ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঘিরে ভাঙচুর ও গোলাগুলি প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর টাইমস হায়ার র‍্যাঙ্কিংয়ে মাভাবিপ্রবি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ সংবিধান থেকে বিলুপ্তি চায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া ৯ মাসে ইতালিতে পাড়ি জমানো অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশী প্রত্যেক উপদেষ্টাই বিদেশি নাগরিক : রুমিন ফারহানা আবারও ফিল্মফেয়ারের মঞ্চ মাতাবেন শাহরুখ ইসলামি শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে: চরমোনাই পীর আমলাতন্ত্রকে একটি নির্দিষ্ট দলের পকেটে নেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল মিশরের বিচার বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতির বৈঠক

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের দরকার নেই: আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১০২ Time View

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘এখন সেফ এক্সিট নিয়ে কথা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা নিশ্চিতভাবে জানি, আমাদের কারও কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই।’আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে। গত ৫৫ বছর দুঃশাসন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছিল। এই ভয়াবহ রাষ্ট্রকাঠামো থেকে সেফ এক্সিট প্রয়োজন।’

আইন করা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা হয়তো খুব ভালো কিছু আইন করে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো আইন মানেই দেশটা ভালো হয়ে যাবে না। এটা আশা করার মতো বয়স আমার নেই।’

প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের সমালোচনা আছে, ভালো কিছু বিধানও ছিল। তাতে ছিল, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তা কখনোই করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই তা হয়েছে। এমন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, যাঁরা মানবাধিকার ধ্বংসে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ধরনের বিচারপতিদের কেউ কেউ এখনো রয়ে গেছেন। সরকার সংস্কারের কাজ করছেন।

ভালো আইন ফাউন্ডেশন, কিন্তু তার ওপর খারাপ ভবন বানিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল। প্রতিষ্ঠানকে ভালো হতে হবে, বলেন তিনি। আরও বলেন, ‘সরকারে এসে মনে হয়েছে, সব ব্যক্তিকেন্দ্রিক, প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক।’

সভায় বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে’—তাঁর এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলে।

এ নিয়ে কথা বলেন উপদেষ্টারাও। ৯ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, বাহাত্তরোর্ধ্ব বছর বয়সে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা তাঁর জন্য গভীর দুঃখের বিষয় হবে।

এর আগের দিন ৮ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নিতে চান, এ বিষয়গুলো নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে। উনি যদি কখনো পরিষ্কার করেন, তখন সেটি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে।

আজ আইন উপদেষ্টা এ নিয়ে কথা বললেন।

Please Share This Post in Your Social Media

উপদেষ্টাদের সেফ এক্সিটের দরকার নেই: আসিফ নজরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৩:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, ‘এখন সেফ এক্সিট নিয়ে কথা হচ্ছে। আমরা উপদেষ্টারা নিশ্চিতভাবে জানি, আমাদের কারও কোনো সেফ এক্সিটের প্রয়োজন নেই।’আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অধ্যাদেশ ২০২৫’ শীর্ষক জাতীয় পরামর্শ সভায় উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন। আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ আয়োজন হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতি হিসেবে সেফ এক্সিটের প্রয়োজন আছে। গত ৫৫ বছর দুঃশাসন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ছিল। এই ভয়াবহ রাষ্ট্রকাঠামো থেকে সেফ এক্সিট প্রয়োজন।’

আইন করা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা হয়তো খুব ভালো কিছু আইন করে যাচ্ছি। কিন্তু ভালো আইন মানেই দেশটা ভালো হয়ে যাবে না। এটা আশা করার মতো বয়স আমার নেই।’

প্রতিষ্ঠান করার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন এই উপদেষ্টা। তিনি বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানের সমালোচনা আছে, ভালো কিছু বিধানও ছিল। তাতে ছিল, রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখতে রাষ্ট্রপতি স্বাধীনভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তা কখনোই করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই তা হয়েছে। এমন প্রধান বিচারপতি ছিলেন, যাঁরা মানবাধিকার ধ্বংসে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ধ্বংসে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এ ধরনের বিচারপতিদের কেউ কেউ এখনো রয়ে গেছেন। সরকার সংস্কারের কাজ করছেন।

ভালো আইন ফাউন্ডেশন, কিন্তু তার ওপর খারাপ ভবন বানিয়ে লাভ নেই বলে মন্তব্য করেন আসিফ নজরুল। প্রতিষ্ঠানকে ভালো হতে হবে, বলেন তিনি। আরও বলেন, ‘সরকারে এসে মনে হয়েছে, সব ব্যক্তিকেন্দ্রিক, প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক।’

সভায় বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছে, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের (নিরাপদ প্রস্থান) কথা ভাবতেছে’—তাঁর এ বক্তব্য নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলে।

এ নিয়ে কথা বলেন উপদেষ্টারাও। ৯ অক্টোবর ফেসবুক পোস্টে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, বাহাত্তরোর্ধ্ব বছর বয়সে যদি সেফ এক্সিটের কথা ভাবতে হয়, তা তাঁর জন্য গভীর দুঃখের বিষয় হবে।

এর আগের দিন ৮ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) নিতে চান, এ বিষয়গুলো নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে। উনি যদি কখনো পরিষ্কার করেন, তখন সেটি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের কথা আসে।

আজ আইন উপদেষ্টা এ নিয়ে কথা বললেন।