ঢাকা ০২:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দেশে ভিভিআইপি ও ভিআইপি কারা, কী সুবিধা পান তারা

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ১২:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৯ Time View

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) বিষয়টির সঙ্গে সবাই পরিচিত। তবে রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় কীভাবে এসব মর্যাদা নির্ধারিত হয় এবং এসব সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় কী ধরনের প্রটোকল অনুসরণ করা হয়, তা অনেকেই জানেন না।

দুই ধরনের ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোর কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকেন—ভিভিআইপি (ভেরি ভেরি ইম্পর্টেন্ট পারসন), যারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। পরের ধাপে আছেন ভিআইপিরা (ভেরি ইম্পর্টেন্ট পারসন)।

বিধি অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি অবস্থান, দায়িত্ব ও মর্যাদার দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করেন এবং যাদের নিরাপত্তাহানি হলে দেশ ও জাতি গভীর সংকটে পতিত হয়, তাদের ভিভিআইপি এবং ভিআইপি বলা হয়।

মর্যাদা নির্ধারণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের প্রটোকল বা ‘অর্ডার অব প্রিসিডেন্স’ অনুযায়ী, শুধু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুই পদাধিকারী— রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা— ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) হিসেবে গণ্য হন।

এ ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা বাংলাদেশ সফরকালে ভিভিআইপি মর্যাদা পান। তবে সরকার যদি মনে করে যেকোনো ব্যক্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তাদের ভিভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে।

অন্যদিকে ভিআইপি হলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র সচিব, সচিব, তিন বাহিনী প্রধান এবং পুলিশের প্রধান।

তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে অন্য কাউকেও ভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে। এতে তারাও নানা সুবিধাপ্রাপ্ত হন।

ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের দুটি বিশেষ বিভাগ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়— একটি হলো পুলিশের প্রটেকশন টিম এবং আরেকটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এ ছাড়া বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে চ্যান্সারি পুলিশ।

তবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা ও গার্ড রেজিমেন্ট থাকে—

রাষ্ট্রপতি: প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), যা তার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও ভিভিআইপি: স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।

এর পাশাপাশি পুলিশের সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নও এই নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা এসএসএফের সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করে।

সড়ক প্রটোকল

ভিআইপিদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের কোনো সড়কেই কোনো ভিআইপির জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকার কথা নয়। বিধি অনুযায়ী, তাদের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল থাকবে, কিন্তু তাদের চলাচলের জন্য কোনো সড়ক বন্ধ বা অন্য কোনো যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। তারা কোনো অগ্রাধিকারও পাবেন না। উল্টো পথে চলা বা অন্য গাড়ি সরিয়ে চলাচলের কোনো সুযোগ নেই কোনো ভিআইপির।

ভিভিআইপিদের বিশেষ বিধান: শুধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার (ভিভিআইপি) চলাচলের সময় সড়কের এক পাশ ফাঁকা করে চলাচলের বিধান রয়েছে। ভিভিআইপিদের যাতায়াতের নির্দিষ্ট সড়কটির এক পাশ ফাঁকা করে দেওয়া হয় এবং সেখানে সাধারণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। তাদের চলাচলের ১৫ মিনিট আগে এ সম্পর্কিত তথ্য এসএসএফ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে আদান-প্রদান করা হয়, যা তাদের দ্রুত ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে।

ভিআইপিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান ও বডিগার্ড পেয়ে থাকেন, যা মূলত থ্রেট অ্যাসেসমেন্টের (হুমকি বা ঝুঁকি বিবেচনায়) ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। নিরাপত্তাঝুঁকি বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্য কোনো ব্যক্তির জন্যও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, অধ্যাপক জাফর ইকবালের নিরাপত্তার জন্য ৩৬ জন পুলিশ পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন।

এসএসএফের ক্ষমতা ও দায়িত্ব : আইনের বিধান

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) আইনের বিধান অনুযায়ী, ভিভিআইপিদের সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বাহিনীর ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট ও কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত। এসএসএফ আইনের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে:

দৈহিক নিরাপত্তা : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী (বা প্রধান উপদেষ্টা) যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করাই বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।

