নওগাঁয় স্কুল মাঠে চলছে বাণিজ্য মেলা, জানেন না সভাপতি
- Update Time : ১১:৩৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ৩৪ Time View
দুসপ্তাহ ধরে স্কুলের মাঠ দখল করে চারিদিকে টিন দিয়ে ঘিরে কাঠ দিয়ে সাজানো হয়েছে ৫০টি স্টল। রয়েছে পোশাক, খাবার, খেলনা, গয়না আর গৃহস্থালি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, নাগরদোলা, নৌকা, ড্রাগন প্রভৃতি রাইড। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলছে মেলা। অথচ এব্যাপারে স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে জানানো হয়নি কিছুই। সম্পন্ন হয়নি প্রশাসনিক অনুমতি। মেলার ব্যানারে ‘‘সার্বিক সহযোগীতায় নওগাঁ জেলা পুলিশ” লেখা থাকলেও পুলিশের উর্ধতন মহলও এব্যাপারে কিছুই জানেন না।
গত মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) থেকে নওগাঁ শহরের প্রাণকেন্দ্র হাট-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে বিদ্যালয় মাঠে লাগানো হয়েছে মাসব্যাপি এ ‘‘শীতবস্ত্র ও শিল্প পণ্য মেলা”। শিক্ষার্থীরা চলাচল করছে বিকল্প রাস্তা দিয়ে। অনুমতি না থাকলেও মেলায় প্রবেশের জন্য কাটতে হচ্ছে ২০ টাকার টিকিট।
রাজশাহী শিল্প এন্ড বেনারসি জামদানি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি এর আয়োজক। মেলার ডেকোরেশনের সময় থেকে মেলা চালু পর্যন্ত এই বার্ষিক পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যহত হয়েছে মারাত্মকভাবে। এমন আত্মঘাতি কাজ কেন করতে গেলেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে দারুন ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আর সন্তানদের লেখাপড়ার মান নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকেরা। এনিয়ে নানা মহলে চলছে বিতর্ক আর গুঞ্জন। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুল খোলা থাকা অবস্থায় কিভাবে মেলা চলবে তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
আয়োজক সংগঠনের স্বত্ত্বাধিকারি রহিদুল ইসলাম জানালেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মেলা আয়োজনের লিখিত অনুমতি দিয়েছেন, আর জেলা প্রশাসনের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
হাট-নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস.এম নাজমুল হাসান বলেন, ‘‘এলাকার এলিট পারসন বিশেষ করে প্রবাহ সংসদের সভাপতি সম্পাদকসহ অন্যদের অনুরোধে স্কুল মাঠে মেলা করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। স্কুলের সভাপতিকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে।”
ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জান্নাত আরা তিথি সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষক স্কুল মাঠে মেলা চালানোর অনুমতি দিতে পারেন না। এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানাননি।”
নওগাঁর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘ওই মেলার সঙে জেলা পুলিশের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ব্যানারগুলো খুঁলে ফেলতে বলা হয়েছে।”
নওগাঁর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘মেলা বিষয়ে একটি আবেদন এসেছে। অনুমদনের প্রক্রিয়া চলছে।






































































































































