রেললাইনের ফিসপ্লেট চুরি করে বিক্রি: ৬ কর্মচারী স্ট্যান্ড রিলিজ
 
																
								
							
                                - Update Time : ০৯:০৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫
- / ৫৯৩ Time View
কিশোরগঞ্জে রেললাইনের ফিসপ্লেট চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের ৬ কর্মচারিকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়েছে।
গত ২৭ অক্টোবর রেলওয়ের ভৈরববাজার ঘাটের সহকারী নির্বাহী প্রকোশলী মো. জাহিদ হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদের কিশোরগঞ্জ থেকে বদলী করে ৫ জনকে নরসিংদী ও একজনকে কিশোরগঞ্জে বদলী করা হয়।
বদলীকৃত কর্মচারিদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ রেলপথের ৭ নং গ্যাং এর কি-ম্যান মো. শফিকুল ইসলামকে একই পদে, ৪ নং গ্যাং এর ওয়ে-ম্যান মো. শাহীন আলী শাহকে কি-ম্যান, ৪৮ নং গ্যাং এর ভারপ্রাপ্ত কি-ম্যান হারুন মিয়াকে ওয়ে-ম্যান, ৭ নং গ্যাং এর ওয়ে-ম্যান সালাউদ্দিন ও মাহমুদুল হাসানকে একই পদে নরসিংদীতে বদলী করা হয়। এ ছাড়া ৭ নং গ্যাং এর ওয়ে-ম্যান মো. আবুল কাহার ভূইয়াকে কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের ৭ নং গ্যাং এর ভারপ্রাপ্ত কি-ম্যান হিসেবে বদলী করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, উক্ত কর্মচারীরা ৩ কর্মদিসবের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান না করলে ২৯ অক্টোবর থেকে বর্তমান কর্মস্থলে অবমুক্ত বলে গন্য হবেন।
জানা গেছে, বদলীকৃত কর্মচারীরা এরই মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। তবে রেলওয়ের উর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে এই বদলী আদেশ স্থগিত করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের কয়েকজন কর্মচারী জানান, রেললাইনের ফিশপ্লেট ও গাছ চুরির সাথে জড়িত কর্মচারিদের বদলী করার পরই মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই আদেশ স্থগিতের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তারা জানান, প্রধান প্রকৌশলী ও সিনিয়র সহকারি নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উর্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তাকে ম্যানেক করে অভিযুক্ত এই ৬ কর্মচারীকে বদলীর আদেশ স্থগিত করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে, রেলওয়ের ভৈরববাজার ঘাটের সহকারী নির্বাহী প্রকোশলী মো. জাহিদ হাসান বলেন, ‘ ৬ কর্মচারিকে বদলী করার পর প্রধান প্রকৌশলী তাকে ফোন করে এই আদেশ স্থগিত করতে বলেছেন।’ টাকা লেনদেনের বিষয়টি তার জানা নেই বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আজ (৩০ অক্টোবর) বদলী আদেশ স্থগিত করার কথা থাকলেও বিকেলে বিভাগীয় প্রকৌশলী আমাকে জানিয়েছেন, বদলীর আদেশ আপাতত স্থগিত করা হচ্ছেনা। অভিযুক্ত কর্মচারিদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. তানভিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার তার মোবাইল ফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ অক্টোবর কিশোরগঞ্জ রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের ওয়ে-ম্যান সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন কর্মচারির বিরুদ্ধে ৬৮ নং গেট থেকে রেললাইনের জয়েন্ট পরিবর্তনের দু’টি প্ল্যাট চুরি ও এক ব্যাক্তির মালিকানাধীন জমি থেকে গাছ চুরির অভিযোগ উঠে। প্রাথমিক ভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৬ কর্মচারীকে স্ট্যান্ডরিলিজ করা হয়।
 
					 
																			




































































































































































































