ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আরও ১০০ যুদ্ধবিমান কিনছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১২:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৫ Time View

দুই দেশের মধ্যে চুক্তি। ছবি : সংগৃহীত

আরও ১০০ যুদ্ধবিমান কেনার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। ফ্রান্সের তৈরি সর্বাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানসহ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন কেনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্যারিস সফরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোর সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ চুক্তির ঘোষণা দেন।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার সকালে প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভিয়াকুবলে এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে দুই নেতা ‘লেটার অব ইন্টেন্টে’ স্বাক্ষর করেন। জেলেনস্কি বলেন, আমরা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলব।

ম্যাখো জানান, ড্রোন, ইন্টারসেপ্টর ড্রোন এবং গাইডেড বোমাসহ কিছু অস্ত্র খুব দ্রুতই ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাবে। বাকি সরঞ্জাম আগামী তিন বছরের উৎপাদন প্রতিশ্রুতির আওতায় সরবরাহ করা হবে। এলিসে প্যালেস জানায়, পুরো কেনাকাটা পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ২০২৬ সাল থেকে ফ্রান্সের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাবে। এ প্রতিরক্ষা মার্কিন তৈরি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের সমমানের।

চুক্তির অর্থায়ন সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ফরাসি যুদ্ধবিমান কো-প্রোডাকশনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন ইইউ সদস্যদের পাঠানো চিঠিতে তিনটি সম্ভাব্য অর্থায়ন উৎসের কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো : ইইউ সদস্যদের অনুদান, ইইউর মাধ্যমে ঋণ এবং রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের ওপর সুদের অর্থ ব্যবহার। এই ক্রয়ে ইউরোপীয় তহবিল বা রাশিয়ার জব্দ সম্পদের অর্থ ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স।

সিএনএন জানিয়েছে, চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টি-রোল রাফাল একই মিশনে দীর্ঘ-পাল্লার বোমাবর্ষণ ও ডগফাইট— উভয় কাজ করতে সক্ষম। ভারতসহ বহু দেশকে বিমানটি সরবরাহ করেছে ফরাসি প্রতিষ্ঠান দাসো অ্যাভিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটি মাসে চারটি রাফাল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং বর্তমানে তাদের হাতে ২৩৩টি বিমানের অর্ডার রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই চুক্তি এখনো একটি ‘লেটার অব ইন্টেন্ট’ পর্যায়ে রয়েছে। এটির পূর্ণাঙ্গ কেনাকাটার ধাপ এখনো বাকি রয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে ইউক্রেন সুইডেনের ১০০-১৫০টি গ্রিপেন জেট কেনার জন্যও একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

আরও ১০০ যুদ্ধবিমান কিনছে ইউক্রেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১২:০৫:৪৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

আরও ১০০ যুদ্ধবিমান কেনার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন। ফ্রান্সের তৈরি সর্বাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমানসহ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ড্রোন কেনার ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। সোমবার (১৭ নভেম্বর) প্যারিস সফরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোর সঙ্গে বৈঠকের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এ চুক্তির ঘোষণা দেন।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সোমবার সকালে প্যারিসের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভিয়াকুবলে এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে দুই নেতা ‘লেটার অব ইন্টেন্টে’ স্বাক্ষর করেন। জেলেনস্কি বলেন, আমরা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলব।

ম্যাখো জানান, ড্রোন, ইন্টারসেপ্টর ড্রোন এবং গাইডেড বোমাসহ কিছু অস্ত্র খুব দ্রুতই ইউক্রেনের হাতে পৌঁছাবে। বাকি সরঞ্জাম আগামী তিন বছরের উৎপাদন প্রতিশ্রুতির আওতায় সরবরাহ করা হবে। এলিসে প্যালেস জানায়, পুরো কেনাকাটা পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ২০২৬ সাল থেকে ফ্রান্সের নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাবে। এ প্রতিরক্ষা মার্কিন তৈরি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমের সমমানের।

চুক্তির অর্থায়ন সম্পর্কে প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ফরাসি যুদ্ধবিমান কো-প্রোডাকশনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লায়েন ইইউ সদস্যদের পাঠানো চিঠিতে তিনটি সম্ভাব্য অর্থায়ন উৎসের কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হলো : ইইউ সদস্যদের অনুদান, ইইউর মাধ্যমে ঋণ এবং রাশিয়ার জব্দ করা সম্পদের ওপর সুদের অর্থ ব্যবহার। এই ক্রয়ে ইউরোপীয় তহবিল বা রাশিয়ার জব্দ সম্পদের অর্থ ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে ফ্রান্স।

সিএনএন জানিয়েছে, চতুর্থ প্রজন্মের মাল্টি-রোল রাফাল একই মিশনে দীর্ঘ-পাল্লার বোমাবর্ষণ ও ডগফাইট— উভয় কাজ করতে সক্ষম। ভারতসহ বহু দেশকে বিমানটি সরবরাহ করেছে ফরাসি প্রতিষ্ঠান দাসো অ্যাভিয়েশন। প্রতিষ্ঠানটি মাসে চারটি রাফাল উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে এবং বর্তমানে তাদের হাতে ২৩৩টি বিমানের অর্ডার রয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেনের এই চুক্তি এখনো একটি ‘লেটার অব ইন্টেন্ট’ পর্যায়ে রয়েছে। এটির পূর্ণাঙ্গ কেনাকাটার ধাপ এখনো বাকি রয়েছে। এর আগে গত অক্টোবরে ইউক্রেন সুইডেনের ১০০-১৫০টি গ্রিপেন জেট কেনার জন্যও একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছিল।