ঢাকা ১১:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মির্জা ফখরুল

শুধু জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চাইছে স্বাধীনতা বিরোধীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫
  • / ১৪০ Time View

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে ‘উল্লম্ফন’ দেখা যাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যকে খাটো করে, ভুলিয়ে দিয়ে শুধু ‘২৪-এর জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চাইছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৭ নভেম্বরের চেতনায়’ আয়োজিত এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কোনো বিভক্তি আনতে চাই না। কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু কিছু শক্তি, কিছু কিছু মানুষ এখানে বিভক্তি আনতে চায়। ১৯৭১ সালকে যারা ভুলিয়ে দিতে চায়—তাদের লক্ষ্য একটাই—তারা ১৯৭১-কে অস্বীকার করতে চায়। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েছি—সেটাকে তারা অস্বীকার করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দেয়ার কোনো অবকাশ নেই, কারণ ওটাই হচ্ছে আমাদের জন্মের ঠিকানা।’

‘মনে রাখতে হবে সবসময়, একাত্তর হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের পরিচিতির কথা, আমাদের স্বাতন্ত্র্যের কথা। সেইদিন যে ঘোষণা হয়েছিল স্বাধীনতার—সেই ঘোষণা হচ্ছে আমাদের নতুন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের কথা’, যোগ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী সমস্ত শক্তির অনেক বেশি উল্লম্ফন দেখতে পাই।’

এসব শক্তির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একবার স্মরণ করুন অতীতের কথা। কারো নাম ধরে বলব না, কিন্তু নিজেদের অতীতকে স্মরণ করুন। ১৯৭১ সালে আপনাদের কী ভূমিকা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলে আখ্যায়িত করেছেন। যারা আমাদের হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আপনারা এই দেশের মানুষকে হত্যা করেছিলেন এবং আমাদের বহু গুণী-জ্ঞানী ব্যক্তিকে সেদিন হত্যা করে বদ্ধভূমিতে নিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন। আমরা একটুও ভুলিনি।’

ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিন এবং তাকে আইনের মুখোমুখি করুন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, বাংলাদেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে না।’

বিএনপিকে নির্বাচনমুখী দল হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল। আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানের পর সভা করে বলেছিলাম—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে অপশক্তিগুলো এখন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, কারণ নির্বাচন হলে তারা সুযোগ পেত না।’

ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে’

ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের “নোট অব ডিসেন্টের” [ভিন্নমত] কথা বাদ দিয়ে তারা নতুন করে কিছু ভিন্ন প্রস্তাব সামনে এনেছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।’

বিএনপির দায়িত্বশীল আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স করেছি। আমরা রাস্তায় যাইনি, প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও করিনি, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি।’

অন্য একটি রাজনৈতিক জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধে আন্দোলন করছে, সরকারকে চাপ দিচ্ছে যেন তাদের কথাই মানা হয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।’

প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন-“যেকোনো সময় হামলা হতে পারে”। কিন্তু তিনি বলেননি, হামলা কোথা থেকে আসবে বা কারা করবে। এটা জাতিকে জানানো উচিত ছিল।’

যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধে জাতি প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জাতি প্রস্তুত আছে—যেকোনো হামলা প্রতিরোধ করতে আমরা প্রস্তুত।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনও সুযোগ নেই। বর্তমান সংকট অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছে। মিথ্যা বলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ, একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিলেন। জাতি সেটা ভোলেনি।”

তিনি আরও বলেন, “অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমরাই সংস্কারের পক্ষে। পিআর হবে কী না সে সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নেবে। পিআর না হলে নির্বাচন হবে না এ কথা বলে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।”

সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে বসে বিভিন্ন মিডিয়াকে শেখ হাসিনা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করতে চাই। ফিরে এলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”

Please Share This Post in Your Social Media

মির্জা ফখরুল

শুধু জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চাইছে স্বাধীনতা বিরোধীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:০২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ নভেম্বর ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিগুলোর মধ্যে ‘উল্লম্ফন’ দেখা যাচ্ছে।

তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৭১ সালে যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই এখন মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্যকে খাটো করে, ভুলিয়ে দিয়ে শুধু ‘২৪-এর জুলাই আন্দোলনকে বড় করে দেখাতে চাইছে।

