ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রংপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদনে দুই লাখ টাকা জরিমানা, কারখানা সিলগালা

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০১:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১২৩ Time View

রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় ভেজাল গুড় উৎপাদনের অভিযোগে মেসার্স ‘মা-বাবার দোয়া’ গুড় কারখানার মালিক নূর মোহাম্মদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনায় পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে। এসময় কারখানায় বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার, পঁচা মিষ্টি ও নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করে গুড় উৎপাদনের প্রমাণ মেলে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জানান, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপায়ে অবৈধ পণ্য ব্যবহার করে গুড় প্রস্তুত করা হচ্ছিল। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুতরাং অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুসারে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের জেল দিয়েছি এবং কারখানা কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে এমন কোনও প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছিল, যা বাজারে ছড়িয়ে পড়ছিল বিভিন্ন হাটবাজারে। আমরা অনেকদিন থেকে এ বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজেও পাইনি। আজ প্রশাসন কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে ভেজাল গুড় উৎপাদনে দুই লাখ টাকা জরিমানা, কারখানা সিলগালা

আলমগীর হোসেন অপু, রংপুর জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০১:৩৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

রংপুর নগরীর দর্শনা এলাকায় ভেজাল গুড় উৎপাদনের অভিযোগে মেসার্স ‘মা-বাবার দোয়া’ গুড় কারখানার মালিক নূর মোহাম্মদকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান পরিচালনায় পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে। এসময় কারখানায় বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক, ইন্ডাস্ট্রিয়াল কালার, পঁচা মিষ্টি ও নিম্নমানের উপাদান ব্যবহার করে গুড় উৎপাদনের প্রমাণ মেলে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম জানান, মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপায়ে অবৈধ পণ্য ব্যবহার করে গুড় প্রস্তুত করা হচ্ছিল। যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। সুতরাং অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ অনুসারে দুই লক্ষ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের জেল দিয়েছি এবং কারখানা কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্য উৎপাদনের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করে এমন কোনও প্রতিষ্ঠানকে ছাড় দেওয়া হবে না।

এদিকে স্থানীয় এলাকাবাসী প্রশাসনের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই কারখানায় ভেজাল গুড় তৈরি হচ্ছিল, যা বাজারে ছড়িয়ে পড়ছিল বিভিন্ন হাটবাজারে। আমরা অনেকদিন থেকে এ বিষয়ে সমাধানের পথ খুঁজেও পাইনি। আজ প্রশাসন কারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এই বিষয়টিকে স্বাগত জানাই।