ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় হাসি, জেনে নিন আরও উপকারিতা

- Update Time : ১০:০০:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৪২ Time View
আপনার এক মিষ্টি হাসি নিমেষেই একজনকে আনন্দিত করতে পারে। হাসির অনেক উপকারিতা। শরীরে রোগ সৃষ্টিকারী কর্টিসল হরমোন কমিয়ে শরীরে অক্সিটোসিন, ডোপেমিন, এন্ডোরফিন ইত্যাদি হরমোনের নিঃসরণ বাড়িয়ে শরীর ও মনকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলে হাসি। সব সময় প্রাণখুলে হাসতে পারলে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ওজন কমানো, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ানো, মানসম্মত ঘুম ও গড় আয়ু বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, ইতিবাচক মনোভাব, সম্পর্ক উন্নয়ন ও সুখানুভূতি চর্চায় হাসি অতুলনীয়।
প্রাণখোলা হাসি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, স্ট্রেস ও উদ্বেগ কমায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়, মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ স্বভাবিক রাখে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি শরীরে উপকারী হরমোন নিঃসরণ করে, যা ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ডকে স্বাভাবিক রাখে। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে সামগ্রিক জীবনে ইতিবাচকতা নিয়ে আসে হাসি। গবেষকদের মতে, দিনে যদি অন্তত ১০ মিনিট কেউ মন খুলে হাসেন, তা হলে যেকোনো স্নায়বিক সমস্যা দূর হতে বাধ্য।
মানসিক চাপ শরীরের ক্ষতিকর স্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ বাড়িয়ে নানা রকম রোগের সৃষ্টি করে। তাই যতটা সম্ভব স্ট্রেসমুক্ত থাকতে মন খুলে হাসুন। হাসির অভ্যাস বাড়াতে দেশি–বিদেশি কমেডি সিরিয়াল, নাটক ও সিনেমা দেখা যেতে পারে। ছোট ছোট কাজেও মুখে হাসি রাখার অভ্যাস করা যেতে পারে। হাসিকে প্রায়ই সংক্রামক বলে একমত হয়েছেন আধুনিক অনেক গবেষক। তাঁদের মতে, একজন যখন হাসেন, তখন অপরজনের মস্তিষ্কে থাকা ‘মিরর নিউরন’ সক্রিয় হয়। আমরা যখন কাউকে হাসতে দেখি, তখন এই নিউরনগুলো আমাদের মধ্যে একই রকম প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, যার ফলে আমরাও অন্যদের অনুকরণ করে হাসতে থাকি।