ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে

‘হাওয়া’র গান নিয়ে বিতর্ক

Reporter Name
  • Update Time : ০২:১৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২৮৯ Time View

ছোটপর্দার নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি অভিনীত সিনেমাটি গেল বছর জুলাইয়ে মুক্তি পায়। মুক্তির আগেই এতে থাকা হাশিম মাহমুদের ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। এরপর ‘এ হাওয়া’, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ গানগুলোও দারুণ জনপ্রিয়তা পায় দর্শকমহলে।

দেশ কাঁপিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায় ‘হাওয়া’। সবখানেই সিনেমাটি হয়েছে প্রশংসিত। ভারতের দর্শকদের মুখেও শোনা গেছে ‘হাওয়া’র জয়ধ্বনি। তবে এবার এই সিনেমার একটি গান নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ব্যবসাসফল এই সিনেমার ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ গানটির গীতিকার কলকাতার মনিরুদ্দিন আহমেদ। গানে তার নাম দেওয়া হয়নি, তাই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আর এ বিষয়টি সামনে আনে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো।

বীরভূম জেলার ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না গানটির গীতিকার ও সুরকার মনিরুদ্দিন আহমেদ। উনার লেখা অসংখ্য গান গেয়েছেন স্বপ্না চক্রবর্তী, আমিনুর রসিদ, কার্তিক দাস বাউল, বাসুদেব দাস বাউল, জিতেন নন্দী এবং অনেকে। মনিরুদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী ছিলেন। বর্তমানে মনিরুদ্দিন আহমেদের বয়স ৮১ বছর, সিউড়ি লালকুঠি পাড়াতে তুলি কলম নামের বাড়িতে থাকেন।’

বিশ্বজিৎ আরো লিখেন, ‘দুঃখের বিষয় এটাই যে গানটি “হাওয়া” সিনেমায় ব্যবহৃত হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু গানটির রচয়িতা মনিরুদ্দিন আহমেদ তার যথাযথ সম্মান পেলেন না। উনার নাম ব্যবহার না করে প্রচলিত গান বলে চালিয়ে দেওয়া হলো। কেন? লেখকের হয়ে, “হাওয়া” সিনেমার পরিচালক, প্রযোজকসহ সমস্ত কলাকূশলীর কাছে লেখককে সঠিক মর্যাদা দেওয়ার আবেদন রাখছি। “হাওয়া” টিমের উচিত ছিল গানটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করে শিল্পীকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া। এই বিষয়ে “হাওয়া” সিনেমা টিম দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এ আমাদের বিশ্বাস।’

এদিকে বিশ্বজিতের এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন গীতিকার মনিরুদ্দিনের বড় ছেলে জামাল আহমেদ। তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বজিৎ মহাশয়কে অনেক ধন্যবাদ। সত্যটা তুলে ধরার জন্য। আমি মনিরুদ্দিন সাহেবের বড় ছেলে জামাল আহমেদ। আপনাদের মতো প্রতিবাদী বন্ধুদেরকে স্যালুট করি। শুভেচ্ছা রইল ফেসবুক বন্ধুদের।’

গানের রচয়িতা মনিরুদ্দিন জানান, ১৯৮৬ সালে তিনি গানটি লিখেছিলেন। তা নিয়ে একটি ক্যাসেটও হয়েছিল, যাতে তার নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমায় নামটি ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পী শুধু চান, তার নামটি যেন সিনেমার ক্রেডিট লিস্টে ব্যবহার করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

‘হাওয়া’র গান নিয়ে বিতর্ক

Reporter Name
Update Time : ০২:১৮:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৩

ছোটপর্দার নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনের প্রথম সিনেমা ‘হাওয়া’। চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ, নাজিফা তুষি অভিনীত সিনেমাটি গেল বছর জুলাইয়ে মুক্তি পায়। মুক্তির আগেই এতে থাকা হাশিম মাহমুদের ‘সাদা সাদা কালা কালা’ গানটি ছিল সবার মুখে মুখে। এরপর ‘এ হাওয়া’, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ গানগুলোও দারুণ জনপ্রিয়তা পায় দর্শকমহলে।

দেশ কাঁপিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায় ‘হাওয়া’। সবখানেই সিনেমাটি হয়েছে প্রশংসিত। ভারতের দর্শকদের মুখেও শোনা গেছে ‘হাওয়া’র জয়ধ্বনি। তবে এবার এই সিনেমার একটি গান নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ব্যবসাসফল এই সিনেমার ‘আটটা বাজে দেরি করিস না’ গানটির গীতিকার কলকাতার মনিরুদ্দিন আহমেদ। গানে তার নাম দেওয়া হয়নি, তাই চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আর এ বিষয়টি সামনে আনে ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো।

বীরভূম জেলার ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সদস্য বিশ্বজিৎ দাস এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আটটা বাজে দেরি করিস না গানটির গীতিকার ও সুরকার মনিরুদ্দিন আহমেদ। উনার লেখা অসংখ্য গান গেয়েছেন স্বপ্না চক্রবর্তী, আমিনুর রসিদ, কার্তিক দাস বাউল, বাসুদেব দাস বাউল, জিতেন নন্দী এবং অনেকে। মনিরুদ্দিন আহমেদ, পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলা পঞ্চায়েত অফিসের কর্মী ছিলেন। বর্তমানে মনিরুদ্দিন আহমেদের বয়স ৮১ বছর, সিউড়ি লালকুঠি পাড়াতে তুলি কলম নামের বাড়িতে থাকেন।’

বিশ্বজিৎ আরো লিখেন, ‘দুঃখের বিষয় এটাই যে গানটি “হাওয়া” সিনেমায় ব্যবহৃত হয়ে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে ঠিকই কিন্তু গানটির রচয়িতা মনিরুদ্দিন আহমেদ তার যথাযথ সম্মান পেলেন না। উনার নাম ব্যবহার না করে প্রচলিত গান বলে চালিয়ে দেওয়া হলো। কেন? লেখকের হয়ে, “হাওয়া” সিনেমার পরিচালক, প্রযোজকসহ সমস্ত কলাকূশলীর কাছে লেখককে সঠিক মর্যাদা দেওয়ার আবেদন রাখছি। “হাওয়া” টিমের উচিত ছিল গানটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করে শিল্পীকে যথাযোগ্য সম্মান দেওয়া। এই বিষয়ে “হাওয়া” সিনেমা টিম দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এ আমাদের বিশ্বাস।’

এদিকে বিশ্বজিতের এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন গীতিকার মনিরুদ্দিনের বড় ছেলে জামাল আহমেদ। তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বজিৎ মহাশয়কে অনেক ধন্যবাদ। সত্যটা তুলে ধরার জন্য। আমি মনিরুদ্দিন সাহেবের বড় ছেলে জামাল আহমেদ। আপনাদের মতো প্রতিবাদী বন্ধুদেরকে স্যালুট করি। শুভেচ্ছা রইল ফেসবুক বন্ধুদের।’

গানের রচয়িতা মনিরুদ্দিন জানান, ১৯৮৬ সালে তিনি গানটি লিখেছিলেন। তা নিয়ে একটি ক্যাসেটও হয়েছিল, যাতে তার নাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘হাওয়া’ সিনেমায় নামটি ব্যবহার করা হয়নি। শিল্পী শুধু চান, তার নামটি যেন সিনেমার ক্রেডিট লিস্টে ব্যবহার করা হয়।