ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিলিপাইনে কালমায়েগির তাণ্ডবে ১৪০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১২৭

আন্তজাতিক ডেস্ক 
  • Update Time : ১২:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৪৩১ Time View

ফিলিপাইনে টাইফুন কালমায়েগিতে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যানে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সেবু প্রদেশের শহর ও গ্রামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় গাড়ি, নদীতীরের ঘরবাড়ি এবং বিশাল শিপিং কনটেইনারও ভেসে গেছে। ন্যাশনাল সিভিল ডিফেন্স অফিস বৃহস্পতিবার ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে, তবে সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের রেকর্ড করা আরও ২৮ জনের মৃত্যু এতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

সেবু শহরের লিলোয়ান এলাকায় বন্যায় ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নেগ্রোস দ্বীপে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। কানলাওন আগ্নেয়গিরি থেকে কাদা ধসে অনেক বাড়ি চাপা পড়ে। ত্রাণ মিশনে থাকা সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ছয় ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।

কালমায়েগির আঘাতের ২৪ ঘণ্টার আগে সেবু অঞ্চলে ১৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা মাসিক গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো পরিস্থিতিকে “অপ্রত্যাশিত” ও “বিপর্যয়কর” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে। উষ্ণ সাগরে টাইফুন দ্রুত শক্তিশালী হয়, আর উষ্ণ বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভারী বৃষ্টি হয়।

সবমিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাইফুন কালমায়েগি এখন শক্তি বাড়িয়ে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে, যা সেখানে এক সপ্তাহ ধরে চলা বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে টাইফুন ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়বে।

Please Share This Post in Your Social Media

ফিলিপাইনে কালমায়েগির তাণ্ডবে ১৪০ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১২৭

আন্তজাতিক ডেস্ক 
Update Time : ১২:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

ফিলিপাইনে টাইফুন কালমায়েগিতে অন্তত ১৪০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এবং ১২৭ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরকারি পরিসংখ্যানে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়টি বর্তমানে ভিয়েতনামের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

সেবু প্রদেশের শহর ও গ্রামে ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। বন্যায় গাড়ি, নদীতীরের ঘরবাড়ি এবং বিশাল শিপিং কনটেইনারও ভেসে গেছে। ন্যাশনাল সিভিল ডিফেন্স অফিস বৃহস্পতিবার ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে, তবে সেবু প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষের রেকর্ড করা আরও ২৮ জনের মৃত্যু এতে অন্তর্ভুক্ত হয়নি।

সেবু শহরের লিলোয়ান এলাকায় বন্যায় ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। নেগ্রোস দ্বীপে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। কানলাওন আগ্নেয়গিরি থেকে কাদা ধসে অনেক বাড়ি চাপা পড়ে। ত্রাণ মিশনে থাকা সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ছয় ক্রু সদস্য নিহত হয়েছেন।

কালমায়েগির আঘাতের ২৪ ঘণ্টার আগে সেবু অঞ্চলে ১৮ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে, যা মাসিক গড়ের চেয়ে অনেক বেশি। প্রাদেশিক গভর্নর পামেলা বারিকুয়াত্রো পরিস্থিতিকে “অপ্রত্যাশিত” ও “বিপর্যয়কর” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড় আরও শক্তিশালী হচ্ছে। উষ্ণ সাগরে টাইফুন দ্রুত শক্তিশালী হয়, আর উষ্ণ বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভারী বৃষ্টি হয়।

সবমিলিয়ে প্রায় ৮ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাইফুন কালমায়েগি এখন শক্তি বাড়িয়ে ভিয়েতনামের দিকে এগোচ্ছে, যা সেখানে এক সপ্তাহ ধরে চলা বন্যার পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে। জাতীয় আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে টাইফুন ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আছড়ে পড়বে।