ঢাকা ১২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি ফেব্রুয়ারির নির্বাচন ভবিষ্যত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক পথচলার রূপরেখা অঙ্কন করবে: ইসি সানাউল্লাহ আরেক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হচ্ছেন জয় আগামী নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালনে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান পাচারের অর্থ ফেরত আনার সক্ষমতা বর্তমান সরকারের নেই : রেজা কিবরিয়া দাম কমিয়ে বৈধ আমদানি বাড়াতে মোবাইল ফোনে শুল্ক কমছে খালেদা জিয়াকে দেখতে হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা ধোঁকা দেওয়ার দিন শেষ : চরমোনাই পীর ঢাকা কলেজের সামনে সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিবের দায়িত্বে হাবিবুর রহমান সিদ্দিকী

ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১০:০৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১১ Time View

ইসি থেকে আজ নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আজ নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা দেওয়ার সময় যেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেকটা দল যাতে নির্বাচনের যাত্রা শুরু করার পরিবেশে থাকে। সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশটা যাতে থাকে। সেই সময়টায় যদি তফসিল দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য উপকারী হবে।’

আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছ থেকে তিনি দলের নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সিইসি’র সঙ্গে আজকের বৈঠক ছিল মূলত— কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। এনসিপি একটি নিবন্ধিত দল হিসেবে এখন থেকে কাজ করবে। এই নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সঙ্গে আমাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে প্রতীক পেয়েছি শাপলা কলি। এই শাপলা কলি প্রতীকে এবার এনসিপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে, গ্রাম বাংলার মানুষের প্রতীক হিসেবে শাপলা কলি এবার নির্বাচনে থাকবে। নিবন্ধনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ইসি ও এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাবনা অনুযায়ী আরপিও’তে পরিবর্তন এনেছে। প্রত্যেকটা দল তাদের স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে এই সংস্কার প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছি। আমরা মনে করি— বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার জন্য এই নিয়মটি প্রয়োজন। প্রত্যেকটা দলকে তার নিজস্ব প্রতীকে, নিজস্ব মার্কায়, নিজস্ব আদর্শে রাজনীতি করা উচিত। কোনো দলের সাথে জোট বা সমঝোতা হলেও তার প্রতীক আলাদা হওয়া উচিত। কিন্তু, আমরা দেখে আসছি যে, সরকারকে এবং ইসিকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে একটি দলের পক্ষ থেকে। যাতে এই আইনটি সংস্কার করে প্রস্তাবনাটি বাতিল করা হয়। যাতে জোটের সঙ্গীরা এক মার্কায় নির্বাচন করতে পারে। আমরা দেখেছি যে, আদালতে এটা নিয়ে একটা রিটও হয়েছে। আমরা সিইসিকে বলেছি— এই বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে আইনগতভাবে যেন মোকাবিলা করা হয়। এনসিপির পক্ষ থেকেও আমরা আইনগতভাবে এই বিষয়ে সংস্কারের পক্ষে কাজ করে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে— হলফনামায় প্রার্থীরা যে তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে থাকবে, সেই তথ্য যাতে ইসি যাচাই-বাছাই করে। সেই তথ্যে যদি ভুল থাকে, ইসির পক্ষ থেকে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যে আইন, সে আইন যাতে সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়।’

দলটির আহ্বায়ক বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এখন যে ডিসি, এসপি বদলি হচ্ছে, সে বিষয়ে যেন ইসি খেয়াল রাখে। এই  বিষয়ে যেন ইসি ব্যবস্থা নেয় এবং নিরপেক্ষ লোক যেন নিয়োগ হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তফসিলের বিষয়ে ইসি আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানায়নি। ইসি মিডিয়াতে বলেছে— হয়তো আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে দেবে। আমরা বলেছি— বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই তারা যাতে তফসিলের ঘোষণাটি দেয়। তফসিল এমন সময়ে দেওয়া হোক, যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে। আমরা বলেছি— বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই ইসি যাতে তফসিলের ঘোষণাটি দেয়।’

এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তফসিল নিয়েও কথা হয়েছে। একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যখন আসবে, তখন তফসিল দেওয়া হলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। গণতন্ত্রেও আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ রয়েছেন। এখানে দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতি রয়েছে। সঙ্কটগুলো উত্তরণ করে একটা তফসিল দিয়ে সবাইকে ভোটিং প্রসেসে নিয়ে যেতে হবে।’