বিদেশি ভিভিআইপি : বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি ব্যক্তিকেও দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করবে।

গোয়েন্দা তথ্য: তাদের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, আদান-প্রদান এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা এসএসএফের কাজ।

গ্রেপ্তার ও বলপ্রয়োগের বিশেষ ক্ষমতা: আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান অনুযায়ী, যদি এসএসএফের কোনো কর্মকর্তার বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে ভিভিআইপি অবস্থান করছেন বা অতিক্রম করছেন এমন স্থানে কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি তাদের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর, তাহলে ওই কর্মকর্তা বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সেই ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। এই ক্ষমতা দেশের সব প্রান্তে প্রযোজ্য।

শুধু তাই নয়, যদি ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তার প্রচেষ্টায় বলপ্রয়োগক্রমে বাধা দেন বা এড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে কর্মকর্তা গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সব উপায় অবলম্বন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ হুঁশিয়ারি প্রদানের পর তার ওপর গুলি বর্ষণ বা এমন বল প্রয়োগও করতে পারবেন, যাতে তার মৃত্যু হয়।

এই আইনি বিধান ভিভিআইপিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফকে একচ্ছত্র ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।

Please Share This Post in Your Social Media

দেশে ভিভিআইপি ও ভিআইপি কারা, কী সুবিধা পান তারা

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ১২:৫৫:০৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৫

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিআইপি) ও অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) বিষয়টির সঙ্গে সবাই পরিচিত। তবে রাষ্ট্রীয় বিবেচনায় কীভাবে এসব মর্যাদা নির্ধারিত হয় এবং এসব সুবিধাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সুরক্ষায় কী ধরনের প্রটোকল অনুসরণ করা হয়, তা অনেকেই জানেন না।

দুই ধরনের ব্যক্তি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা কাঠামোর কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকেন—ভিভিআইপি (ভেরি ভেরি ইম্পর্টেন্ট পারসন), যারা রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। পরের ধাপে আছেন ভিআইপিরা (ভেরি ইম্পর্টেন্ট পারসন)।

বিধি অনুযায়ী, যেসব ব্যক্তি অবস্থান, দায়িত্ব ও মর্যাদার দিক দিয়ে বিশেষ গুরুত্ব বহন করেন এবং যাদের নিরাপত্তাহানি হলে দেশ ও জাতি গভীর সংকটে পতিত হয়, তাদের ভিভিআইপি এবং ভিআইপি বলা হয়।

মর্যাদা নির্ধারণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা

বাংলাদেশের প্রটোকল বা ‘অর্ডার অব প্রিসিডেন্স’ অনুযায়ী, শুধু রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দুই পদাধিকারী— রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা— ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ (ভিভিআইপি) হিসেবে গণ্য হন।

এ ছাড়া বিদেশি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানরা বাংলাদেশ সফরকালে ভিভিআইপি মর্যাদা পান। তবে সরকার যদি মনে করে যেকোনো ব্যক্তি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, তবে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তাদের ভিভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে।

অন্যদিকে ভিআইপি হলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র সচিব, সচিব, তিন বাহিনী প্রধান এবং পুলিশের প্রধান।

তবে সরকার প্রয়োজন মনে করলে অন্য কাউকেও ভিআইপি মর্যাদা দিতে পারে। এতে তারাও নানা সুবিধাপ্রাপ্ত হন।

ভিআইপিদের নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের দুটি বিশেষ বিভাগ থেকে নিরাপত্তা দেওয়া হয়— একটি হলো পুলিশের প্রটেকশন টিম এবং আরেকটি স্পেশাল ব্রাঞ্চ। এ ছাড়া বিদেশি দূতাবাসগুলোর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছে চ্যান্সারি পুলিশ।

তবে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর জন্য আলাদা বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা ও গার্ড রেজিমেন্ট থাকে—

রাষ্ট্রপতি: প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট (পিজিআর), যা তার সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টা ও ভিভিআইপি: স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ)।

এর পাশাপাশি পুলিশের সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রটেকশন ব্যাটালিয়নও এই নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা এসএসএফের সঙ্গে সমন্বিত হয়ে কাজ করে।

