গিনি-বিসাউয়ে ক্ষমতা দখল
যার দায়িত্ব ছিল সুরক্ষা দেওয়া তিনিই গ্রেপ্তার করলেন প্রেসিডেন্টকে
- Update Time : ০১:১৭:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৫
- / ২৬ Time View
ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেন গিনি-বিসাউয়ের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের সামরিক প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডেনিস এন’কানহা
গিনি-বিসাউয়ের একদল সেনা কর্মকর্তা দেশটির ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিজেদের হাতে নেওয়ার দাবি করেছেন। এর এক দিন আগে দেশটির প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দুই শীর্ষ প্রার্থীই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। এই কর্মকর্তারা নিজেদের ‘হাই মিলিটারি কমান্ড ফর দ্য রিস্টোরেশন অব অর্ডার’ নামে পরিচয় দিয়েছেন।
গতকাল বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক বিবৃতিতে তাঁরা জানান, দেশের নির্বাচনপ্রক্রিয়া “পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত” তাৎক্ষণিকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। এ ছাড়া সেনা কর্মকর্তারা দেশের সব স্থল, আকাশ ও জলসীমা বন্ধ ঘোষণা করেন এবং রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেন।
এই ঘোষণার আগে রাজধানী বিসাউয়ে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে টানা গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
গত রোববার পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হওয়ার কথা ছিল। নির্বাচনে মুখোমুখি ছিলেন প্রেসিডেন্ট উমারো সিসোকো এমবালো ও তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ফার্নান্দো দিয়াস।
‘আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে’, ফরাসি গণমাধ্যম ফ্রান্স২৪-কে ফোনে বলেন এমবালো। তিনি জানান, এখন তিনি ‘সেনাবাহিনীর প্রধান দপ্তরে’ আছেন।
গতকাল প্রতিবেশী সেনেগাল থেকে আল-জাজিরার নিকোলাস হক জানান, প্রেসিডেন্ট এমবালোকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল পিএআইজিসির নেতা ডোমিঙ্গোস সিমোয়েস পেরেইরাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান হক। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, সামরিক বাহিনী ইন্টারনেট বন্ধের চেষ্টা করছে। দেশে কারফিউ চলছে।’
হক জানান, সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তা অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই ডেনিস এন’কানহা প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান ছিলেন। যাঁর দায়িত্ব ছিল প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করা, তিনিই প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করেছেন।
বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন
পর্তুগালের কাছ থেকে ১৯৭৪ সালে স্বাধীনতা লাভের পর গিনি-বিসাউয়ে একাধিকবার সামরিক অভ্যুত্থান ও অভ্যুত্থানচেষ্টা ঘটেছে।
এ সপ্তাহের নির্বাচনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও পর্যবেক্ষকেরা। নিকোলাস হক বলেন, নির্বাচনে পিএআইজিসি দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না দেওয়ায় অনেকে এটিকে অন্যায্য বলে মনে করছেন।
নিকোলাস হক বলেন, ‘নির্বাচনে কে জিতবে, তা নিয়ে বড় ধরনের অচলাবস্থা তৈরি হতে যাচ্ছিল। ঠিক তখন সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করে।’
এমবালো ও দিয়াস, দুজনই যথেষ্ট প্রমাণ ছাড়াই নিজেদের বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন।
এএফপিকে এমবালোর প্রচার শিবিরের মুখপাত্র অস্কার বারবোসা বলেন, ‘দ্বিতীয় দফার প্রয়োজন নেই।’ তিনি দাবি করেন, প্রেসিডেন্ট ‘দ্বিতীয় মেয়াদ’ নিশ্চিত করেছেন।
দিয়াসও বিজয় দাবি করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘এ নির্বাচনে আমরা জিতেছি। প্রথম দফাতেই জিতেছি।’
২০১৯ সালের শেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও দুজন প্রধান প্রার্থী নিজেদের বিজয়ী দাবি করেছিলেন। সে সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এমবালো ও পেরেইরা এবং নির্বাচন-পরবর্তী সংকট চার মাস স্থায়ী হয়েছিল।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়





































































































































































































