ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একাধিক দেশের পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা করে: আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৮১ Time View

যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব রয়েছে, তারাই এখন অন্যদের জন্য ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ লিখেন, যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নেওয়া তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে।

তিনি লেখেন, যারা ৫ আগস্ট পালিয়েছিল তাদের সিমপ্যাথাইজাররা কষ্টে মরে যাচ্ছে। বারবার ফ্যাসিস্টদেরই পালাতে হবে। আমাদের জন্ম এদেশে মৃত্যুও এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ফ্যাসিস্ট, খুনিদের সঙ্গে লড়তে লড়তে আমার ভাইদের মতো শহীদী মৃত্যু কামনা করি।

এদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চান, তা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে, কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) চায়। এ সময় তিনি বলেন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন, অথবা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সময় এলে তাদের নামও আমরা উন্মুক্ত করব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের অনেককেই বিশ্বাস করাটা আমাদের ভুল হয়েছিল। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা, সরকারে গেলে সম্মিলিতভাবে যাওয়া। নাগরিক সমাজ বা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যে আস্থা আমরা রেখেছিলাম, সে জায়গায় আসলে আমরা প্রতারিত হয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

একাধিক দেশের পাসপোর্টধারীরাই ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা করে: আসিফ মাহমুদ

রাজনীতি ডেস্ক
Update Time : ১১:৫৮:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট ও নাগরিকত্ব রয়েছে, তারাই এখন অন্যদের জন্য ‘সেফ এক্সিটের’ তালিকা তৈরি করে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

বুধবার (৮ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ লিখেন, যাদের একাধিক দেশের পাসপোর্ট, নাগরিকত্ব নেওয়া তারাই আবার অন্যদের সেফ এক্সিটের তালিকা করে।

তিনি লেখেন, যারা ৫ আগস্ট পালিয়েছিল তাদের সিমপ্যাথাইজাররা কষ্টে মরে যাচ্ছে। বারবার ফ্যাসিস্টদেরই পালাতে হবে। আমাদের জন্ম এদেশে মৃত্যুও এদেশের মাটিতেই হবে ইনশাআল্লাহ। ফ্যাসিস্ট, খুনিদের সঙ্গে লড়তে লড়তে আমার ভাইদের মতো শহীদী মৃত্যু কামনা করি।

এদিকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে কারা ‘সেফ এক্সিট’ নিতে চান, তা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে স্পষ্টভাবে জানাতে হবে।

বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকেই পরিষ্কার করতে হবে, কারা সেফ এক্সিট (নিরাপদ প্রস্থান) চায়। এ সময় তিনি বলেন, একটি স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সরকার নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) সর্বোচ্চ সহায়তা করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কোনো দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তা সম্পূর্ণভাবে আইনি প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করবে।

সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে লিয়াজোঁ করে ফেলেছেন, তারা নিজেদের সেফ এক্সিটের কথা ভাবছেন। অনেক উপদেষ্টা নিজেদের আখের গুছিয়েছেন, অথবা গণঅভ্যুত্থানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। সময় এলে তাদের নামও আমরা উন্মুক্ত করব।

নাহিদ ইসলাম বলেন, যারা উপদেষ্টা হয়েছেন, তাদের অনেককেই বিশ্বাস করাটা আমাদের ভুল হয়েছিল। আমাদের উচিত ছিল ছাত্র নেতৃত্বকেই শক্তিশালী করা, সরকারে গেলে সম্মিলিতভাবে যাওয়া। নাগরিক সমাজ বা রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর যে আস্থা আমরা রেখেছিলাম, সে জায়গায় আসলে আমরা প্রতারিত হয়েছি।