ঢাকা ০১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জেলহত্যা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৫১৮ Time View

আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর দিন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতের আঁধারে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাস পর, একই বছরের ৩ নভেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মীকে রাতের আঁধারে কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের সেই নৃশংস ঘটনার পর এই চার জাতীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ক্ষমতার পাল্টাপাল্টি দখল ও ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বন্দী অবস্থায় কারাগারের অভ্যন্তরেই হত্যা করা হয় তাঁদের। ইতিহাসে এই ভয়াবহ ঘটনাটি “জেলহত্যা মামলা” নামে পরিচিতি পায়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মোট ১১ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে ১০ জনই এখনো পলাতক। কেবল একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং একই মাসে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার তদন্ত দীর্ঘ ২১ বছর স্থবির হয়ে ছিল। ১৯৯৬ সালের জুনে আওয়ামী লীগ সরকারে ফিরে আসার পর মামলার তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৯ বছর পর, ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে।

Please Share This Post in Your Social Media

জেলহত্যা দিবস আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১০:০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

আজ ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর দিন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর রাতের আঁধারে হত্যা করা হয় মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার মাত্র আড়াই মাস পর, একই বছরের ৩ নভেম্বর তাঁর ঘনিষ্ঠ চার সহকর্মীকে রাতের আঁধারে কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ১৫ আগস্টের সেই নৃশংস ঘটনার পর এই চার জাতীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ক্ষমতার পাল্টাপাল্টি দখল ও ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় বন্দী অবস্থায় কারাগারের অভ্যন্তরেই হত্যা করা হয় তাঁদের। ইতিহাসে এই ভয়াবহ ঘটনাটি “জেলহত্যা মামলা” নামে পরিচিতি পায়।

এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আটজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। মোট ১১ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মধ্যে ১০ জনই এখনো পলাতক। কেবল একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ দীর্ঘদিন ধরেই পলাতক ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দেশে ফেরার পর ২০২০ সালের এপ্রিলে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং একই মাসে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।

জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর ১৯৭৫ সালের ৪ নভেম্বর তৎকালীন কারা উপমহাপরিদর্শক কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কিন্তু মামলার তদন্ত দীর্ঘ ২১ বছর স্থবির হয়ে ছিল। ১৯৯৬ সালের জুনে আওয়ামী লীগ সরকারে ফিরে আসার পর মামলার তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া নতুন করে শুরু হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ২৯ বছর পর, ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার রায় ঘোষণা করে।