ঢাকা ০৪:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভাঙলেন লন্ডন ফেরত যাত্রী

সিলেট প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ২২০ Time View

ফাইল ফটো।

সিলেট-লন্ডন রুটের বিমানের একটি ফ্লাইটের এক যাত্রী ঘুষি মেরে ভেঙ্গে দিয়েছেন বিমানের একটি মনিটর। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) লন্ডন থেকে ছেড়ে আসা এ ফ্লাইট (বিজি-২০১) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকালে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ মো. শওকত আলী নামের অভিযুক্ত যাত্রীকে আটক করে। বর্তমানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক মিলনের হেফাজতে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে ভাঙা মনিটরটির দাম ১১ লাখ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম‍্যানেজার হাফিজ আহমদ।  তিনি বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

এ দিকে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বুধবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক মারা গেছেন।

চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। তবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো একটি সংরক্ষিত এলাকায় ওই যুবক কীভাবে প্রবেশ করলেন এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন ওঠেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।

তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি ছিলো না। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বিমানবন্দরের রানওয়ে-১১ এলাকা থেকে সুমন আহমদ নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি এয়ারপোর্ট থানাধীন লালবাগ এলাকার বাচ্চু মিয়ার পুত্র।

পুলিশ জানায়, রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে কোনো কিছু সংস্পর্শে আসার সংকেত পান। তখন সিসি ক্যামেরায়ও স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর ওই স্থান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবককে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তবে কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিমানন্দর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে মারা যান সুমন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান,খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ টিম রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বৈদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানান, আমাদের ধারণা তিনি চুরির উদ্দেশ্যেই রানওয়েতে প্রবেশ করেছিলেন। চুরির কিছু আলামতও মিলেছে। পুলিশ কাটার মেশিন উদ্ধার করেছে।

ওই যুবক কীভাবে রানওয়েতে প্রবেশ করলেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমরা ফ্লাইট অপারেশনে ছিলাম। আমাদের রানওয়ের চারপাশে সীমানা দেওয়াল আছে। আমরা সারারাত টহলও দেই। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি নেই। ওই যুবক রানওয়েতে ঢুকতে পারেননি। রানওয়ের পাশেই ছিলেন। তবে সেখানে কীভাবে তিনি ঢুকে পড়লেন তা বুঝা যাচ্ছে না।

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ না করেই ‘লোপাট’ ২১২ কোটি টাকা

Please Share This Post in Your Social Media

ঘুষি মেরে বিমানের মনিটর ভাঙলেন লন্ডন ফেরত যাত্রী

সিলেট প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:৪০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

সিলেট-লন্ডন রুটের বিমানের একটি ফ্লাইটের এক যাত্রী ঘুষি মেরে ভেঙ্গে দিয়েছেন বিমানের একটি মনিটর। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) লন্ডন থেকে ছেড়ে আসা এ ফ্লাইট (বিজি-২০১) সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সকালে অবতরণ করে। অবতরণের পর বিমান বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ মো. শওকত আলী নামের অভিযুক্ত যাত্রীকে আটক করে। বর্তমানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এমদাদুল হক মিলনের হেফাজতে রয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে ভাঙা মনিটরটির দাম ১১ লাখ টাকা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম‍্যানেজার হাফিজ আহমদ।  তিনি বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব‍্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।

এ দিকে, সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে এলাকায় বুধবার রাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক যুবক মারা গেছেন।

চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা যান বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। তবে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মতো একটি সংরক্ষিত এলাকায় ওই যুবক কীভাবে প্রবেশ করলেন এনিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। প্রশ্ন ওঠেছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।

তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি ছিলো না। বুধবার (৮ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে বিমানবন্দরের রানওয়ে-১১ এলাকা থেকে সুমন আহমদ নামে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি এয়ারপোর্ট থানাধীন লালবাগ এলাকার বাচ্চু মিয়ার পুত্র।

পুলিশ জানায়, রাত ১০টার দিকে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়ের পশ্চিম পাশে বিদ্যুতের তারের সঙ্গে কোনো কিছু সংস্পর্শে আসার সংকেত পান। তখন সিসি ক্যামেরায়ও স্পষ্টভাবে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। কিছুক্ষণ পর ওই স্থান থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। পরে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে এক যুবককে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তবে কী কারণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে বিমানন্দর কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বিদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে মারা যান সুমন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান,খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ টিম রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বৈদ্যুতের তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ওই যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

এ ব্যাপারে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমদ জানান, আমাদের ধারণা তিনি চুরির উদ্দেশ্যেই রানওয়েতে প্রবেশ করেছিলেন। চুরির কিছু আলামতও মিলেছে। পুলিশ কাটার মেশিন উদ্ধার করেছে।

ওই যুবক কীভাবে রানওয়েতে প্রবেশ করলেন এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই সময়ে আমরা ফ্লাইট অপারেশনে ছিলাম। আমাদের রানওয়ের চারপাশে সীমানা দেওয়াল আছে। আমরা সারারাত টহলও দেই। বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় কোন ঘাটতি নেই। ওই যুবক রানওয়েতে ঢুকতে পারেননি। রানওয়ের পাশেই ছিলেন। তবে সেখানে কীভাবে তিনি ঢুকে পড়লেন তা বুঝা যাচ্ছে না।

সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে কাজ না করেই ‘লোপাট’ ২১২ কোটি টাকা