থাকা অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গলা ব্যথা কমায়, ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধ করে। সকালে চা-তে বা গরম পানিতে আদা মিশিয়ে খেলে দ্রুত উপকার পাবেন।
মধু : শীতে মহৌষধের মতো কাজ করে মধু। গলার জ্বালা কমানোর সঙ্গে মধু শরীরে উষ্ণতা বাড়ায়, দীর্ঘস্থায়ী কাশিও সারায়।
রসুন: শরীরের ন্যাচারাল অ্যান্টিবায়োটিক। নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে জিঙ্ক ও এলিসিনের মাত্রা বাড়ে, যা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়।
লেবু: লেবু ব্যাকটেরিয়াল ও ভাইরাল সংক্রমণ থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে দারুণ কার্যকর। এছাড়াও, লেবুর খোসায় রয়েছে ফাইবার ও এন্টি অক্সিডেন্ট। এই এন্টি অক্সিডেন্ট ক্যান্সারের ঝুকি কমায় এবং হার্ট ভালো রাখে।
বাদাম: নানা প্রকার বাদাম খাওয়া যেতে পারে। এতে ভিটামিন ‘ই’ রয়েছে। এ ছাড়া থাকে প্রোটিন, আঁশ ও স্বাস্থ্যকর চর্বি, যা ঘন ঘন ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে।
স্যুপ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ সবজি: গাজর, বিট, টম্যাটো ইত্যাদি দৈনন্দিন ডায়েটে রাখলে উপকার হয়।
হলুদ: হলুদ দুধও খেতে পারেন । হলুদে থাকা কারকুমিন প্রদাহ কমায়। রাতের বেলা গরম দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে সর্দি-কাশি দূরে থাকে।
চিকিৎসকেরা আরও বলছেন, শীতে কমলা, আমলকি, বাতাবি লেবু; এই সব ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ ফল খাওয়া খুব জরুরি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, শরীরকে ঠান্ডার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
শীতে কমবেশি সবার মধ্যেই কম পানি খাওয়ার প্রবণতা থাকে। শরীরে পানিশূন্য হলে সর্দি-কাশির ঝুঁকি বাড়ে। তাই নিয়মিত গরম পানি পান করুন। সঙ্গে ধুলো-বাতাস এড়িয়ে চলা, পর্যাপ্ত ঘুম আর নিয়মিত ব্যায়াম করুন।






































































































































