ঢাকা ০৯:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রচারে ঘাটতি, সাংবাদিকদের ক্ষোভ; সরকারি ব্যয়ে রুটিন অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে

টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা নিয়ে ঘাপলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ১৩২ Time View

ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় ও জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের Consultation Workshop ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রশ্ন আর ক্ষোভ। সরকারি অর্থে আয়োজন হলেও প্রচারে ঘাটতি আর নির্বাচিত কিছু সাংবাদিককে আমন্ত্রণের অভিযোগে সরব স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ।

প্রচারে ব্যর্থতা, প্রশ্নের ঝড়:
গত ৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজিয়া খাঁন (যুগ্মসচিব)।

শিশুর টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য তুলে ধরা হলেও, উপস্থিত সাংবাদিক ও অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ তোলেন— এসব কর্মশালা এখন রুটিনমাফিক অনুষ্ঠান ছাড়া আর কিছু নয়। মাঠপর্যায়ে এর বাস্তব কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

“তথ্য নয়, ফরমালিটি” — সাংবাদিকদের অভিযোগ:
সাংবাদিকদের বড় অংশের অভিযোগ, একই বিষয়ের ওপর বছরজুড়ে সেমিনার ও কর্মশালা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এখনো টিকা সংকট ও সেবা জটিলতা রয়ে গেছে।
অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রচার বাড়ানোর নামে সরকারি টাকায় অনুষ্ঠান হয়, কিন্তু মাঠে কাজের প্রভাব নেই। কিছু সাংবাদিককে ডেকে একটি বড় অংশকে বাদ দেওয়া হয়। তথ্যের বদলে ফরমালিটি আর ছবিই বড় হয়ে ওঠে।”

“উপকারভোগী কারা?” — উঠছে জনমনে প্রশ্ন:
স্থানীয় মহলে এখন প্রশ্ন— সরকারি অর্থে আয়োজন করা এসব অনুষ্ঠানের আসল উপকারভোগী আসলে কারা?
বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নমূলক প্রচারণা সফল করতে হলে শুধু সেমিনার নয়, বাস্তব সমস্যার সমাধান ও মাঠপর্যায়ের নজরদারি বাড়ানোই জরুরি। জনগণের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন উদ্যোগই এখন সময়ের দাবী।

এ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসার মো. সাইফুল আলম বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রচার বাড়ানো। জেলা প্রশাসকের দেওয়া পছন্দের তালিকা অনুযায়ী সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রচার আশানুরূপ হয়নি— এটা স্বীকার করছি। ভবিষ্যতে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের যুক্ত করা হবে।” এতে জেলা প্রশাসকের দ্বিচারিণী আচরণ স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। যারা উনার গুণকীর্তন গাইতে প্রস্তুত, শুধু তারাই আমন্ত্রিত হন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

প্রচারে ঘাটতি, সাংবাদিকদের ক্ষোভ; সরকারি ব্যয়ে রুটিন অনুষ্ঠান নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে

টাইফয়েড টিকাদান কর্মশালা নিয়ে ঘাপলা

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৩৭:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ইউনিসেফের আর্থিক সহায়তায় ও জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইনের Consultation Workshop ঘিরে দেখা দিয়েছে তীব্র প্রশ্ন আর ক্ষোভ। সরকারি অর্থে আয়োজন হলেও প্রচারে ঘাটতি আর নির্বাচিত কিছু সাংবাদিককে আমন্ত্রণের অভিযোগে সরব স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ।

প্রচারে ব্যর্থতা, প্রশ্নের ঝড়:
গত ৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজিয়া খাঁন (যুগ্মসচিব)।

শিশুর টিকাদান কর্মসূচির সাফল্য তুলে ধরা হলেও, উপস্থিত সাংবাদিক ও অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ তোলেন— এসব কর্মশালা এখন রুটিনমাফিক অনুষ্ঠান ছাড়া আর কিছু নয়। মাঠপর্যায়ে এর বাস্তব কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

“তথ্য নয়, ফরমালিটি” — সাংবাদিকদের অভিযোগ:
সাংবাদিকদের বড় অংশের অভিযোগ, একই বিষয়ের ওপর বছরজুড়ে সেমিনার ও কর্মশালা হলেও উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এখনো টিকা সংকট ও সেবা জটিলতা রয়ে গেছে।
অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “প্রচার বাড়ানোর নামে সরকারি টাকায় অনুষ্ঠান হয়, কিন্তু মাঠে কাজের প্রভাব নেই। কিছু সাংবাদিককে ডেকে একটি বড় অংশকে বাদ দেওয়া হয়। তথ্যের বদলে ফরমালিটি আর ছবিই বড় হয়ে ওঠে।”

“উপকারভোগী কারা?” — উঠছে জনমনে প্রশ্ন:
স্থানীয় মহলে এখন প্রশ্ন— সরকারি অর্থে আয়োজন করা এসব অনুষ্ঠানের আসল উপকারভোগী আসলে কারা?
বিশ্লেষকরা বলছেন, উন্নয়নমূলক প্রচারণা সফল করতে হলে শুধু সেমিনার নয়, বাস্তব সমস্যার সমাধান ও মাঠপর্যায়ের নজরদারি বাড়ানোই জরুরি। জনগণের জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এমন উদ্যোগই এখন সময়ের দাবী।

এ বিষয়ে জেলা তথ্য অফিসার মো. সাইফুল আলম বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য ছিল প্রচার বাড়ানো। জেলা প্রশাসকের দেওয়া পছন্দের তালিকা অনুযায়ী সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। প্রচার আশানুরূপ হয়নি— এটা স্বীকার করছি। ভবিষ্যতে যারা বাদ পড়েছেন, তাদের যুক্ত করা হবে।” এতে জেলা প্রশাসকের দ্বিচারিণী আচরণ স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান। যারা উনার গুণকীর্তন গাইতে প্রস্তুত, শুধু তারাই আমন্ত্রিত হন।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।