ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বিনা শর্তে মাফ চাইলাম, তারপরও বাকি থাকল কোনটা বুঝি না: জামায়াত আমির লালবাগে রিয়াজ উদ্দিন মনির সমর্থনে র‍্যালি রায় ছিঁড়ে পছন্দের বিচারকের কাছে পুন: বিচারের জন্য পাঠালেন শরীয়তপুরের জেলা জজ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আলোচনা সভা ও র‍্যালি ব্যর্থ প্রশাসনের প্রতীক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা : ব্যারিস্টার ফুয়াদ ভেঙে ফেলা হচ্ছে ‘মিনিস্টার বাড়ি’ সালমান শাহর মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের নির্দেশ তিন দফা দাবিতে ৯ম দিনের অনশন, অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিক্ষকরা জবি শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যার ঘটনায় তার ছাত্রী আটক পিআর নিয়ে নাহিদের বালখিল্য বক্তব্য জাতি আশা করে না: জামায়াত

পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দ. আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • Update Time : ০৬:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২২৮ Time View

পাকিস্তান ও দ.আফিকার টেস্ট ম্যাচ

রাওয়ালপিন্ডির সকালটা ছিল প্রতিশ্রুতিময়, কিন্তু পাকিস্তানের আশা গুঁড়ো হয়ে গেল প্রথম ঘণ্টাতেই। ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ল খড়ের ঘরের মতো। ছন্দ ফিরে পাওয়া বাবর আজমকে ফেরাতে মাত্র পাঁচ বল লেগেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এরপর আরও নয় রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান নিশ্চিত করে নিজেদের পতন।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য ৬৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার এক সেশনই যথেষ্ট ছিল।

অফ স্পিনার সাইমন হারমার ছয় উইকেট শিকার করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ১০০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন, ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। তার বোলিংয়েই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

বাবর আজম দিনের দ্বিতীয় বলেই ঘরের মাঠে ২০২২ সালের পর প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু সেটাই হয়ে রইল তার ইনিংসের শেষ মাইলফলক। তিন বল পরেই একই রকম এক অফ স্পিনারে বল খানিকটা নিচু হয়ে এসে তাকে লেগবিফোর করে দেয়, শুরু হয় পাকিস্তানের ধ্বস।

এরপর রিজওয়ান এগিয়ে এসে হারমারের ফ্লাইটেড বলে ব্যাট-প্যাডে ক্যাচ দেন টনি ডি জর্জির হাতে, হারমারের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৯৯। পরের বলেই নোমান আলিকে অফস্টাম্পের বাইরে ফেলা এক নিখুঁত বল ছুঁয়ে যায় ব্যাটের কিনারা, কাইল ভেরেইনের গ্লাভসে জড়ায় বলটি, হারমারের ১০০০তম শিকার সম্পন্ন।

পাকিস্তানের ব্যাটাররা তখন একের পর এক ভুলে ডুবে যাচ্ছেন। রান নেওয়ার চেষ্টায় শাহীন শাহ আফ্রিদি ও আঘা সালমান দুজনেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন; রায়ান রিকেলটনের সরাসরি থ্রো আঘাত হানে স্টাম্পে, শাহীন ফিরে যান রান আউট হয়ে। ১০৫ রানে ৫ উইকেট থেকে পাকিস্তান মুহূর্তেই ১০৫ রানে ৮ উইকেট।

শেষদিকে আঘা সালমানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মহারাজের বল ব্যাটের ভেতরের কিনারায় লেগে উইকেটে গড়িয়ে যায়। এরপর সাজিদ খান স্টাম্পিংয়ে ধরা পড়েন। পাকিস্তান তখন প্রায় আত্মসমর্পণ করেই বসে।

৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা কাজটা করেন সহজেই। শেষদিকে এইডেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবসকে ফিরিয়ে সামান্য সান্ত্বনা দেন নোমান আলি, কিন্তু তখন জয় থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র কয়েক রান দূরে। রিকেলটন পরের ওভারেই লং-অফের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে আনেন স্মরণীয় জয়।

Please Share This Post in Your Social Media

পাকিস্তানকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল দ. আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক
Update Time : ০৬:৪০:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

রাওয়ালপিন্ডির সকালটা ছিল প্রতিশ্রুতিময়, কিন্তু পাকিস্তানের আশা গুঁড়ো হয়ে গেল প্রথম ঘণ্টাতেই। ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে পড়ল খড়ের ঘরের মতো। ছন্দ ফিরে পাওয়া বাবর আজমকে ফেরাতে মাত্র পাঁচ বল লেগেছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। এরপর আরও নয় রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান নিশ্চিত করে নিজেদের পতন।

সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সমতা ফিরিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা। জয়ের জন্য ৬৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার এক সেশনই যথেষ্ট ছিল।

অফ স্পিনার সাইমন হারমার ছয় উইকেট শিকার করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ১০০০ উইকেট পূর্ণ করেছেন, ইতিহাসে মাত্র চতুর্থ দক্ষিণ আফ্রিকান হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। তার বোলিংয়েই পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।

বাবর আজম দিনের দ্বিতীয় বলেই ঘরের মাঠে ২০২২ সালের পর প্রথম অর্ধশতক পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু সেটাই হয়ে রইল তার ইনিংসের শেষ মাইলফলক। তিন বল পরেই একই রকম এক অফ স্পিনারে বল খানিকটা নিচু হয়ে এসে তাকে লেগবিফোর করে দেয়, শুরু হয় পাকিস্তানের ধ্বস।

এরপর রিজওয়ান এগিয়ে এসে হারমারের ফ্লাইটেড বলে ব্যাট-প্যাডে ক্যাচ দেন টনি ডি জর্জির হাতে, হারমারের উইকেট সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৯৯। পরের বলেই নোমান আলিকে অফস্টাম্পের বাইরে ফেলা এক নিখুঁত বল ছুঁয়ে যায় ব্যাটের কিনারা, কাইল ভেরেইনের গ্লাভসে জড়ায় বলটি, হারমারের ১০০০তম শিকার সম্পন্ন।

পাকিস্তানের ব্যাটাররা তখন একের পর এক ভুলে ডুবে যাচ্ছেন। রান নেওয়ার চেষ্টায় শাহীন শাহ আফ্রিদি ও আঘা সালমান দুজনেই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন; রায়ান রিকেলটনের সরাসরি থ্রো আঘাত হানে স্টাম্পে, শাহীন ফিরে যান রান আউট হয়ে। ১০৫ রানে ৫ উইকেট থেকে পাকিস্তান মুহূর্তেই ১০৫ রানে ৮ উইকেট।

শেষদিকে আঘা সালমানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মহারাজের বল ব্যাটের ভেতরের কিনারায় লেগে উইকেটে গড়িয়ে যায়। এরপর সাজিদ খান স্টাম্পিংয়ে ধরা পড়েন। পাকিস্তান তখন প্রায় আত্মসমর্পণ করেই বসে।

৬৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনাররা কাজটা করেন সহজেই। শেষদিকে এইডেন মার্করাম ও ট্রিস্টান স্টাবসকে ফিরিয়ে সামান্য সান্ত্বনা দেন নোমান আলি, কিন্তু তখন জয় থেকে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র কয়েক রান দূরে। রিকেলটন পরের ওভারেই লং-অফের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে আনেন স্মরণীয় জয়।