ঢাকা ০৭:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঞ্ছারামপুরে ইউপি সদস্য খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে মেয়ে

মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৬:০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১৪ Time View

সাবেক ইউপি সদস্য মো. মুছা মিয়া।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ মো. মুছা মিয়ার (৫৯) গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার।

দৈনিক নওরোজের সঙ্গে আলাপকালে সোনিয়া তার বাবার খুন হওয়া নিয়ে বলেন, মরদেহ পাওয়ার আগের দিন কেউ একজন ফোনে আমার বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। বাবা ঐ লোককে বলেছিল ছলিমাবাদ বাজারে দেখা করতে। আমার বাবা কারোর কোনো কিছু মেরে খায়নি কখনো। ফোনে হুমকির পরদিনই গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেলে আমার বাবাকে।

এসময় হুমকি দেয়া ব্যক্তিটি কে তা জানতে চাইলে সোনিয়া বলেন, আমি এখনই তার নাম বলতে চাচ্ছি না। এতে করে বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

এদিকে পুলিশ বলছে তাদের তৎপরতা চলছে। দ্রুতই দোষীদের আনা হবে আইনের আওতায়।

এর আগে রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার হোসেনপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মুছা মিয়া ওই ইউনিয়নের ছলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘নিহত মুছার সাথে টাকা লেনদেনের দ্বন্দ্ব নিয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কে বা কারা গলা তাকে কেটে হত্যা করে পালিয়েছে, তার এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা কাজ করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

বাঞ্ছারামপুরে ইউপি সদস্য খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে মেয়ে

মেহেদী হাসান মেহের, বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
Update Time : ০৬:০২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ছলিমাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ মো. মুছা মিয়ার (৫৯) গলা কাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে তার মেয়ে সোনিয়া আক্তার।

দৈনিক নওরোজের সঙ্গে আলাপকালে সোনিয়া তার বাবার খুন হওয়া নিয়ে বলেন, মরদেহ পাওয়ার আগের দিন কেউ একজন ফোনে আমার বাবাকে হুমকি দিয়েছিল। বাবা ঐ লোককে বলেছিল ছলিমাবাদ বাজারে দেখা করতে। আমার বাবা কারোর কোনো কিছু মেরে খায়নি কখনো। ফোনে হুমকির পরদিনই গলাকাটা অবস্থায় পাওয়া গেলে আমার বাবাকে।

এসময় হুমকি দেয়া ব্যক্তিটি কে তা জানতে চাইলে সোনিয়া বলেন, আমি এখনই তার নাম বলতে চাচ্ছি না। এতে করে বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিতে পারে।

এদিকে পুলিশ বলছে তাদের তৎপরতা চলছে। দ্রুতই দোষীদের আনা হবে আইনের আওতায়।

এর আগে রবিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলার হোসেনপুর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত মুছা মিয়া ওই ইউনিয়নের ছলিমাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘নিহত মুছার সাথে টাকা লেনদেনের দ্বন্দ্ব নিয়ে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান জামিল বলেন, ‘খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। কে বা কারা গলা তাকে কেটে হত্যা করে পালিয়েছে, তার এখনো কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য আমরা কাজ করছি।