ঢাকা ০১:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

আন্তজাতিক ডেস্ক 
  • Update Time : ০২:২০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩১৯ Time View

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্বাংশ বা ইস্ট উইংয়ের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

২৫০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প সম্পর্কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এটি পুরোপুরি আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হলেও মূল ভবনের ঐতিহ্য নষ্ট করা হবে না। তিনি বলেন, বলরুমটি মূল ভবনের পাশে তৈরি হবে; কিন্তু সেটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। আমি হোয়াইট হাউসের সবচেয়ে বড় ভক্ত, তাই এর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

ট্রাম্পের দাবি, প্রকল্পটি ব্যক্তিগত অর্থায়নে হচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছেন অনেকে। যদিও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

ইস্ট উইং প্রথম নির্মিত হয় ১৯০২ সালে এবং সর্বশেষ বড় সংস্কার হয়েছিল ১৯৪২ সালে। অর্থাৎ ৮৩ বছর পর এই অংশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের মতো ঐতিহাসিক ভবনে এমন নির্মাণের আগে আরও স্বচ্ছ ও দীর্ঘ পর্যালোচনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত ছিল। মার্কিন ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের সাবেক ইতিহাসবিদ রবার্ট কে. সাটন বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী ভবন। অথচ কীভাবে কাজ হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়—এটা উদ্বেগজনক।

স্থাপত্য বিশেষজ্ঞদের সংগঠনগুলোও প্রকল্পটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে, বিশেষ করে বলরুম নির্মাণে ভবনের বাইরের অংশে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্তকে ইতিহাসের প্রতি অবমাননা বলে মন্তব্য করেছে তারা।

তবে ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউজ জনগণের ঘর, আমি শুধু এটিকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলছি। গত দেড় শতাব্দী ধরে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট এমন একটি বলরুম চেয়েছেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স

Please Share This Post in Your Social Media

ট্রাম্পের জন্য বলরুম বানাতে ভাঙা হচ্ছে হোয়াইট হাউসের একাংশ

আন্তজাতিক ডেস্ক 
Update Time : ০২:২০:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য হোয়াইট হাউসে নতুন বলরুম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সোমবার ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্বাংশ বা ইস্ট উইংয়ের কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে।

২৫০ মিলিয়ন ডলারের এই প্রকল্প সম্পর্কে ট্রাম্প জানিয়েছেন, এটি পুরোপুরি আধুনিকায়ন প্রক্রিয়ার অংশ হলেও মূল ভবনের ঐতিহ্য নষ্ট করা হবে না। তিনি বলেন, বলরুমটি মূল ভবনের পাশে তৈরি হবে; কিন্তু সেটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে না। আমি হোয়াইট হাউসের সবচেয়ে বড় ভক্ত, তাই এর মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

ট্রাম্পের দাবি, প্রকল্পটি ব্যক্তিগত অর্থায়নে হচ্ছে। এতে অংশ নিচ্ছেন অনেকে। যদিও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।

ইস্ট উইং প্রথম নির্মিত হয় ১৯০২ সালে এবং সর্বশেষ বড় সংস্কার হয়েছিল ১৯৪২ সালে। অর্থাৎ ৮৩ বছর পর এই অংশে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে।

তবে সমালোচকরা বলছেন, হোয়াইট হাউসের মতো ঐতিহাসিক ভবনে এমন নির্মাণের আগে আরও স্বচ্ছ ও দীর্ঘ পর্যালোচনা প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত ছিল। মার্কিন ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিসের সাবেক ইতিহাসবিদ রবার্ট কে. সাটন বলেন, এটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাহী ভবন। অথচ কীভাবে কাজ হচ্ছে তা স্পষ্ট নয়—এটা উদ্বেগজনক।

স্থাপত্য বিশেষজ্ঞদের সংগঠনগুলোও প্রকল্পটি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছে, বিশেষ করে বলরুম নির্মাণে ভবনের বাইরের অংশে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্তকে ইতিহাসের প্রতি অবমাননা বলে মন্তব্য করেছে তারা।

তবে ট্রাম্প বলেন, হোয়াইট হাউজ জনগণের ঘর, আমি শুধু এটিকে আরও সুন্দর ও কার্যকর করে তুলছি। গত দেড় শতাব্দী ধরে প্রতিটি প্রেসিডেন্ট এমন একটি বলরুম চেয়েছেন। সূত্র : বিবিসি, রয়টার্স