কলমিশাঁক সবজি হিসাবে স্বাদে গুণে ভরপুর

- Update Time : ০৫:০৮:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
- / ১৮৫ Time View
কলমিশাঁক সবজি হিসাবে স্বাদে গুণে ভরপুর। পলাশ উপজেলার সর্বত্র ঘরে ঘরে কলমি শাকের কদর বেড়েছে দ্বীগুণ। আপরদিকে বানিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ক্ষুদ্র চাষীগণ। বিল হাওর ঝিল থেকে কলমি শাক তুলে গ্রামের গরীব মানুষেরা আর্থিক সুবিধা পাচ্ছেন। যাতে তারা সামান্য পরিশ্রমে পরিবার পরিজন নিয়ে চলতে কষ্ট হচ্ছেনা।
কলমি শাক বাংলাদেশের আনাচে কানাচে বিলে ঝিল ও হাওর এর জলে প্রচুর জন্মে। আজকাল বারমাসই মিলছে কলমি শাক। একসময় আগাছা হিসেবে বেড়ে উঠতো কলমি। গবাদিপশুর খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার হতো। সেই কলমিশাক এখন কৃষকরা পরিকল্পিতভাবে চাষ করছেন। কেলমি শাকে বদলেছে অনেক কৃষকের ভাগ্য।
ভালো দাম পাওয়ায় কলমিশাক চাষে আরও আগ্রহী হয়েছেন এ উপজেলার কৃষাণ-কৃষাণী। স্বল্প খরচে অধিক লাভের কারণে উপজেলায় এর চাষ বাড়ছে। কলমি গাছের কচি পাতাই এখন এ এলাকার কৃষকের আয়ের অন্যতম উৎস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আগে পরিত্যক্ত খাল-বিল, ডোবা-নালায় এমনিতেই জন্মাত কলমি শাক। এখন ভাতের সঙ্গে শাক হিসেবে খাওয়ায় এর কদর বেড়েছে। এ কারণে কৃষক এখন জমিতে কলমি শাক চাষ করে অর্থনৈতিকভাবে বেশ লাভবান হচ্ছেন।
উপজেলা কুরইতলি গ্রামের সাবিনা খাতুন সফেদা বলেন, প্রথমে এলাকার মাঠে কলমি শাকের বীজ হতে দেখে ১৫ কাঠা জমিতে কলমি চাষ করি। বিরিন্দা গ্রামের রহমত হোসেন জানান, ১০ শতক জমিতে কলমি চাষ করেছেন তিনি। ৪ কেজি বীজে এক একর জমি চাষ করা যায়। গাছ বড় হলে উপরের অংশ কেটে নিতে হয়। এরপর গাছের উপরের পাতার অংশ কেটে আঁটি বেঁধে হাট-বাজারে বিক্রি করা হয়।
কলমি বীজ চাষি হোসেন আলী জানান, ৮/১০ বছর ধরে বিএডিসি, লাল তীর, ব্র্যাক, মেটাল সীড, গ্যাটকো সীডসহ বিভিন্ন কোম্পানির সহযোগিতায় এলাকার বেশ কিছু চাষি কলমি শাক চাষ করে বীজ উৎপাদন করছেন। ওই বীজ ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা মণ দরে কোম্পানি কিনে নিচ্ছে। কলমি বীজ উৎপাদনের জন্য ভাদ্র মাসে ইরি-বোরো ধানের মতো ক্ষেত তৈরি করে ৫/৬ ইঞ্চি লম্বা চারা জমিতে রোপণ করতে হয়।
এদিকে কলমি শাকের বীজ উৎপাদনকারী চাষীরা জানান, বীজ তৈরির চেয়ে কলমি শাক চাষে খরচ কম, লাভ বেশি। এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কৃষি সপ্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ এলাকায় কলমিসহ নানান শাকসবজির চাষ হয়েছে দ্বিগুণ জমিতে। পুষ্টিগুণ থাকায় কলমি শাকের চাহিদাও বাড়ছে।