ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তদন্তে পুলিশ

ধানমন্ডিতে একের পর এক চোখ উপড়ে ফেলা হচ্ছে বিড়ালের

জাতীয় ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫
  • / ২৬৯ Time View

ধানমন্ডি এলাকায় বিড়ালের ওপর নির্মম অত্যাচারের প্রতিবাদে ছাত্রদল ও বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে মানববন্ধন।ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

ক্ষোভের বশে প্রতিপক্ষকে হত্যার পর বা আগে চোখ উপড়ানোর খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। তবে এবার নিরীহ প্রাণী বিড়ালের চোখ উপড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানী ঢাকাতেই।

ধানমন্ডি এলাকার তাকওয়া জামে মসজিদের আশপাশে দুই চোখ উপড়ানো অবস্থায় চারটি বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকেই। এ ঘটনায় একটি অভিযোগের কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

সারাহ ফাতিমা নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনায় একটি অভিযোগের কপি পোস্ট দিয়েছেন। অভিযোগের কপির নিচে তার নাম রয়েছে।

সারাহ ফাতিমা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ধানমন্ডি ১২/এ এলাকায় তাকওয়া মসজিদের পাশে একাধিক বিড়ালকে নির্মমভাবে বিকৃত করে চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। এটি স্পষ্টতই কোনো সিরিয়াল অপরাধী বা অপরাধীদের কাজ, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরীহ প্রাণীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এই অমানবিক আচরণ প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯-এর ১৬ (ক) এবং (খ) ধারার সঙ্গে ৬ এবং ১০ ধারার আওতায় অপরাধ। এছাড়াও এ অপরাধ বাংলাদেশ পেনাল কোডের ৪২৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য ও আমলযোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে পুলিশ যোগাযোগ করেছে জানিয়ে সারাহ ফাতিমা বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করি অপরাধীরা ধরা পড়বে।

জানতে চাইলে ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ কিংবা জিডি করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিড়াল নিয়ে পোস্ট ভাইরালের দিন থেকেই একজন এসআইকে ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই পোস্ট দেওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু বিড়ালগুলো কে কারা ফেলে গেছে তাদের এখনো পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত করতে হবে। তারা ধানমন্ডি থানাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। তাদের ধারণা, এর পেছনে হয়তো কোনো সাইকোপ্যাথ ব্যক্তির হাত আছে; যে হয়তো বিড়ালের কষ্টে আনন্দ পাচ্ছে।

সারাহ ফাতিমার অভিযোগের অনুলিপিটি পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে দেওয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

তদন্তে পুলিশ

ধানমন্ডিতে একের পর এক চোখ উপড়ে ফেলা হচ্ছে বিড়ালের

জাতীয় ডেস্ক
Update Time : ০৯:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ নভেম্বর ২০২৫

ক্ষোভের বশে প্রতিপক্ষকে হত্যার পর বা আগে চোখ উপড়ানোর খবর প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়। তবে এবার নিরীহ প্রাণী বিড়ালের চোখ উপড়ানোর খবর পাওয়া গেছে। এমন ঘটনা ঘটেছে খোদ রাজধানী ঢাকাতেই।

ধানমন্ডি এলাকার তাকওয়া জামে মসজিদের আশপাশে দুই চোখ উপড়ানো অবস্থায় চারটি বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অনেকেই। এ ঘটনায় একটি অভিযোগের কপি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে তদন্ত শুরু করেছে ধানমন্ডি থানা পুলিশ।

সারাহ ফাতিমা নামের একজন তার ফেসবুক আইডিতে এ ঘটনায় একটি অভিযোগের কপি পোস্ট দিয়েছেন। অভিযোগের কপির নিচে তার নাম রয়েছে।

সারাহ ফাতিমা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে ধানমন্ডি ১২/এ এলাকায় তাকওয়া মসজিদের পাশে একাধিক বিড়ালকে নির্মমভাবে বিকৃত করে চোখ উপড়ে ফেলে অন্ধ অবস্থায় ফেলে রাখা হয়। এটি স্পষ্টতই কোনো সিরিয়াল অপরাধী বা অপরাধীদের কাজ, যারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নিরীহ প্রাণীদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। এই অমানবিক আচরণ প্রাণী কল্যাণ আইন, ২০১৯-এর ১৬ (ক) এবং (খ) ধারার সঙ্গে ৬ এবং ১০ ধারার আওতায় অপরাধ। এছাড়াও এ অপরাধ বাংলাদেশ পেনাল কোডের ৪২৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য ও আমলযোগ্য অপরাধ।

এ বিষয়ে পুলিশ যোগাযোগ করেছে জানিয়ে সারাহ ফাতিমা বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আশা করি অপরাধীরা ধরা পড়বে।

জানতে চাইলে ডিএমপির ধানমন্ডি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) শাহ মোস্তফা তারিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ কিংবা জিডি করেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিড়াল নিয়ে পোস্ট ভাইরালের দিন থেকেই একজন এসআইকে ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত এসআই পোস্ট দেওয়া ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কিন্তু বিড়ালগুলো কে কারা ফেলে গেছে তাদের এখনো পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের দাবি, যত দ্রুত সম্ভব ঘটনাটি তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত করতে হবে। তারা ধানমন্ডি থানাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় গত ৪ নভেম্বর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে বাংলাদেশ অ্যানিমেল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এটি নিছক কোনো দুর্ঘটনা নয়। তাদের ধারণা, এর পেছনে হয়তো কোনো সাইকোপ্যাথ ব্যক্তির হাত আছে; যে হয়তো বিড়ালের কষ্টে আনন্দ পাচ্ছে।

সারাহ ফাতিমার অভিযোগের অনুলিপিটি পরিবেশ বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার ও পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে দেওয়া হয়েছে।