ঢাকা ০৫:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘হ্যাঁ-না’ পোস্টে সরগরম ফেসবুক: গণভোট ইস্যুতে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

রিয়াজুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩১২ Time View

গণভোটকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া ফেসবুকের টাইমলাইনে হঠাৎ করেই দেখা যায় ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা পোস্টের বন্যা। কোনো কারণ ছাড়াই এসব ছবি বা পোস্ট শেয়ার করছেন নেটিজেনরা, যা দ্রুতই ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।

এই হ্যাঁ-না পোস্টের পেছনে আসল কারণটি রাজনৈতিক। জানা গেছে, গণভোটের প্রশ্নে একদিকে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি, আরেকদিকে জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের অবস্থানের প্রতিফলনই সোশ্যাল মিডিয়ার এই ‘হ্যাঁ-না’ প্রতিযোগিতা।

সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে যে সুপারিশ পেশ করেছে, সেটিকে কেন্দ্র করেই নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চাইছে নভেম্বরে গণভোট, আর এনসিপি চাইছে নির্বাচনের আগেই এই আয়োজন হোক, তবে নির্দিষ্ট সময় জানায়নি।

ফলে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নিজের প্রোফাইলে একটি ‘না’ পোস্ট দিয়ে এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। বিপরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড পেজে দেখা গেছে ‘হ্যাঁ’ পোস্ট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হ্যাঁ-না পোস্টগুলো আসলে গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশের নতুন ডিজিটাল কৌশল। তবে সাধারণ মানুষ এখনো বিভ্রান্ত—কেন এই হ্যাঁ বা না পোস্ট করা হচ্ছে, তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় তারা বিষয়টির প্রেক্ষাপট বুঝে উঠতে পারছেন না।

এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর করেছে।
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।”

সবমিলিয়ে, অনলাইন থেকে অফলাইন—সব জায়গায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটাই প্রশ্ন:
গণভোট হবে কবে, আর ‘হ্যাঁ’ না ‘না’—কোনটা জয়ী হবে এই জনমত যুদ্ধে?

Please Share This Post in Your Social Media

‘হ্যাঁ-না’ পোস্টে সরগরম ফেসবুক: গণভোট ইস্যুতে উত্তাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম

রিয়াজুল ইসলাম, নোয়াখালী প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

গণভোটকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ১২টার দিকে শুরু হওয়া ফেসবুকের টাইমলাইনে হঠাৎ করেই দেখা যায় ‘হ্যাঁ’ ও ‘না’ লেখা পোস্টের বন্যা। কোনো কারণ ছাড়াই এসব ছবি বা পোস্ট শেয়ার করছেন নেটিজেনরা, যা দ্রুতই ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে।

এই হ্যাঁ-না পোস্টের পেছনে আসল কারণটি রাজনৈতিক। জানা গেছে, গণভোটের প্রশ্নে একদিকে অবস্থান নিয়েছে বিএনপি, আরেকদিকে জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তাদের অবস্থানের প্রতিফলনই সোশ্যাল মিডিয়ার এই ‘হ্যাঁ-না’ প্রতিযোগিতা।

সূত্র জানায়, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারের কাছে যে সুপারিশ পেশ করেছে, সেটিকে কেন্দ্র করেই নতুন রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিএনপি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তারা জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে আয়োজনের পক্ষে।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী চাইছে নভেম্বরে গণভোট, আর এনসিপি চাইছে নির্বাচনের আগেই এই আয়োজন হোক, তবে নির্দিষ্ট সময় জানায়নি।

ফলে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির অবস্থান ভিন্ন হওয়ায় বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির নিজের প্রোফাইলে একটি ‘না’ পোস্ট দিয়ে এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছেন। বিপরীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড পেজে দেখা গেছে ‘হ্যাঁ’ পোস্ট।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই হ্যাঁ-না পোস্টগুলো আসলে গণভোটের পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশের নতুন ডিজিটাল কৌশল। তবে সাধারণ মানুষ এখনো বিভ্রান্ত—কেন এই হ্যাঁ বা না পোস্ট করা হচ্ছে, তার কোনো স্পষ্ট ব্যাখ্যা না থাকায় তারা বিষয়টির প্রেক্ষাপট বুঝে উঠতে পারছেন না।

এদিকে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা হস্তান্তর করেছে।
কমিশনের সহসভাপতি ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, “জাতীয় নির্বাচনের আগে অথবা নির্বাচনের দিন গণভোট আয়োজনের সুপারিশ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে।”

সবমিলিয়ে, অনলাইন থেকে অফলাইন—সব জায়গায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু একটাই প্রশ্ন:
গণভোট হবে কবে, আর ‘হ্যাঁ’ না ‘না’—কোনটা জয়ী হবে এই জনমত যুদ্ধে?