ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্ট্রে অনিয়ম, যথাযথ বোর্ড গঠনে অনিহা ও দূরভিসন্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৭:২৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫
  • / ৬৭ Time View

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বিচারপতি আমিন আহম্মদ ট্রাস্টে অনেকদিন ধরেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী , সুবিধাভোগী , আমিন আহম্মদ পরিবারের সদস্য ও সেবা প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে বলেন ; ট্রাস্টের সাথে ‘ইম্পেরিয়াল কনসালটেন্টস এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ শামীম রেজার সঙ্গে বিওটি ভিত্তিতে দুটি বেজমেন্টেসহ ১৩ তলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণের চুক্তি করেন। যেখানে কোনরুপ সিকিউরিটি মানি না নিয়ে ২০ কাঠা জায়গা ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাস্টিস আমিন আহমেদ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা ও সেবাগ্রহণকারীরা।

বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বর্তমান ট্রাস্টির সভায় স্থানীয় জনগণ উপস্থিত হয়ে, সেবা না পাওয়াসহ ট্রাস্ট্রের বিভিন্ন অনিয়ম বোর্ডের সামনে তুলে ধরেন। একই সাথে তারা ট্রাস্ট্রের অনিয়মের বিষয়ে পত্রিকার প্রতিবেদন দাখিল করে দ্রুতই এটার সুরাহা চান। সভায় ট্রাস্টিদের সবাই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা ও আগত যুবকদের সাথে একমত পোষণ করে সিদ্ধান্ত নেন যে দ্রুতই অনিয়ম ও অন্যায় বন্ধ করে ট্রাস্ট্রটি সচল করা হবে। যার ফলে পুর্বের ম্যানেজিং ট্রাস্টিদ্বয় পদত্যাগ করেন। ট্রাস্টি মীর হাশমত আলী চলনার মাধ্যমে বর্তমান ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব তাকে অর্পন করা হয়েছে। যার আইনগতভাবে কোন ভিত্তি নাই।।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিচারপতি মীর হাশমত আলী ২০১৮ সালের পূর্বেও ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি ডেভেলপার কোম্পানির নিকট ফ্লট অথবা সমপরিমাণ টাকা দাবী করেন। যার প্রক্ষিতে তাকে তখন ম্যানেজিং ট্রাস্টি ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। তবে এর মধ্যে বর্তমান ট্রাস্ট্রি মীর হাশমত আলী বিভিন্নভাবে নিজ সুবিধামত কমিটি গঠন করতে গোপণে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। এর মধ্যে তিনি ধানমন্ডি বাসির চাওয়াকে পাশ কাটিয়ে তার নিজের লোকদের দিয়ে পুরো কমিটি গঠন করতে উদ্যোগ নিলেও ;; নানান অজুহাতে সেটিও বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে হয়নি।

সর্বশেষ তিনি ট্রাস্ট্রে তার পছন্দের বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সুবিধাভোগীদের বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেন। যা নিয়ে এলাকাবসী মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, বর্তমান ট্রাস্ট্রি আগেও অনিয়মে জড়িত ছিলো , বর্তমানেও অনিয়মতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক দায়িত্ব নিয়ে তিনি তো সেবা বন্ধ করার উপক্রম করেছেন, একই সঙ্গে এই ট্রাস্ট্রে ধানমন্ডি বাসির চাওয়াকে পাশ কাটিয়ে তিনি তার মনের মত ট্রাস্টের নিয়ম বহির্ভূত লোকজন দিয়ে বেআইনি কমিটি গঠনের জন্য বিগত ৫ সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গোপন মিটিং করে যাচ্ছেন।

