ঢাকায় যুগপৎ কর্মসূচি, জামায়াতসহ যুক্ত ৭ রাজনৈতিক দল

- Update Time : ১২:১৮:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫
- / ২০ Time View
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্যভবন এলাকায় গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করাসহ প্রায় অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনসহ সাতটি রাজনৈতিক দলের মানববন্ধন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
জামায়াতের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত আছেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম ও আব্দুল হালিমসহ উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতারা।
প্রধান অতিথি হিসেবে দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহেরের বক্তব্য দেওয়ার কথা আছে।
মৎস্য ভবন এলাকায় দেখা যায়, জামায়াতের নেতাকর্মীদের ব্যানার নিয়ে ফুটপাতে অবস্থান করছেন। সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক আছে।
আজ যুগপৎ আন্দোলনের তৃতীয় দফার প্রথম দিনের কর্মসূচি হিসেবে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জামায়াতের উদ্যোগে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রাবাড়ী মোড় থেকে মৎস্য ভবন হয়ে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রায় একইরকম কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে। একই সময়ে দলগুলোর নেতাকর্মীরা রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন।
অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও একই কর্মসূচি পালনের ঘোষণা আছে।
ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতারা ১১টা থেকে মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ইউনিটের নেতাকর্মীরা আছেন দৈনিক বাংলা মোড় থেকে যাত্রাবাড়ী মোড় পর্যন্ত। আর উত্তরের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন বাংলামোটর থেকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত।
এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতাকর্মীরা আছেন দৈনিক বাংলা মোড় এলাকায় ও পল্টন মোড় এলাকায়। নেজামে ইসলাম পার্টি ও জাগপার নেতাকর্মীদের অবস্থান প্রেসক্লাবের সামনে। আর বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কর্মসূচি হচ্ছে শাহবাগ মোড়ে।
জামায়াতসহ এসব দল যেসব দাবিতে যুগপৎ আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তা অনেকটাই এক ও অভিন্ন। এর আগে দুই দফায় দলগুলো যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল তার তারিখও ছিল এক। দলগুলোর কেউ পাঁচ দফা, কেউ ছয় কিংবা সাত দফা দাবি দিলেও মূল দাবিগুলো প্রায় কাছাকাছি।
এসব দাবির মধ্যে আছে— গণভোটের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; সংসদের উভয় কিংবা এক কক্ষে পিআর পদ্ধতিকে জুলাই সনদে অন্তর্ভুক্ত করে গণভোট দেওয়া; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।
যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর নেতারা বলছেন, এটি সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির পাশাপাশি তাদের ‘জনমত গঠনের কৌশল’। কিন্তু বিএনপিসহ কয়েকটি দল এটিকে ‘নির্বাচন পেছানোর কৌশল’ হিসেবেও দেখছে।