সড়ক প্রটোকল

ভিআইপিদের জন্য বিশেষ কোনো ব্যবস্থাপনা: বাংলাদেশের কোনো সড়কেই কোনো ভিআইপির জন্য কোনো বিশেষ ব্যবস্থাপনা থাকার কথা নয়। বিধি অনুযায়ী, তাদের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল থাকবে, কিন্তু তাদের চলাচলের জন্য কোনো সড়ক বন্ধ বা অন্য কোনো যানবাহনের চলাচল বাধাগ্রস্ত করা যাবে না। তারা কোনো অগ্রাধিকারও পাবেন না। উল্টো পথে চলা বা অন্য গাড়ি সরিয়ে চলাচলের কোনো সুযোগ নেই কোনো ভিআইপির।

ভিভিআইপিদের বিশেষ বিধান: শুধু রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা প্রধান উপদেষ্টার (ভিভিআইপি) চলাচলের সময় সড়কের এক পাশ ফাঁকা করে চলাচলের বিধান রয়েছে। ভিভিআইপিদের যাতায়াতের নির্দিষ্ট সড়কটির এক পাশ ফাঁকা করে দেওয়া হয় এবং সেখানে সাধারণ যান চলাচল বন্ধ থাকে। তাদের চলাচলের ১৫ মিনিট আগে এ সম্পর্কিত তথ্য এসএসএফ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে আদান-প্রদান করা হয়, যা তাদের দ্রুত ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে।

ভিআইপিরা তাদের নিরাপত্তার জন্য গানম্যান ও বডিগার্ড পেয়ে থাকেন, যা মূলত থ্রেট অ্যাসেসমেন্টের (হুমকি বা ঝুঁকি বিবেচনায়) ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়। নিরাপত্তাঝুঁকি বিবেচনা করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অন্য কোনো ব্যক্তির জন্যও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, অধ্যাপক জাফর ইকবালের নিরাপত্তার জন্য ৩৬ জন পুলিশ পালাক্রমে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করছেন।

এসএসএফের ক্ষমতা ও দায়িত্ব : আইনের বিধান

বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) আইনের বিধান অনুযায়ী, ভিভিআইপিদের সুরক্ষা প্রদানের ক্ষেত্রে বাহিনীর ক্ষমতা সুনির্দিষ্ট ও কঠোরভাবে সংজ্ঞায়িত। এসএসএফ আইনের ক্ষমতা ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে:

দৈহিক নিরাপত্তা : রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী (বা প্রধান উপদেষ্টা) যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাদের দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করাই বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব।

বিদেশি ভিভিআইপি : বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি ব্যক্তিকেও দৈহিক নিরাপত্তা প্রদান করবে।

গোয়েন্দা তথ্য: তাদের নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটাতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, আদান-প্রদান এবং প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা এসএসএফের কাজ।

গ্রেপ্তার ও বলপ্রয়োগের বিশেষ ক্ষমতা: আইনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান অনুযায়ী, যদি এসএসএফের কোনো কর্মকর্তার বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে ভিভিআইপি অবস্থান করছেন বা অতিক্রম করছেন এমন স্থানে কোনো ব্যক্তির উপস্থিতি তাদের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর, তাহলে ওই কর্মকর্তা বিনা গ্রেপ্তারি পরোয়ানায় সেই ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করতে পারবেন। এই ক্ষমতা দেশের সব প্রান্তে প্রযোজ্য।

শুধু তাই নয়, যদি ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তার প্রচেষ্টায় বলপ্রয়োগক্রমে বাধা দেন বা এড়ানোর চেষ্টা করেন, তাহলে কর্মকর্তা গ্রেপ্তার কার্যকর করার জন্য প্রয়োজনীয় সব উপায় অবলম্বন করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে, অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ হুঁশিয়ারি প্রদানের পর তার ওপর গুলি বর্ষণ বা এমন বল প্রয়োগও করতে পারবেন, যাতে তার মৃত্যু হয়।

এই আইনি বিধান ভিভিআইপিদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসএসএফকে একচ্ছত্র ও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা প্রদান করে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।