দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না : মির্জা ফখরুল
- Update Time : ১০:৩৪:০৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫
- / ১৮ Time View
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি এক ব্যক্তি যদি বেশি দিন ক্ষমতায় থাকেন, তাহলে তিনি কর্তৃত্ববাদী হয়ে যান। এ কারণে আমরা একমত হয়েছি, দুই টার্মের বেশি কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে এসেছি। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করার কথা বলেছি। এসব বিষয় নিয়ে রাজনীতিতে কোয়ালিটি অব চেঞ্জ নিয়ে আসছে। এসব পরিবর্তনের মধ্যে আসতে গিয়ে কিছু বাধা তো থাকবেই।’
আজ মঙ্গলবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে জেলার আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা একটা ট্রানজিশন পিরিয়ডে আছি। কর্তৃত্ববাদী অবস্থা থেকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। এর মধ্যে কিছু কাজও হয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানের পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক পরিবর্তন, রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনের জন্য ছয়টি কমিশন তৈরি করেছে। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন। এই প্রথম দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব করা হয়েছে। আপার হাউস, লোয়ার হাউস—এ ব্যবস্থায় আমরা খুব একটা পরিচিত না। তবে আমরা একমত হয়েছি। আমরা মনে করেছি, এই ব্যবস্থাটা একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্স তৈরি করবে। লোয়ার হাউস এককভাবে ক্ষমতাশালী হবে না। আবার আপার হাউসে চেক অ্যান্ড ব্যালান্স থাকবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এনসিপি নামে ছেলেদের একটা দল হয়েছে, কমপ্লিটলি ইয়াং ভয়েজ। আমাদের উচিত এ ধরনের ইয়াং ছেলেদের স্বাগত জানানো। কারণ, আমাদের পরে নিউ জেনারেশন প্রকৃত অর্থে দেশকে কিছু দিতে পারবে।’
আজ নতুন প্রজন্মকে স্বীকার করে নিতে হবে বলে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ইতিহাসের ক্রান্তিলগ্নে আছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ হয়েছে। আমরা অনেকেই একসঙ্গে যুদ্ধ করেছি। তারপর যে পরিবর্তনটা হয়েছে তা ম্যাজিক পরিবর্তন। অনেক বড় পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের মধ্যে আজকে নতুন প্রজন্মকে স্বীকার করে নিতে হবে। নতুন ধারণাকে স্বীকার করতে হবে। নতুন চিন্তাগুলোকে কাছে নিতে হবে। আমরা বয়স্করা বলি, ছেলেরা এসব কী বলছে? এমন কথা বললে আমাদের হবে না। ছেলেরা কী বলছে, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। এটা নিউ জেনারেশন। তাদের ভাষা, তাদের কথা আর আমাদের কথা এক হবে না। এটা বুঝে নিয়ে, তাদের সঙ্গে যদি আমরা এগোতে পারি; তাহলে একটা সমন্বয় ঘটনো যাবে। আজকে এই জায়গাতেই কিছু সমস্যা হচ্ছে।’
একটা মানুষের কাজ করার একটা সময় থাকে, বয়স থাকে—এ কথা উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মেধা, বুদ্ধি, মননশীলতা, কর্মদক্ষতা—সবকিছু একটা বয়সের পরে স্তিমিত হয়ে যায়। অ্যাকটিভ থাকা পর্যন্ত তাঁর কাজ করে যাওয়া উচিত। তারপর অবসরে যেতে হবে। এ কারণে আমি ঠিক করেছি, এটাই আমার জীবনের শেষ নির্বাচন।’
নিজের সমালোচনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই আমার সমালোচনা করেন। আমার সবচেয়ে বড় সমালোচনা হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সেখানে আমাকে তাঁরা বলতে চেষ্টা করেন আমি নাকি সমঝোতার পক্ষের মানুষ। আর কত দিন যুদ্ধ করব? আর কত দিন মারামারি করতে হবে? আর কত দিন আমরা হিংসা, খুন, জখমের মধ্যে থাকব? আমাদের একটা জায়গায় আসা উচিত। আমাদের সমাজটাকে সত্যিকার অর্থে শান্তির মধ্যে নিতে পারব।’
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. মকদুম সাব্বিরসহ আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়




































































































































































































