প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ইবি ভিসির শুভেচ্ছা, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পূরণে প্রতিজ্ঞা
- Update Time : ০৯:৩৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫
- / ৩৫ Time View
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম বর্ষপূর্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবারের সকল সদস্য তথা শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ছাত্রসমাজকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা বার্তা জ্ঞাপন এবং অভিনন্দন জ্ঞাপন করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ।
এ নিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আধুনিক শিক্ষা ও ইসলামি শিক্ষা সমন্বয় করে আধুনিক শিক্ষায় দক্ষ নাগরিক গড়ার জন্যে প্রতিজ্ঞা জ্ঞাপন করেছেন তিনি।
উপাচার্য বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭৯ সালে ভিত্তিপ্রস্তরের মাধ্যমে তার অগ্রযাত্রা শুরু করেছিল। মূলত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষা প্রশিক্ষণ এবং গবেষণার কাজ শুরু করে ১৯৮৬ সাল থেকে। মাত্র চারটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু এখন এই ৪৭ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটা পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।
নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন নয়টি ফ্যাকাল্টি কার্যকরী আছে এবং এই নয়টি ফ্যাকাল্টির অধীনে বর্তমান ৩৬টি বিভাগ চালু আছে। আমরা যে নতুন ফ্যাকাল্টি চালু করেছি, সেই ফ্যাকাল্টিটি হলো— ‘ইসলাম এন্ড কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন’ (Islam and Comparative Religion)। এই ইসলাম এবং কম্পারেটিভ রিলিজিয়ন-এর আওতায়ও আমরা তিনটি বিভাগ চালু করেছি। যার কার্যক্রম আগামী ২০২৫-২৬ (শিক্ষাবর্ষ) থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। এবং থিওলজি এবং ইসলামিক স্টাডিজ ফ্যাকাল্টির আওতায়ও দু’টি নতুন বিভাগ হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, এই বর্ষপূর্তিতে মূলত যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি তা হলো— ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় যে লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য নিয়ে তার যাত্রা শুরু করেছিল; জেদ্দা ডিক্লারেশনের সাথে সংগতি রেখে, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়কে যে চিন্তা এবং চেতনা নিয়ে স্থাপন করেছিলেন আজকের এই জায়গায়— কুষ্টিয়া এবং ঝিনাইদহের মাঝখানে শান্তিডাঙ্গা দুলালপুরের স্থানে— সেই উদ্দেশ্যকে পরিপূর্ণ ও সফল করার জন্যে আজকের বর্ষপূর্তিতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমি প্রতিজ্ঞা জ্ঞাপন করছি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৯ সালের ২২ নভেম্বর কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহের শান্তিডাঙ্গা-দুলালপুরে দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ইসলামী শিক্ষার সাথে আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালের ২৭ ডিসেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৮০(৩৭) জাতীয় সংসদে পাস হয়। ১৯৮১ সালের ১ জানুয়ারি প্রকল্প পরিচালক ড. এ.এন.এম মমতাজ উদ্দীন চৌধুরীকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৯৮২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম আবাসিক ছাত্রহলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ১৯৮৩ সালের ১৮ জুলাইয়ের এক আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮৫ সালের মে মাসে ১৯৮৫-৮৬ শিক্ষাবর্ষে দুটি অনুষদে চারটি বিভাগে মোট তিনশত ছাত্র ভর্তি করা হয়। ১৯৮৬ সালের ২৮ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়। তখন শিক্ষক সংখ্যা ছিলো আট জন। ১৯৯০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারির এক আদেশে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে গাজীপুর থেকে কুষ্টিয়ায় স্থানান্তর করা হয়। ১৯৯২ সালের ১ নভেম্বর মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কাজের উদ্বোধন করা হয়।
আগস্ট (২০২৫) পর্যন্ত তথ্য অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়টির ৯টি অনুষদের ৩৬টি বিভাগে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৯ হাজার ৮৯৭, যাদের মধ্যে ছাত্র ১২ হাজার ৩১২ এবং ছাত্রী ৭ হাজার ৫৮৫ জন। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৪৪৮। বিদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮ জন; যাদের মধ্যে ছাত্র ১৫ জন, ছাত্রী ৩ জন। এ পর্যন্ত ২৮ জন বিদেশি শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের ডিগ্রি প্রাপ্ত হয়েছেন। বর্তমানে ৪১১ জন শিক্ষক শিক্ষাদানে নিয়োজিত রয়েছেন। এছাড়াও ৫০৩ জন কর্মকর্তা, ৮০ জন সহায়ক কর্মচারী এবং ১৪২ জন সাধারণ কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা রেখে চলেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টি এ পর্যন্ত ৭৪৯ জনকে পিএইচ.ডি এবং ৮৫৫ জনকে এম.ফিল ডিগ্রি প্রদান করেছে। বর্তমানে ১২৫ জন পিএইচ.ডি এবং ১০২ জন এম.ফিল গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়







































































































































































