সিইসির সাথে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।

Please Share This Post in Your Social Media

ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেয়েছে এনসিপি

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১০:০৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে আজ নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা দেওয়ার সময় যেন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকে।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রত্যেকটা দল যাতে নির্বাচনের যাত্রা শুরু করার পরিবেশে থাকে। সার্বিক রাজনৈতিক পরিবেশটা যাতে থাকে। সেই সময়টায় যদি তফসিল দেওয়া হয়, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং সকল রাজনৈতিক দলের জন্য উপকারী হবে।’

আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ. এম. এম. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকের পর ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদের কাছ থেকে তিনি দলের নিবন্ধন সার্টিফিকেট গ্রহণ করেন।

বৈঠক শেষে এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, সিইসি’র সঙ্গে আজকের বৈঠক ছিল মূলত— কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়, সেটি আমরা গ্রহণ করেছি। এনসিপি একটি নিবন্ধিত দল হিসেবে এখন থেকে কাজ করবে। এই নিবন্ধন সার্টিফিকেটের সঙ্গে আমাদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অনেক চড়াই উতরাই পার হয়ে প্রতীক পেয়েছি শাপলা কলি। এই শাপলা কলি প্রতীকে এবার এনসিপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হিসেবে, গ্রাম বাংলার মানুষের প্রতীক হিসেবে শাপলা কলি এবার নির্বাচনে থাকবে। নিবন্ধনের শুরু থেকেই কেন্দ্রীয় ও তৃণমূল নেতারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ইসি ও এনসিপির শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সংস্কার প্রস্তাবনা অনুযায়ী আরপিও’তে পরিবর্তন এনেছে। প্রত্যেকটা দল তাদের স্ব স্ব প্রতীকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। আমরা এনসিপির পক্ষ থেকে এই সংস্কার প্রস্তাবনাকে সাধুবাদ জানিয়েছি। আমরা মনে করি— বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার জন্য এই নিয়মটি প্রয়োজন। প্রত্যেকটা দলকে তার নিজস্ব প্রতীকে, নিজস্ব মার্কায়, নিজস্ব আদর্শে রাজনীতি করা উচিত। কোনো দলের সাথে জোট বা সমঝোতা হলেও তার প্রতীক আলাদা হওয়া উচিত। কিন্তু, আমরা দেখে আসছি যে, সরকারকে এবং ইসিকে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে একটি দলের পক্ষ থেকে। যাতে এই আইনটি সংস্কার করে প্রস্তাবনাটি বাতিল করা হয়। যাতে জোটের সঙ্গীরা এক মার্কায় নির্বাচন করতে পারে। আমরা দেখেছি যে, আদালতে এটা নিয়ে একটা রিটও হয়েছে। আমরা সিইসিকে বলেছি— এই বিষয়ে ইসির পক্ষ থেকে আইনগতভাবে যেন মোকাবিলা করা হয়। এনসিপির পক্ষ থেকেও আমরা আইনগতভাবে এই বিষয়ে সংস্কারের পক্ষে কাজ করে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি যে— হলফনামায় প্রার্থীরা যে তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে থাকবে, সেই তথ্য যাতে ইসি যাচাই-বাছাই করে। সেই তথ্যে যদি ভুল থাকে, ইসির পক্ষ থেকে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এছাড়া, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যে আইন, সে আইন যাতে সবার জন্য সমানভাবে প্রয়োগ হয়।’

দলটির আহ্বায়ক বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিয়ে আমাদের উদ্বেগ রয়েছে। এখন যে ডিসি, এসপি বদলি হচ্ছে, সে বিষয়ে যেন ইসি খেয়াল রাখে। এই  বিষয়ে যেন ইসি ব্যবস্থা নেয় এবং নিরপেক্ষ লোক যেন নিয়োগ হয়।’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘তফসিলের বিষয়ে ইসি আমাদেরকে সুস্পষ্টভাবে জানায়নি। ইসি মিডিয়াতে বলেছে— হয়তো আগামী দুই-এক সপ্তাহের মধ্যে দেবে। আমরা বলেছি— বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই তারা যাতে তফসিলের ঘোষণাটি দেয়। তফসিল এমন সময়ে দেওয়া হোক, যখন দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকবে। আমরা বলেছি— বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখেই ইসি যাতে তফসিলের ঘোষণাটি দেয়।’

এ সময় এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘তফসিল নিয়েও কথা হয়েছে। একটা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা যখন আসবে, তখন তফসিল দেওয়া হলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। গণতন্ত্রেও আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া অসুস্থ রয়েছেন। এখানে দেশের সঙ্কটময় পরিস্থিতি রয়েছে। সঙ্কটগুলো উত্তরণ করে একটা তফসিল দিয়ে সবাইকে ভোটিং প্রসেসে নিয়ে যেতে হবে।’

সিইসির সাথে বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ ও যুগ্ম সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম মুসা।