ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ফিরেছে ইতিবাচক ধারা: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০১:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৮২ Time View

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নেতাদের জাতির স্বপ্নসারথি হিসেবে ইতিবাচক পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল— “দুর্বার নেতৃত্বে গড়ি স্বপ্নের ক্যাম্পাস”।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন পর দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ছাত্ররাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে এনেছে। জাতি এখন তরুণদের কাছ থেকে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে। তোমাদেরই হতে হবে জাতির স্বপ্নসারথি।”

তিনি আরও বলেন, “ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসুর মতো সংগঠনগুলো বাংলাদেশের তারুণ্যের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। শিক্ষাঙ্গনে একাডেমিক উৎকর্ষ, গবেষণা ও সততার চর্চায় নেতৃত্ব দিতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।”

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রসংসদ কেবল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র নয়, বরং এটি হবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রশিক্ষণমঞ্চ। প্রতিনিধিদের দলীয় সীমার বাইরে উঠে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক ছাত্রসংসদ চাই, যা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং সাবেক চাকসু ভিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।

নির্বাচিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, জাকসু ভিপি আবদুর রশিদ জিতু, চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জাকসুর এজিএস আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ও রাকসুর নির্বাহী সদস্য সুজন চন্দ্র।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান, ফয়সাল আহমেদ শান্তর মাতা কোহিনূর আক্তার, জুলাই যোদ্ধা তাহমিদ হুজায়ফা, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি আবদুল আজিজ।

Please Share This Post in Your Social Media

ছাত্রসংসদ নির্বাচনে ফিরেছে ইতিবাচক ধারা: জামায়াত আমির

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০১:২৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নেতাদের জাতির স্বপ্নসারথি হিসেবে ইতিবাচক পরিবর্তনের নেতৃত্ব দিতে আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল— “দুর্বার নেতৃত্বে গড়ি স্বপ্নের ক্যাম্পাস”।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদের পিতা মকবুল হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দীর্ঘদিন পর দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা ছাত্ররাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা ফিরিয়ে এনেছে। জাতি এখন তরুণদের কাছ থেকে ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রত্যাশা করছে। তোমাদেরই হতে হবে জাতির স্বপ্নসারথি।”

তিনি আরও বলেন, “ডাকসু, জাকসু, চাকসু ও রাকসুর মতো সংগঠনগুলো বাংলাদেশের তারুণ্যের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দেবে। শিক্ষাঙ্গনে একাডেমিক উৎকর্ষ, গবেষণা ও সততার চর্চায় নেতৃত্ব দিতে হবে তরুণ প্রজন্মকে।”

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, “ছাত্রসংসদ কেবল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্র নয়, বরং এটি হবে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার প্রশিক্ষণমঞ্চ। প্রতিনিধিদের দলীয় সীমার বাইরে উঠে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এমন শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক ছাত্রসংসদ চাই, যা চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এবং সাবেক চাকসু ভিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।

নির্বাচিত ছাত্রনেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েম, জাকসু ভিপি আবদুর রশিদ জিতু, চাকসু ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি, রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, জাকসুর এজিএস আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা ও রাকসুর নির্বাহী সদস্য সুজন চন্দ্র।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান, ফয়সাল আহমেদ শান্তর মাতা কোহিনূর আক্তার, জুলাই যোদ্ধা তাহমিদ হুজায়ফা, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা এবং খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি আবদুল আজিজ।