ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অংক না পারায় পিটিয়েছে শিক্ষক; মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মাদ্রাসার ছাত্রী

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৩০ Time View

নোয়াখালী জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অংক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, মুনতাহা আকতার মীম (১৩) চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গত ৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে গণিত বিষয়ের ক্লাস চলাকালে অংক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। এতে ছাত্রীটি জ্ঞান হারিয়ে ক্লাসেই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরও অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ে ক্লাসে অংক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। তার পিঠে আঘাত করায় মেরুদন্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেনা।

এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরে কোন একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ব্যস্ত ছিলাম। আমার ছাত্রীকে একটি অংক করতে দিলে সে সেটি পারে নাই। এতে দুষ্টামি স্থলে তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এ আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হযওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

অংক না পারায় পিটিয়েছে শিক্ষক; মুমূর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি মাদ্রাসার ছাত্রী

হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
Update Time : ১২:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫

নোয়াখালী জেলার বিছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় অংক না পারায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, মুনতাহা আকতার মীম (১৩) চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। গত ৬ নভেম্বর দুপুর ১২টার দিকে গণিত বিষয়ের ক্লাস চলাকালে অংক না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ওই ছাত্রীকে মারধর করেন। এতে ছাত্রীটি জ্ঞান হারিয়ে ক্লাসেই অচেতন হয়ে পড়ে। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরও অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

ছাত্রীর মা বলেন, আমার মেয়ে ক্লাসে অংক না পারায় শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন। তার পিঠে আঘাত করায় মেরুদন্ডে আঘাত পায়। অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এখনো সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারেনা।

এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য জানান, সে হঠাৎ হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। শরীরে কোন একটা অংশে মারাত্মক আঘাত পাওয়ায় এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাতিয়ার বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রতিদিনের মতো শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ব্যস্ত ছিলাম। আমার ছাত্রীকে একটি অংক করতে দিলে সে সেটি পারে নাই। এতে দুষ্টামি স্থলে তাকে পিঠে একটি থাপ্পড় দিয়েছি। এ আঘাতের কারণে সে অসুস্থ হওয়ার কথা না। এরপরও সে অসুস্থ হযওয়ায় আমরা তাকে হাসপাতালে গিয়ে দেখে এসেছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।