মস্তিষ্কের সুরক্ষায় নিয়মিত শরীরচর্চা

- Update Time : ১১:২৪:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩০ জুলাই ২০২৩
- / ১৭৭ Time View
দেহ সুস্থ-সবল রাখতে ব্যায়ামের জুড়ি নেই। এর বাইরে নতুন খবর হলো ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কের ভেতরের কোষদের মধ্যকার যোগাযোগ বাড়ে। এতে ডিমেনশিয়ার মতো সমস্যা সহজেই প্রতিরোধ করা সম্ভব। বিশেষত নিয়মিত ব্যায়াম করেন এমন বয়স্ক মানুষরা মানসিক ব্যাধিতে কম আক্রান্ত হন।
এ বিষয়ে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত মেমরি অ্যান্ড এজিং সেন্টারে কর্মরত নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর কেইটলিন ক্যাসেলেটো জানান, ‘মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিক কর্মকান্ডের ক্ষেত্রে সিন্যাপ্স সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে। আমাদের মানসচিন্তা এবং স্মৃতি মূলত এই সিন্যাপসেরই প্রভাবপ্রসূন ফল।’
কেইটলিনের গবেষণা থেকে জানা যায়, শরীরচর্চা আমাদের মস্তিষ্কে ডিমেনশিয়ার আশঙ্কা ৩০ থেকে ৮০ শতাংশ হ্রাস করে। তিনি জানান, ‘মস্তিষ্কের জটিল গঠনের কথা বিবেচনা করে দেখলে, সুস্থ শরীরচর্চা মস্তিষ্কে কিছু স্বাভাবিক সিগন্যাল প্রদান করে। এতে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা এবং সুস্থতা নিশ্চিত হয়।’
এক্ষেত্রে প্রোটিন ব্যবস্থাপনই আসল
মূলত মস্তিষ্ক সিন্যাপসের মাধ্যমে নিউরন থেকে নিউরন এবং দেহের অন্যান্য অংশের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে। তাই ক্রমশ ধুকতে শুরু করা বা ক্ষয়প্রাপ্ত প্রোটিনের প্রতিপূরক জরুরি হয়ে পড়ে। কেইটলিন একপর্যায়ে জানান, ‘আমাদের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন পাওয়া যাবে। প্রতিটি প্রোটিনই ভিন্ন ভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে।’
এই প্রক্রিয়াতেই মস্তিষ্ক নিজেকে পুনর্বিন্যস্ত করার সুযোগ পায়। ফলে মস্তিষ্ক সুস্থ থাকে। আলজেইমার কিংবা ডিমেনশিয়ার ক্ষতি হ্রাস করতে শারিরীক কসরতের ভ‚মিকা অপরিসীম। বিশেষত বয়স্ক যারা তাদের সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শারিরীক ব্যায়াম বা কার্যক্রমে নিজেকে জড়ানো উচিত। তবে যেকোনো ব্যায়াম করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে এমন না। কেইটলিনের গবেষণা জানায়, বয়সের উপর ভিত্তি করে ফলাফল বিভিন্ন হতে পারে। তবে সচরাচর এমন ব্যায়ামই খুঁজে নেয়া উচিত যা আনন্দদায়ক। বিশেষত বয়স্কদের উচিত নতুন কোনো ব্যায়াম শুরু করা। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের
সাথে প্রথমে পরামর্শ করে নিতে হবে।
এই বিষয় নিয়ে আরো গবেষণা হচ্ছে। তবে ডিমেনশিয়া কিংবা বিভিন্ন মানসিক ব্যাধি প্রতিরোধে শারিরীক কার্যক্রম এবং ভালো লাগার সম্পর্ক জরুরি। একইসঙ্গে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি এবং সুষম বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে। এতে যেকোনো বয়সেই (বিশেষত বয়স্কদের) মানসিক ব্যাধি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়