ঢাকা ০৫:১৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে ছাত্রশিবির

নিজেস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ১০:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৩০১ Time View

ফলাফল ঘোষণার পর চাকসুর নতুন ভিপি মো. ইব্রাহিম হোসেন ও জিএস সাঈদ বিন হাবিব

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছে।

সহ-সভাপতি পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী ইব্রাহীম রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী মো. শাফায়েত হোসেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়েছেন।

কেবলমাত্র দুটি পদে এই জোটের প্রার্থীরা জয় পায়নি—সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি ৪ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির-সমর্থিত প্রার্থী শাহ পরান মারুফ ৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন।

এ ছাড়া, শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা বাকি ২২টি পদে জয়ী হয়েছেন।

চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বিবিএ অনুষদ মিলনায়তনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এর আগে ১৯৮১ সালে পঞ্চম চাকসু নির্বাচনে শিবির জয়লাভ করেছিল। সেই সময় জসিম উদ্দিন সরকার সহ-সভাপতি ও আব্দুল গাফফার সাধারণ সম্পাদক হন। দুজনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নেতা ছিলেন। এর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের যৌথ প্যানেল জয়লাভ করে। সহ-সভাপতি ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আজিম উদ্দিন আহমেদ।

এরপর ৩৫ বছরে আর চাকসু নির্বাচন হয়নি। চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে ২৬টি চাকসু পদে ৪১৫ জন ও ১৪টি হল সংসদের পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

৪৪ বছর পর চাকসুর নেতৃত্বে ছাত্রশিবির

নিজেস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ১০:০৪:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্প্রীতির শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ২৬টি পদের মধ্যে ২৪টিতেই জয়লাভ করেছে।

সহ-সভাপতি পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী ইব্রাহীম রনি ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে শিবির-সমর্থিত প্রার্থী সাঈদ বিন হাবিব ৮ হাজার ৩১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী মো. শাফায়েত হোসেন ২ হাজার ৭৩৪ ভোট পেয়েছেন।

কেবলমাত্র দুটি পদে এই জোটের প্রার্থীরা জয় পায়নি—সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে।

সহসাধারণ সম্পাদক পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তামান্না মাহবুব প্রীতি ৪ হাজার ৮২৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির-সমর্থিত প্রার্থী শাহ পরান মারুফ ৪ হাজার ৫৯৪ ভোট পেয়েছেন।

এ ছাড়া, শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা বাকি ২২টি পদে জয়ী হয়েছেন।

চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৫টায় বিবিএ অনুষদ মিলনায়তনে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।’

এর আগে ১৯৮১ সালে পঞ্চম চাকসু নির্বাচনে শিবির জয়লাভ করেছিল। সেই সময় জসিম উদ্দিন সরকার সহ-সভাপতি ও আব্দুল গাফফার সাধারণ সম্পাদক হন। দুজনেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নেতা ছিলেন। এর প্রায় ১০ বছর পর ১৯৯০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে সব ছাত্র সংগঠনের যৌথ প্যানেল জয়লাভ করে। সহ-সভাপতি ছিলেন জাতীয় ছাত্রলীগের নাজিম উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আজিম উদ্দিন আহমেদ।

এরপর ৩৫ বছরে আর চাকসু নির্বাচন হয়নি। চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ৯০৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। তাদের মধ্যে ২৬টি চাকসু পদে ৪১৫ জন ও ১৪টি হল সংসদের পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।