ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক অকুতোভয় নেতা, আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২২৩ Time View

রাজনীতির প্রতিকূল সময়েও যিনি থেকেছেন নির্ভীক, অবিচল ও আদর্শের পথে—তিনি কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এবং উখিয়া-টেকনাফ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন নেতা নন, বরং একজন সাহসী নেতৃত্ব, ন্যায়ের প্রতীক ও জনগণের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০০৭ সালের ১/১১-এর রাজনৈতিক সংকটকালীন সময়ে, যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা নিপীড়নের শিকার এবং সংগঠন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল, তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের কনভেনার হিসেবে দায়িত্ব নেন শাহজাহান চৌধুরী।
ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে তিনি রাজপথে নামেন, নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেন এবং বিভাগজুড়ে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলো পুনরায় সচল করেন, উপজেলা সফরের মাধ্যমে সংগঠনকে পুনর্গঠন করেন।

গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজার জেলা বিএনপিকে তিনি নেতৃত্বের মেধা ও ত্যাগে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। শত মামলা-মোকদ্দমা ও প্রশাসনিক হয়রানির মধ্যেও তিনি অটল থেকেছেন দলের প্রতি দায়িত্ববোধে। নেতাকর্মীদের একত্রিত রেখে দলকে শক্তিশালী করেছেন তিনি।

টেকনাফে তিন শতাধিক নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনার সময় শাহজাহান চৌধুরী ছিলেন প্রতিবাদের অগ্রভাগে। ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে তিনি মানবাধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার হন। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখেও তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন—তিনি ন্যায়ের কণ্ঠস্বর, নির্ভীক প্রতিবাদের প্রতীক।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাহজাহান চৌধুরী শুধুমাত্র একজন রাজনীতিক নন—তিনি এক ত্যাগী, নীতিবান ও আদর্শবান নেতা। অনেকেই তাঁর প্রতি কটূক্তি করলেও তাঁর দীর্ঘদিনের ত্যাগ, সাহসিকতা ও অবদানের তুলনা মেলে না।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শাহজাহান চৌধুরীর বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের বিশ্বাস—তিনি নির্বাচিত হলে হবেন উখিয়া-টেকনাফের প্রকৃত সেবক, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর ও উন্নয়নের অগ্রদূত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দলের প্রতি দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শাহজাহান চৌধুরীর মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। তিনি প্রমাণ করেছেন—ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণই তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য।

আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী একজন অকুতোভয়, ত্যাগী ও ন্যায়ের নেতার প্রতীক। তাঁর সাহসিকতা, মানবিকতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এক অকুতোভয় নেতা, আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী

ইকবাল হোসাইন, উখিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
Update Time : ১০:০৭:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫

রাজনীতির প্রতিকূল সময়েও যিনি থেকেছেন নির্ভীক, অবিচল ও আদর্শের পথে—তিনি কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি এবং উখিয়া-টেকনাফ আসনের ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি শুধু একজন নেতা নন, বরং একজন সাহসী নেতৃত্ব, ন্যায়ের প্রতীক ও জনগণের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

২০০৭ সালের ১/১১-এর রাজনৈতিক সংকটকালীন সময়ে, যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা নিপীড়নের শিকার এবং সংগঠন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছিল, তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আস্থাভাজন হয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের কনভেনার হিসেবে দায়িত্ব নেন শাহজাহান চৌধুরী।
ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে তিনি রাজপথে নামেন, নেতাকর্মীদের সংগঠিত করেন এবং বিভাগজুড়ে নতুন প্রাণ সঞ্চার করেন। বন্ধ হয়ে যাওয়া পার্টি অফিসগুলো পুনরায় সচল করেন, উপজেলা সফরের মাধ্যমে সংগঠনকে পুনর্গঠন করেন।

গত একযুগেরও বেশি সময় ধরে কক্সবাজার জেলা বিএনপিকে তিনি নেতৃত্বের মেধা ও ত্যাগে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। শত মামলা-মোকদ্দমা ও প্রশাসনিক হয়রানির মধ্যেও তিনি অটল থেকেছেন দলের প্রতি দায়িত্ববোধে। নেতাকর্মীদের একত্রিত রেখে দলকে শক্তিশালী করেছেন তিনি।

টেকনাফে তিন শতাধিক নিরীহ মানুষ হত্যার ঘটনার সময় শাহজাহান চৌধুরী ছিলেন প্রতিবাদের অগ্রভাগে। ভয়-ভীতিকে উপেক্ষা করে তিনি মানবাধিকার ও ন্যায়ের পক্ষে সোচ্চার হন। রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের মুখেও তিনি বারবার প্রমাণ করেছেন—তিনি ন্যায়ের কণ্ঠস্বর, নির্ভীক প্রতিবাদের প্রতীক।

স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শাহজাহান চৌধুরী শুধুমাত্র একজন রাজনীতিক নন—তিনি এক ত্যাগী, নীতিবান ও আদর্শবান নেতা। অনেকেই তাঁর প্রতি কটূক্তি করলেও তাঁর দীর্ঘদিনের ত্যাগ, সাহসিকতা ও অবদানের তুলনা মেলে না।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে শাহজাহান চৌধুরীর বিজয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা। তাঁদের বিশ্বাস—তিনি নির্বাচিত হলে হবেন উখিয়া-টেকনাফের প্রকৃত সেবক, নিপীড়িত মানুষের কণ্ঠস্বর ও উন্নয়নের অগ্রদূত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে দলের প্রতি দীর্ঘদিনের ত্যাগ ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শাহজাহান চৌধুরীর মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনাও উজ্জ্বল। তিনি প্রমাণ করেছেন—ক্ষমতার জন্য নয়, জনগণের কল্যাণই তাঁর রাজনীতির লক্ষ্য।

আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী একজন অকুতোভয়, ত্যাগী ও ন্যায়ের নেতার প্রতীক। তাঁর সাহসিকতা, মানবিকতা ও নেতৃত্বের গুণাবলি আগামী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।