ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, ১২৯ মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাথে ফখরুলের বৈঠক

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৩০ Time View

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের ১২৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে কোন আসনেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি।

রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের মহাসচিব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করা ও প্রচারণায় সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “প্রার্থীতার প্রচারণা করতে গিয়ে যাতে অভ্যন্তরীণ বিরোধ না দেখা দেয়। এমন ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দলীয় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।”

বৈঠকে তিনি জানান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি আসনে ত্যাগী, যোগ্য ও জনপ্রিয় নেতাকেই চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের বৈঠকে মহাসচিব মূলত দলীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি, আবার কাউকেও মনোনীত করা হয়নি।”

দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী জানান, “আজকের বৈঠকে মনোনয়ন চূড়ান্ত বিষয়ে কোনো কথা হয়নি, সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, এবারের প্রার্থী বাছাইয়ে দলটি তথ্যভিত্তিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। প্রতিটি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে একটি ডিজিটাল ডেটাবেজে।

এই ডেটাবেজে যোগ্যতা নির্ধারণে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে— অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি, জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক দক্ষতা, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং ত্যাগ। অযোগ্যতার মধ্যে রয়েছে— বিদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, ফৌজদারি অপরাধের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ, অপরাধে সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী এলাকায় অগ্রহণযোগ্যতা।

বৈঠকে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়ে দেন, প্রতিটি আসনে একজনকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে বিকল্প হিসেবে আরও দুইজনের নাম সংরক্ষণ করা হবে।

বৈঠক শুরু হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক মেয়র ও হবিগঞ্জের মনোনয়ন প্রত্যাশী জি কে গউছ জানান, বৈঠকটি সুনামগঞ্জ দিয়ে শুরু হয়ে মৌলভীবাজার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটে বিএনপির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি, ১২৯ মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাথে ফখরুলের বৈঠক

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:১৬:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনের ১২৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর সাথে বৈঠক করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তবে কোন আসনেই একক প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি।

রোববার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দলের মহাসচিব মনোনয়ন প্রত্যাশীদের নিজ নিজ এলাকায় গিয়ে সংগঠন শক্তিশালী করা ও প্রচারণায় সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেন।

ফখরুল ইসলাম আলমগীর সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “প্রার্থীতার প্রচারণা করতে গিয়ে যাতে অভ্যন্তরীণ বিরোধ না দেখা দেয়। এমন ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দলীয় সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া হবে।”

বৈঠকে তিনি জানান, চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের প্রতিটি আসনে ত্যাগী, যোগ্য ও জনপ্রিয় নেতাকেই চূড়ান্তভাবে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

বৈঠক শেষে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি ও সিলেট-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “আজকের বৈঠকে মহাসচিব মূলত দলীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত কাউকে বাদ দেওয়া হয়নি, আবার কাউকেও মনোনীত করা হয়নি।”

দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী জানান, “আজকের বৈঠকে মনোনয়ন চূড়ান্ত বিষয়ে কোনো কথা হয়নি, সবাইকে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, এবারের প্রার্থী বাছাইয়ে দলটি তথ্যভিত্তিক যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। প্রতিটি প্রার্থীর ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক তথ্য বিশ্লেষণ করা হচ্ছে একটি ডিজিটাল ডেটাবেজে।

এই ডেটাবেজে যোগ্যতা নির্ধারণে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে— অতীত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপস্থিতি, জনসম্পৃক্ততা, সাংগঠনিক দক্ষতা, পারিবারিক ও রাজনৈতিক ঐতিহ্য এবং ত্যাগ। অযোগ্যতার মধ্যে রয়েছে— বিদ্রোহী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা, ফৌজদারি অপরাধের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ, অপরাধে সম্পৃক্ততা ও নির্বাচনী এলাকায় অগ্রহণযোগ্যতা।

বৈঠকে বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানিয়ে দেন, প্রতিটি আসনে একজনকেই চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে। তবে বিকল্প হিসেবে আরও দুইজনের নাম সংরক্ষণ করা হবে।

বৈঠক শুরু হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক মেয়র ও হবিগঞ্জের মনোনয়ন প্রত্যাশী জি কে গউছ জানান, বৈঠকটি সুনামগঞ্জ দিয়ে শুরু হয়ে মৌলভীবাজার পর্যন্ত পর্যায়ক্রমে অনুষ্ঠিত হবে।