ঢাকা ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তান থেকে আনা ৩২ টন পাখির খাদ্যে ২৫ টনই নিষিদ্ধ পপি বীজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১০২ Time View

পাখির খাদ্য বলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩২ টন পণ্যের মধ্যে ২৫ টন পপি বীজ পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। দুটি কনটেইনারে করে এই পণ্য আমদানি করেছে চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

অঙ্কুরোদগম উপযোগী হলে পপি বীজ মাদক হিসেবে গণ্য হয়। সরকারের আমদানি নীতি আদেশে এই বীজ আমদানি নিষিদ্ধ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জব্দকৃত বীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

পপি বীজ জব্দের বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবির জানান, এ ধরনের পপি বীজকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এখন আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবেন। এই আমদানিকারকের আগের চালানগুলো কেমন ছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, আমদানি নথিতে ৩২ টন পাখির খাদ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু চালানটি পরীক্ষা করে সাত টন পাখির খাবার ও ২৫ টন পপি বীজ পাওয়া যায়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিতে কনটেইনারের দরজার মুখে পাখির খাদ্যের বস্তা রাখা হয়। ভেতরের দিকে রাখা হয় পপি বীজ।

দুই কনটেইনারের চালানটি গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে নামানো হয়। এরপর খালাসের জন্য বেসরকারি ডিপো ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে নেওয়া হয়। কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে থেকে তথ‍্য পেয়ে চালানটির খালাস স্থগিত করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তারা এটি পরীক্ষার উদ্যোগ নেন। ২২ অক্টোবর কনটেইনার দুটি খোলা হয়। পণ্যের নমুনা তিনটি পরীক্ষাগারে পাঠানোর পর এটি পপি বীজ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তান থেকে আনা ৩২ টন পাখির খাদ্যে ২৫ টনই নিষিদ্ধ পপি বীজ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৩৯:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

পাখির খাদ্য বলে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ৩২ টন পণ্যের মধ্যে ২৫ টন পপি বীজ পেয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। দুটি কনটেইনারে করে এই পণ্য আমদানি করেছে চট্টগ্রামের কোরবানিগঞ্জের মেসার্স আদিব ট্রেডিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

অঙ্কুরোদগম উপযোগী হলে পপি বীজ মাদক হিসেবে গণ্য হয়। সরকারের আমদানি নীতি আদেশে এই বীজ আমদানি নিষিদ্ধ। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জব্দকৃত বীজের বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।

পপি বীজ জব্দের বিষয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। কাস্টমসের উপকমিশনার এইচ এম কবির জানান, এ ধরনের পপি বীজকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুসারে ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এখন আইন অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নেবেন। এই আমদানিকারকের আগের চালানগুলো কেমন ছিল তাও খতিয়ে দেখা হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, আমদানি নথিতে ৩২ টন পাখির খাদ্যের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু চালানটি পরীক্ষা করে সাত টন পাখির খাবার ও ২৫ টন পপি বীজ পাওয়া যায়। কাস্টমস কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিতে কনটেইনারের দরজার মুখে পাখির খাদ্যের বস্তা রাখা হয়। ভেতরের দিকে রাখা হয় পপি বীজ।

দুই কনটেইনারের চালানটি গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দরে নামানো হয়। এরপর খালাসের জন্য বেসরকারি ডিপো ছাবের আহম্মেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে নেওয়া হয়। কিন্তু গোয়েন্দাদের কাছে থেকে তথ‍্য পেয়ে চালানটির খালাস স্থগিত করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। তারা এটি পরীক্ষার উদ্যোগ নেন। ২২ অক্টোবর কনটেইনার দুটি খোলা হয়। পণ্যের নমুনা তিনটি পরীক্ষাগারে পাঠানোর পর এটি পপি বীজ বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।