ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

জবিতে সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা

জবি সংবাদদাতা
  • Update Time : ০৭:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
  • / ২১৮ Time View
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইকবাল মাহমুদ রানা নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। বুধবার (১৯জুলাই) দুপুর দুইটায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেনের অনুসারী রানার এলোপাথাড়ি লাথিতে আহত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টিভির রিপোর্টার অমৃত রায়। এসময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাসদিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যান্টিনে সিরিয়াল এবং টোকেন ছাড়াই খাবার নিতে গিয়ে সিরিয়ালে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের টোকেন ফেলে দেয় এবং শিক্ষার্থী ও ক্যাফেটিরিয়ায় স্টাফদের গালিগালাজ করে। ক্যাফেটিরিয়ায় হুলুস্থুল দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি দেয়  ছাত্রলীগ কর্মী সমাজকর্ম বিভাগের সাজেদুল ইসলাম সৈকত এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মাহমুদ রানা। পরবর্তীতে খেতে বসা সাংবাদিকদের টেবিলে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে এশিয়ান টিভির রিপোর্টার অমৃত রায়কে লাথি দেয়া শুরু করে ইকবাল মাহমুদ রানা।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন এসে হামলাকারীদের নিবারণ করে এবং  বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি আপাত স্থবির করতে বলেন। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে রাত হয়ে গেলে তিনি কিছু জানান নি।
বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন ও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রকল্যান পরিচালক হিসেবে সুপারিশ করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগের উপদেশ দেন।
এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি এ বিষটির যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করবো। লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী আমি ঐ শিক্ষার্থীকে ডেকে এর দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।”
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, সাংবাদিকের গায়ে হাত দেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

জবিতে সাংবাদিকদের উপর ছাত্রলীগ কর্মীর হামলা

জবি সংবাদদাতা
Update Time : ০৭:১৩:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাংবাদিকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে ইকবাল মাহমুদ রানা নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী। বুধবার (১৯জুলাই) দুপুর দুইটায়  বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে এ ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক আকতার হোসেনের অনুসারী রানার এলোপাথাড়ি লাথিতে আহত হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিপোর্টার্স ইউনিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং এশিয়ান টিভির রিপোর্টার অমৃত রায়। এসময় দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তাসদিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, জবি ছাত্রলীগের কর্মীরা ক্যান্টিনে সিরিয়াল এবং টোকেন ছাড়াই খাবার নিতে গিয়ে সিরিয়ালে থাকা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের টোকেন ফেলে দেয় এবং শিক্ষার্থী ও ক্যাফেটিরিয়ায় স্টাফদের গালিগালাজ করে। ক্যাফেটিরিয়ায় হুলুস্থুল দেখে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে সাংবাদিককে হুমকি দেয়  ছাত্রলীগ কর্মী সমাজকর্ম বিভাগের সাজেদুল ইসলাম সৈকত এবং অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ইকবাল মাহমুদ রানা। পরবর্তীতে খেতে বসা সাংবাদিকদের টেবিলে অভিযুক্তরা দলবল নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। একপর্যায়ে এশিয়ান টিভির রিপোর্টার অমৃত রায়কে লাথি দেয়া শুরু করে ইকবাল মাহমুদ রানা।
এসময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইন এসে হামলাকারীদের নিবারণ করে এবং  বিচারের আশ্বাস দিয়ে বিষয়টি আপাত স্থবির করতে বলেন। কিন্তু বিকেল পেরিয়ে রাত হয়ে গেলে তিনি কিছু জানান নি।
বিষয়টি ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে গেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম সেখানে উপস্থিত হন ও বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে তিনি ছাত্রকল্যান পরিচালক হিসেবে সুপারিশ করে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগের উপদেশ দেন।
এ বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, “আমি এ বিষটির যথাযথ বিচারের ব্যবস্থা করবো। লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী আমি ঐ শিক্ষার্থীকে ডেকে এর দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।”
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, সাংবাদিকের গায়ে হাত দেয়া কোনভাবেই কাম্য নয়। শুধু সাংগঠনিক ব্যবস্থা নয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে একাডেমিক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।