ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

উদীয়মান গবেষকদের জন্য জাককানবিতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মশালা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ Time View

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদীয়মান গবেষকদের জন্য “একাডেমিক রাইটিং অ্যান্ড লিটারেচার রিভিউ ফর ইমার্জিং রিসার্চার” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৬ষ্ঠ তলায় মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এ কর্মশালায় ব্যবসায় প্রশাসন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন,
“গবেষণার মান উন্নত করতে হলে শুধু তথ্য সংগ্রহ করলেই হয় না; প্রয়োজন সমালোচনামূলক চিন্তা, সঠিক কাঠামো এবং বৈজ্ঞানিক লেখার দক্ষতা। একজন উদীয়মান গবেষক একাডেমিক রাইটিং আয়ত্ত করতে পারলে ভবিষ্যতের যেকোনো গবেষণাক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।”

তিনি আরও বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ডিগ্রি দেওয়ার জায়গা নয়; এখানে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। সেই চর্চার প্রথম ধাপ হলো মানসম্মত লিটারেচার রিভিউ জানা।”

এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জামিল এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক সুমনা আক্তার সুমি, মাহমুদা আক্তার ও কুমার বিশ্বজিৎ সাহা।

সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের গবেষণাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত সহায়ক।

২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহীন উদ্দিন বলেন,
“এই কর্মশালাটি যেন গবেষণার জগতে প্রবেশের এক অনন্য দুয়ার—যেখান থেকে নতুনদের পথচলা শুরু হয় আরও আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা নিয়ে। এ ধরনের মূল্যবান আয়োজনের জন্য মার্কেটিং বিভাগকে ধন্যবাদ।”

২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সামির খান বলেন,
“সেশনটি আমাদের রিসার্চ স্কিল উন্নয়নে অত্যন্ত সহায়ক ছিল। স্যার যে তথ্য ও কৌশল শেয়ার করেছেন, তা গবেষণা ও রিপোর্ট লেখার মান আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।”

অংশগ্রহণকারী আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহীন (২০২৪–২৫) বলেন,
“শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়াতে এ ধরনের শিক্ষণীয় ও কার্যকর সেশন আরও নিয়মিত হওয়া উচিত। এগুলো আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

Please Share This Post in Your Social Media

উদীয়মান গবেষকদের জন্য জাককানবিতে প্রশিক্ষণমূলক কর্মশালা

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
Update Time : ১১:০৬:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উদীয়মান গবেষকদের জন্য “একাডেমিক রাইটিং অ্যান্ড লিটারেচার রিভিউ ফর ইমার্জিং রিসার্চার” শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৬ষ্ঠ তলায় মার্কেটিং বিভাগে আয়োজিত এ কর্মশালায় ব্যবসায় প্রশাসন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালায় প্রধান বক্তা ছিলেন মার্কেটিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন,
“গবেষণার মান উন্নত করতে হলে শুধু তথ্য সংগ্রহ করলেই হয় না; প্রয়োজন সমালোচনামূলক চিন্তা, সঠিক কাঠামো এবং বৈজ্ঞানিক লেখার দক্ষতা। একজন উদীয়মান গবেষক একাডেমিক রাইটিং আয়ত্ত করতে পারলে ভবিষ্যতের যেকোনো গবেষণাক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন।”

তিনি আরও বলেন,
“বিশ্ববিদ্যালয় শুধু ডিগ্রি দেওয়ার জায়গা নয়; এখানে গবেষণার সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। সেই চর্চার প্রথম ধাপ হলো মানসম্মত লিটারেচার রিভিউ জানা।”

এছাড়া কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল জামিল এবং নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক সুমনা আক্তার সুমি, মাহমুদা আক্তার ও কুমার বিশ্বজিৎ সাহা।

সকাল ১১টায় শুরু হওয়া এই কর্মশালায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের গবেষণাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের আয়োজন অত্যন্ত সহায়ক।

২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী তাহীন উদ্দিন বলেন,
“এই কর্মশালাটি যেন গবেষণার জগতে প্রবেশের এক অনন্য দুয়ার—যেখান থেকে নতুনদের পথচলা শুরু হয় আরও আত্মবিশ্বাস ও অনুপ্রেরণা নিয়ে। এ ধরনের মূল্যবান আয়োজনের জন্য মার্কেটিং বিভাগকে ধন্যবাদ।”

২০২৩–২৪ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ সামির খান বলেন,
“সেশনটি আমাদের রিসার্চ স্কিল উন্নয়নে অত্যন্ত সহায়ক ছিল। স্যার যে তথ্য ও কৌশল শেয়ার করেছেন, তা গবেষণা ও রিপোর্ট লেখার মান আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।”

অংশগ্রহণকারী আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ শাহীন (২০২৪–২৫) বলেন,
“শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও জ্ঞান বাড়াতে এ ধরনের শিক্ষণীয় ও কার্যকর সেশন আরও নিয়মিত হওয়া উচিত। এগুলো আমাদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”