ধানমন্ডি বাসির চাওয়া ছিলো এলাকা থেকে বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে সহযোগিতার ও পাবলিক রিলেশান ম্যানেজ করার জন্য যথোপযুক্ত একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা যাতে ট্রাস্ট্রের কাজের গতি আসে এবং স্থানীয় জনগণ ও অবহেলিত মানুষের সেবায় ট্রাস্ট্রটি আবারও সচল হয় ।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ম্যানেজিং ট্রাস্টি বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমানের কাছ থেকে চল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বর্তমানে ম্যানেজিং ট্রাস্টি বনে গেছেন। অভিযোগকারী ও সচেতন জনতা এবং পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তিনি আবারও ট্রাস্টের উন্নয়নে ভুমিকা পালনের চেয়ে নিজের দূর্নীতির উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকবার ফন্দি করছেন ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিবাদের দোসর জুলাই-আগষ্টে গণহত্যার সময় এই সৈয়দ শামীম রেজা ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ে ধানমন্ডিতে গোলাগুলি করে তার আশ্রয়ে ও নিরাপত্তায় সন্ত্রাসীরা ছিল। এখনো তার অফিসে রাতের বেলায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আড্ডা দেয় বলে জানিয়েছেন ভবনের আশপাশের লোকজন ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্টের বর্তমান ম্যানেজিং ট্রাস্টি ডেভেলপার শামীম রেজার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নিয়েছেন । উনি তার থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে ট্রাস্টের কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করায় বা কোন উপযুক্ত পরিবর্তনে হাত না দেওয়ায় উল্টো সেবামূলক সমস্ত কার্যক্রমে স্তবিরতা রয়েই গেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ্য জনবল ও ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে না। অর্থ সংকটের ফলে ঔষধ সহ কোনরূপ দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার ফলে সেবা নিতে এসে গরীব অসহায় রোগীদের ফেরত যেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানি নিকট ট্রাস্টের বকেয়া পাওনা কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের কোন ধরনের তৎপরতাও নেই। এসব বিষয়ে জানতে ডেভেলপার সামীম রেজার সঙ্গে প্রতিদিনের বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ করেও তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমিন আহম্মদ রাজধানীর ধানমন্ডিতে ১৯৮১ সালে একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। মানবতার সেবার উদ্যেশ্যে তিনি নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে নিজেকে ম্যানেজিং ট্রাস্টি করে ‘জাস্টিস আমিন আহম্মদ’ নামেই এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই বিচারপতি একেএম বাকের ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন। ধারাবাহিকভাবে বিচারপতি রুহুল ইসলাম, বিচারপতি আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদুল হক দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি এবাদুল হকের মৃত্যুর পর বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমান ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালনের সময় থেকে ট্রাস্টের কার্যক্রমের বিপত্তি ঘটতে থাকে– যাহা এই সময়ে মীর হাসমত আলীর হাত দিয়ে ট্রাস্টটি ধংসের ষোলকলা পূর্ণতা পাবার পথে চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেছে ।

এই বিষয়ে মীর হাসমতের নিকট গত এক সপ্তাহ ধরে তার মন্তব্য জানতে চাইলেও আজ পর্যন্ত এই প্রতিবেদকে তিনি কোন সহযোগিতা করেন নি।

জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্ট্রে অনিয়মের অভিযোগ

Please Share This Post in Your Social Media

জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্ট্রে অনিয়ম, যথাযথ বোর্ড গঠনে অনিহা ও দূরভিসন্ধি

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৭:২৯:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ নভেম্বর ২০২৫

রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত বিচারপতি আমিন আহম্মদ ট্রাস্টে অনেকদিন ধরেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

এলাকাবাসী , সুবিধাভোগী , আমিন আহম্মদ পরিবারের সদস্য ও সেবা প্রত্যাশীরা অভিযোগ করে বলেন ; ট্রাস্টের সাথে ‘ইম্পেরিয়াল কনসালটেন্টস এন্ড ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির’ ম্যানেজিং ডিরেক্টর সৈয়দ শামীম রেজার সঙ্গে বিওটি ভিত্তিতে দুটি বেজমেন্টেসহ ১৩ তলা বিশিষ্ট দালান নির্মাণের চুক্তি করেন। যেখানে কোনরুপ সিকিউরিটি মানি না নিয়ে ২০ কাঠা জায়গা ডেভেলপার কোম্পানিকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জাস্টিস আমিন আহমেদ ট্রাস্ট এর কর্মকর্তা ও সেবাগ্রহণকারীরা।

বিগত ২৭ সেপ্টেম্বর শনিবার বর্তমান ট্রাস্টির সভায় স্থানীয় জনগণ উপস্থিত হয়ে, সেবা না পাওয়াসহ ট্রাস্ট্রের বিভিন্ন অনিয়ম বোর্ডের সামনে তুলে ধরেন। একই সাথে তারা ট্রাস্ট্রের অনিয়মের বিষয়ে পত্রিকার প্রতিবেদন দাখিল করে দ্রুতই এটার সুরাহা চান। সভায় ট্রাস্টিদের সবাই পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা ও আগত যুবকদের সাথে একমত পোষণ করে সিদ্ধান্ত নেন যে দ্রুতই অনিয়ম ও অন্যায় বন্ধ করে ট্রাস্ট্রটি সচল করা হবে। যার ফলে পুর্বের ম্যানেজিং ট্রাস্টিদ্বয় পদত্যাগ করেন। ট্রাস্টি মীর হাশমত আলী চলনার মাধ্যমে বর্তমান ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব তাকে অর্পন করা হয়েছে। যার আইনগতভাবে কোন ভিত্তি নাই।।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিচারপতি মীর হাশমত আলী ২০১৮ সালের পূর্বেও ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি ডেভেলপার কোম্পানির নিকট ফ্লট অথবা সমপরিমাণ টাকা দাবী করেন। যার প্রক্ষিতে তাকে তখন ম্যানেজিং ট্রাস্টি ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়। তবে এর মধ্যে বর্তমান ট্রাস্ট্রি মীর হাশমত আলী বিভিন্নভাবে নিজ সুবিধামত কমিটি গঠন করতে গোপণে বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করেন। এর মধ্যে তিনি ধানমন্ডি বাসির চাওয়াকে পাশ কাটিয়ে তার নিজের লোকদের দিয়ে পুরো কমিটি গঠন করতে উদ্যোগ নিলেও ;; নানান অজুহাতে সেটিও বিগত এক মাসের বেশি সময় ধরে হয়নি।