শনিবার (১ নভেম্বর) ‘৭ নভেম্বরের চেতনায়’ আয়োজিত এক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপরিহার্য’।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে কোনো বিভক্তি আনতে চাই না। কিন্তু অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কিছু কিছু শক্তি, কিছু কিছু মানুষ এখানে বিভক্তি আনতে চায়। ১৯৭১ সালকে যারা ভুলিয়ে দিতে চায়—তাদের লক্ষ্য একটাই—তারা ১৯৭১-কে অস্বীকার করতে চায়। আমাদের নেতা জিয়াউর রহমানের ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্র হয়েছি—সেটাকে তারা অস্বীকার করতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৭১ সালকে ভুলিয়ে দেয়ার কোনো অবকাশ নেই, কারণ ওটাই হচ্ছে আমাদের জন্মের ঠিকানা।’

‘মনে রাখতে হবে সবসময়, একাত্তর হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের কথা, আমাদের পরিচিতির কথা, আমাদের স্বাতন্ত্র্যের কথা। সেইদিন যে ঘোষণা হয়েছিল স্বাধীনতার—সেই ঘোষণা হচ্ছে আমাদের নতুন জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশের কথা’, যোগ করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী সমস্ত শক্তির অনেক বেশি উল্লম্ফন দেখতে পাই।’

এসব শক্তির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘একবার স্মরণ করুন অতীতের কথা। কারো নাম ধরে বলব না, কিন্তু নিজেদের অতীতকে স্মরণ করুন। ১৯৭১ সালে আপনাদের কী ভূমিকা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা মুক্তিযুদ্ধকে গোলমাল বলে আখ্যায়িত করেছেন। যারা আমাদের হত্যা করেছিল, তাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আপনারা এই দেশের মানুষকে হত্যা করেছিলেন এবং আমাদের বহু গুণী-জ্ঞানী ব্যক্তিকে সেদিন হত্যা করে বদ্ধভূমিতে নিয়ে ফেলে দিয়েছিলেন। আমরা একটুও ভুলিনি।’

ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিন এবং তাকে আইনের মুখোমুখি করুন। বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবেন না, বাংলাদেশের জনগণ সেটা মেনে নেবে না।’

বিএনপিকে নির্বাচনমুখী দল হিসেবে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি শুরু থেকেই নির্বাচনমুখী দল। আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচনের দাবি জানিয়েছি। গণ-অভ্যুত্থানের পর সভা করে বলেছিলাম—তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে অপশক্তিগুলো এখন মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে, কারণ নির্বাচন হলে তারা সুযোগ পেত না।’

ঐকমত্য কমিশন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে’

ঐকমত্য কমিশনের বিরুদ্ধে জনগণের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘ঐকমত্য কমিশনের “নোট অব ডিসেন্টের” [ভিন্নমত] কথা বাদ দিয়ে তারা নতুন করে কিছু ভিন্ন প্রস্তাব সামনে এনেছে। এটা অন্যায়, এটা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।’

বিএনপির দায়িত্বশীল আচরণের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারপরও আমরা দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে শুধুমাত্র প্রেস কনফারেন্স করেছি। আমরা রাস্তায় যাইনি, প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি ঘেরাও করিনি, নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি।’

অন্য একটি রাজনৈতিক জোটের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল জোট বেঁধে আন্দোলন করছে, সরকারকে চাপ দিচ্ছে যেন তাদের কথাই মানা হয়। আমরা চাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হোক।’

প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা নিজেই বলেছেন-“যেকোনো সময় হামলা হতে পারে”। কিন্তু তিনি বলেননি, হামলা কোথা থেকে আসবে বা কারা করবে। এটা জাতিকে জানানো উচিত ছিল।’

যেকোনো ধরনের হামলা প্রতিরোধে জাতি প্রস্তুত আছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জাতি প্রস্তুত আছে—যেকোনো হামলা প্রতিরোধ করতে আমরা প্রস্তুত।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের সুযোগ নেই

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনও সুযোগ নেই। বর্তমান সংকট অন্তর্বর্তী সরকার তৈরি করেছে। মিথ্যা বলে জাতির সঙ্গে প্রতারণা না করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে একটি মহল একাত্তরকে ভুলিয়ে দিতে চায়। কিন্তু সেটি করার সুযোগ নেই। কারণ, একাত্তরেই আমাদের জন্ম। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিলেন। জাতি সেটা ভোলেনি।”

তিনি আরও বলেন, “অভ্যুত্থানের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন হলে অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে ওঠারও সাহস পেত না। আমাদের ৩১ দফায় সব সংস্কারের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। আমরাই সংস্কারের পক্ষে। পিআর হবে কী না সে সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নেবে। পিআর না হলে নির্বাচন হবে না এ কথা বলে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে।”

সব ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে বিএনপি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ভারতে বসে বিভিন্ন মিডিয়াকে শেখ হাসিনা ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ করতে চাই। ফিরে এলে তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”