সর্বশেষ তিনি ট্রাস্ট্রে তার পছন্দের বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের সুবিধাভোগীদের বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেন। যা নিয়ে এলাকাবসী মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানান, বর্তমান ট্রাস্ট্রি আগেও অনিয়মে জড়িত ছিলো , বর্তমানেও অনিয়মতান্ত্রিক ও অগণতান্ত্রিক দায়িত্ব নিয়ে তিনি তো সেবা বন্ধ করার উপক্রম করেছেন, একই সঙ্গে এই ট্রাস্ট্রে ধানমন্ডি বাসির চাওয়াকে পাশ কাটিয়ে তিনি তার মনের মত ট্রাস্টের নিয়ম বহির্ভূত লোকজন দিয়ে বেআইনি কমিটি গঠনের জন্য বিগত ৫ সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন গোপন মিটিং করে যাচ্ছেন।

ধানমন্ডি বাসির চাওয়া ছিলো এলাকা থেকে বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ডের সাথে সহযোগিতার ও পাবলিক রিলেশান ম্যানেজ করার জন্য যথোপযুক্ত একজনকে অন্তর্ভুক্ত করা যাতে ট্রাস্ট্রের কাজের গতি আসে এবং স্থানীয় জনগণ ও অবহেলিত মানুষের সেবায় ট্রাস্ট্রটি আবারও সচল হয় ।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ম্যানেজিং ট্রাস্টি বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমানের কাছ থেকে চল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে অনিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বর্তমানে ম্যানেজিং ট্রাস্টি বনে গেছেন। অভিযোগকারী ও সচেতন জনতা এবং পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ তিনি আবারও ট্রাস্টের উন্নয়নে ভুমিকা পালনের চেয়ে নিজের দূর্নীতির উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত থাকবার ফন্দি করছেন ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফ্যাসিবাদের দোসর জুলাই-আগষ্টে গণহত্যার সময় এই সৈয়দ শামীম রেজা ধানমন্ডিতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অর্থের যোগানদাতা ছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। সেই সময়ে ধানমন্ডিতে গোলাগুলি করে তার আশ্রয়ে ও নিরাপত্তায় সন্ত্রাসীরা ছিল। এখনো তার অফিসে রাতের বেলায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আড্ডা দেয় বলে জানিয়েছেন ভবনের আশপাশের লোকজন ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্টের বর্তমান ম্যানেজিং ট্রাস্টি ডেভেলপার শামীম রেজার সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে নিয়েছেন । উনি তার থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে ট্রাস্টের কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ না করায় বা কোন উপযুক্ত পরিবর্তনে হাত না দেওয়ায় উল্টো সেবামূলক সমস্ত কার্যক্রমে স্তবিরতা রয়েই গেছে।

অভিযোগকারীরা জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে যোগ্য জনবল ও ডাক্তার নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে না। অর্থ সংকটের ফলে ঔষধ সহ কোনরূপ দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হওয়ার ফলে সেবা নিতে এসে গরীব অসহায় রোগীদের ফেরত যেতে হচ্ছে।

অন্যদিকে ডেভেলপার কোম্পানি নিকট ট্রাস্টের বকেয়া পাওনা কোটি কোটি টাকা উদ্ধারের কোন ধরনের তৎপরতাও নেই। এসব বিষয়ে জানতে ডেভেলপার সামীম রেজার সঙ্গে প্রতিদিনের বাংলাদেশ থেকে যোগাযোগ করেও তার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আমিন আহম্মদ রাজধানীর ধানমন্ডিতে ১৯৮১ সালে একটি ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান গঠন করেন। মানবতার সেবার উদ্যেশ্যে তিনি নিজের অর্থ সম্পদ দিয়ে নিজেকে ম্যানেজিং ট্রাস্টি করে ‘জাস্টিস আমিন আহম্মদ’ নামেই এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার মৃত্যুর পর ছোট ভাই বিচারপতি একেএম বাকের ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালন করেন। ধারাবাহিকভাবে বিচারপতি রুহুল ইসলাম, বিচারপতি আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদুল হক দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি এবাদুল হকের মৃত্যুর পর বিচারপতি এএফএম আবদুর রহমান ম্যানেজিং ট্রাস্টির দায়িত্ব পালনের সময় থেকে ট্রাস্টের কার্যক্রমের বিপত্তি ঘটতে থাকে– যাহা এই সময়ে মীর হাসমত আলীর হাত দিয়ে ট্রাস্টটি ধংসের ষোলকলা পূর্ণতা পাবার পথে চূড়ান্ত অবস্থায় পৌঁছেছে ।

এই বিষয়ে মীর হাসমতের নিকট গত এক সপ্তাহ ধরে তার মন্তব্য জানতে চাইলেও আজ পর্যন্ত এই প্রতিবেদকে তিনি কোন সহযোগিতা করেন নি।

জাস্টিস আমিন আহম্মদ ট্রাস্ট্রে অনিয়মের অভিযোগ